ভারতে আটকে পড়াদের ফিরিয়ে আনতে একাধিক ফ্লাইটের ব্যবস্থা
২৭ এপ্রিল ২০২০ ১৭:৪০
ঢাকা: নভেল করোনাভাইরাসের কারণে ভারতে আটকে পড়া বাংলাদেশিদের দেশে ফিরিয়ে আনতে আরও কয়েকটি বিশেষ ফ্লাইট পরিচালনা করা হবে। আগামী ১ মে কলকাতা, ২ মে দিল্লী এবং ৩ মে মুম্বাই থেকে প্রয়োজনীয় সংখ্যক যাত্রী পাওয়া সাপেক্ষে ফ্লাইট তিনটি পরিচালনা করা হবে। এসব বিশেষ ফ্লাইটে দেশে ফেরার পর সকলকে বাধ্যতামূলক দুই সপ্তাহ কোয়ারেনটাইনে থাকতে হবে।
নয়াদিল্লিতে অবস্থিত বাংলাদেশ হাইকমিশন সোমবার (২৭ এপ্রিল) এক বার্তায় জানায়, ভারতে আটকে পড়া বাংলাদেশিদের দেশে ফিরিয়ে আনতে সরকার আরও কিছু বিশেষ ফ্লাইটের ব্যবস্থা করেছে। দিল্লী ও মুম্বাই থেকে প্রস্তাবিত ফ্লাইটের বিষয়ে +৯১৮৩৭৭৮৩৩৬০৯ নম্বরে যোগাযোগ করলে প্রয়োজনীয় তথ্য পাওয়া যাবে।
বিমান বাংলাদেশের বরাত দিয়ে হাইকমিশন জানিয়েছে, বিশেষ ফ্লাইটগুলোর টিকেট কেনার জন্য বিমান কর্তৃক নির্ধারিত নির্দিষ্ট ব্যাংক হিসাবে (বাংলাদেশস্থ) বিমান ভাড়া জমা দিতে হবে। বিমানের ওয়েবসাইটে এই সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় তথ্য ও নির্দেশনা যথাসময়ে আপলোড করা হবে। তবে আগ্রহী যাত্রীদেরকে সংশ্লিষ্ট বাংলাদেশ মিশনের মাধ্যমে তালিকাভুক্ত হতে হবে। এই তালিকা বিমানের ওয়েবসাইটে প্রদর্শন করা হবে। তালিকার বাইরে কোনো যাত্রী ভ্রমণ করতে পারবে না। আসন সংখ্যা সীমিত হওয়ায় ‘আগে আসলে আগে পাবেন ভিত্তিতে’ টিকিট পাওয়া যাবে। তালিকায় নাম থাকা মানেই টিকিট প্রাপ্তি নিশ্চিত করবে না।
হাইকমিশন আরও জানিয়েছে, তালিকাভুক্তির জন্য যাত্রীরা সংশ্লিষ্ট সমন্বয়কারী মিশনের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন। যে সকল যাত্রী দিল্লী থেকে বিমানের আগামী ২ মে’র ফ্লাইটে ভ্রমণ করতে চান শুধু তাদেরকে নিজ নাম, পাসপোর্ট নম্বর, মোবাইল নম্বর ও ইমেইল ঠিকানা নয়া দিল্লির বাংলাদেশ হাইকমিশনে [email protected] এই ঠিকানায় পাঠানোর জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।
প্রয়োজনীয় যাত্রী পাওয়া সাপেক্ষে আগামী ৩০ এপ্রিল, ১ মে এবং ২ মে তারিখে তিনটি বিশেষ ফ্লাইট চেন্নাই-ঢাকা রুটে পরিচালনা করবে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স। চেন্নাই ও পাশ্ববর্তী এলাকার অবস্থান করা বাংলাদেশিদের এই বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য ও যাত্রার আনুষ্ঠানিকতার জন্য সংশ্লিষ্ট বিমান সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলা হচ্ছে।
সকল যাত্রীদের নিজ নিজ ব্যবস্থায় বা যানবাহনে বিমানবন্দরে নির্ধারিত সময়ে ফ্লাইটের জন্য উপস্থিত হতে হবে। তবে, বিমানবন্দরে যাওয়ার জন্য ভারতীয় কর্তৃপক্ষের অনুমতির প্রয়োজন হবে। যাত্রীদের বাসস্থানের ঠিকানা থেকে যাত্রার সময়, যানবাহন ও চালকের বিবরণ পাঠিয়ে হাইকমিশনের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় অনুমতি নিতে হবে।
হাইকমিশনের বার্তায় আরও বলা হয়, বিমানে আরোহনের জন্য প্রত্যেক যাত্রীকে অবশ্যই ‘কোভিড-১৯ মুক্ত’ বা ‘কোভিড-১৯ উপসর্গমুক্ত’ সনদ থাকতে হবে। সকল যাত্রীকে ঢাকা বিমানবন্দরে অবতরণের পর পুনরায় স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হবে এবং বাধ্যতামূলক দুই সপ্তাহ কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে।
এদিকে, বাংলাদেশ বিমানের সিইও ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. মোকাব্বির হোসেনও জানান, মে মাসের প্রথম তিন দিনে কলকাতা, দিল্লি ও বোম্বে থেকে তিনটি বিশেষ ফ্লাইট আসবে বাংলাদেশে। এসব ফ্লাইটের বিস্তারিত তথ্য বিমানের ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে বলেও জানান তিনি।