কোভিড-১৯: ভারতের চিকিৎসা সহায়তার দ্বিতীয় চালান দেশে
২৬ এপ্রিল ২০২০ ১৬:৪০
ঢাকা: নভেল করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) মোকাবিলায় ‘প্রতিবেশীদের অগ্রাধিকার’ নীতির অংশ হিসেবে বাংলাদেশকে চিকিৎসা সহায়তার দ্বিতীয় চালান হস্তান্তর করেছে ভারত। এক লাখ হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন ট্যাবলেট ও ৫০ হাজার জীবাণুমুক্ত সার্জিক্যাল ল্যাটেক্স গ্লাভসের এই জরুরি চিকিত্সা সরবরাহের দ্বিতীয় চালানটি সরকারের কাছে হস্তান্তর করেন ভারতের হাইকমিশনার রীভা গাঙ্গুলি দাশ।
রোববার (২৬ এপ্রিল) ঢাকার ভারতীয় মিশনের এক বার্তায় জানানো হয়, বাংলাদেশের প্রতি ভারতের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে হাইকমিশনার রীভা গাঙ্গুলি দাশ এক লাখ হাইড্রোক্সিক্লোরোকুইন ট্যাবলেট ও ৫০ হাজার জীবাণুমুক্ত সার্জিক্যাল ল্যাটেক্স গ্লাভস সমন্বিত জরুরি চিকিত্সা সরবরাহের দ্বিতীয় চালানটি বাংলাদেশ সরকারের কাছে হস্তান্তর করেন। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সরবরাহ, প্রতিরক্ষামূলক সরঞ্জাম ও সক্ষমতা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে ভারত থেকে অব্যাহত সহায়তার প্রশংসা করে বলেন, সংকটের সময়ে প্রতিবেশী বন্ধুর সহায়তাকে আমরা স্বাগত জানাই।
ভারতের ‘প্রতিবেশীদের অগ্রাধিকার’ নীতির অংশ হিসেবে এবং কোভিড-১৯-এর বিস্তার রোধে একটি সহযোগিতামূলক আঞ্চলিক প্রচেষ্টার লক্ষ্যে গত ১৫ মার্চ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সার্ক নেতাদের নিয়ে একটি ভিডিও সম্মেলন করেছিলেন। সার্ক কোভিড-১৯ জরুরি তহবিলের আওতায় এবং কোভিড-১৯-এর বিস্তার রোধে বাংলাদেশ সরকারের প্রচেষ্টায় সাহায্য করার উদ্দেশ্যে এই সহায়তা দেওয়া হয়েছে।
ভারতীয় হাইকমিশনের বার্তায় আরও বলা হয়, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঘোষণায় ভারতের ১০ মিলিয়ন ডলার প্রাথমিক সহায়তা নিয়ে সার্ক কোভিড-১৯ জরুরি তহবিল গঠিত হয়। এই তহবিলের অধীনে ৩০ হাজার সার্জিক্যাল মাস্ক এবং ১৫ হাজার হেড-কভার সমন্বিত জরুরি চিকিৎসা সহায়তার প্রথম চালান গত ২৫ মার্চ বাংলাদেশ সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেনের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
সার্ক অঞ্চলে কোভিড-১৯-এর বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য একটি সহযোগিতামূলক প্রচেষ্টার প্রতি ভারতের প্রতিশ্রুতিকে সামনে রেখে গত ২৬ মার্চ ও ৮ এপ্রিল ২০২০ সার্ক দেশগুলোর স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ এবং বাণিজ্য প্রতিনিধিদের মধ্যে সুনির্দিষ্ট ব্যবস্থা গ্রহণ, বাণিজ্য সহজীকরণ এবং সেরা অনুশীলনগুলো বিনিময় বিষয়ে আলোচনার জন্য পৃথক ভিডিও সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সার্কভুক্ত দেশগুলোর স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা সেরা অনুশীলনগুলো বিনিময়ের জন্য এবং পারস্পরিকভাবে উপকৃত হওয়ার জন্য অবিচ্ছিন্ন যোগাযোগ রক্ষা করছেন।
এছাড়াও, ভারতের স্বাস্থ্যসেবা বিশেষজ্ঞরা কোভিড-১৯ পরিচালনা কৌশল, দক্ষতা বৃদ্ধি, সেরা অনুশীলনের বিনিময় এবং এ সম্পর্কিত দিকগুলো নিয়ে সার্ক দেশগুলোর স্বাস্থ্যসেবা দানকারীদের জন্য স্বল্প দৈর্ঘ্য ওয়েবিনার আকারে ই-আইটিইসি প্রশিক্ষণ মডিউল ডিজাইন করেছেন। ১৭ থেকে ২১ এপ্রিল অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অব মেডিকেল সায়েন্সেস, রায়পুর এই অনলাইন কোর্সটি পরিচালনা করে, যেখানে বাংলাদেশের ৯০ জন স্বাস্থ্যকর্মী অংশ নেন। ভারত সরকারের আইটিইসি উদ্যোগের আওতায় আগামী ২৭ এপ্রিল থেকে মে পর্যন্ত ভারতের চন্ডিগড়ের পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ইনস্টিটিউট অব মেডিক্যাল এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চ দ্বিতীয় অনলাইন কোর্স আয়োজন করছে।
জরুরি চিকিৎসা সহায়তা ভারতীয় হাইকমিশনার ভারতের সহায়তা রীভা গাঙ্গুলি দাশ সহায়তার দ্বিতীয় চালান হস্তান্তর স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক