প্রতিমন্ত্রী পাচ্ছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়!
২৬ এপ্রিল ২০২০ ১২:৫৫
ঢাকা: করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) মহামারির এই সময়ে এসে ফের একজন প্রতিমন্ত্রী পেতে যাচ্ছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। সরকার ও মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের একাধিক সূত্র জানাচ্ছে, চলতি সপ্তাহেই জাহিদ মালেকের ডেপুটি নিয়োগের বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি হবে। চলতি মন্ত্রিসভার দু’জন প্রতিমন্ত্রী রয়েছেন সম্ভাব্য এই পদে নিয়োগের তালিকায়। তবে তাদের ছাপিয়ে যশোরের সরকারদলীয় একজন এমপি এই পদে স্থান পেতে পারেন— তেমন গুঞ্জনও জোরালো।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, চলমান মহামারি পরিস্থিতি মোকাবিলায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য অধিদফতরের মধ্যে আরও বেশি সমন্বয় প্রয়োজন। এছাড়া কোভিড-১৯ মোকাবিলায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকের নেতৃত্বে গঠিত জাতীয় কমিটির পাশাপাশি ১৭ চিকিৎসকের সমন্বয়ে গঠিত পরামর্শক কমিটির কাজের মধ্যেও সমন্বয়ের অভাব রয়েছে। সব মিলিয়ে স্বাস্থ্যসেবা খাতে গতি আনতেই মন্ত্রণালয়ে একজন প্রতিমন্ত্রী নিয়োগের বিষয়ে সরকারের নীতিনির্ধারক মহল থেকে সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানা গেছে। আর সে সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন হলে ১১ মাস পর ফের প্রতিমন্ত্রী পাবে এই মন্ত্রণালয়।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সূত্র থেকে জানা গেছে, দুয়েকদিনের মধ্যেই স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব অর্পণ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি হবে। আর দুয়েকদিনের মধ্যে না হলেও চলতি সপ্তাহেই প্রজ্ঞাপন জারির বিষয়টি মোটামুটি নিশ্চিত। যদিও এ বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বিষয়টি জানেন না বলে জানান সারাবাংলাকে।
একাধিক বিশ্বস্ত সূত্র বলছে, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে কোনো চিকিৎসককে রাখার দাবি রয়েছে বিভিন্ন মহলের। প্রতিমন্ত্রী পদে নিয়োগে সে দাবির প্রতিফলন থাকার সম্ভাবনাই সবচেয়ে বেশি। সেক্ষেত্রে বর্তমান মন্ত্রিসভার চিকিৎসক সদস্যদের নাম ঘুরেফিরে আলোচনায় আসছে। তবে সবচেয়ে বেশি আলোচিত হচ্ছে যশোর জেলার একজন সংসদ সদস্যের নাম। অভিজ্ঞতা ও কর্মজীবনের বিভিন্ন অর্জনের কারণে এই পদে তিনি যোগ্যতার স্বাক্ষর রাখবেন— এমনটিই মনে করছেন নীতি নির্ধারকরা।
তবে সরকারের রুলস অব বিজনেস অনুযায়ী মন্ত্রিসভার যেকোনো ধরনের রদবদলের এখতিয়ার সম্পূর্ণভাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ওপর ন্যস্ত। ফলে প্রতিমন্ত্রী নিয়োগের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন।
এর আগে, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর গত ৬ জানুয়ারি মন্ত্রিসভা গঠন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ৭ জানুয়ারি মন্ত্রিসভার শপথে স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছিলেন ডা. মুরাদ হাসান। মাস পাঁচেক পর মন্ত্রিসভায় প্রথম রদবদল আনেন প্রধানমন্ত্রী। ওই সময় কাউকে বাদ দেওয়া হয়নি, নতুন কাউকে যুক্তও করা হয়নি মন্ত্রিসভায়। তবে বর্তমান সদস্যদের মধ্যেই দায়িত্ব রদবদল হয়। এর মধ্যে স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদকে বদলি করা হয় তথ্য মন্ত্রণালয়ে ড. হাছান মাহমুদের ডেপুটি হিসেবে।
করোনা মহামারি করোনাভাইরাস কোভিড-১৯ প্রতিমন্ত্রী যশোরের এমপি সমন্বয় স্বাস্থ্য অধিদফতর স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়