Friday 27 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

দীর্ঘকায় মানব জিন্নাত আলী জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে


২৭ এপ্রিল ২০২০ ১৯:২১

চট্টগ্রাম ব্যুরো : বাংলাদেশের সবচেয়ে দীর্ঘকায় মানুষ হিসেবে বিবেচিত কক্সবাজারের জিন্নাত আলী জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে আছেন। তার বেঁচে ফেরার সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণ বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা।

শৈশব থেকে হরমোনের জটিলতায় ভুগে অস্বাভাবিক উচ্চতা নিয়ে বেড়ে ওঠা জিন্নাত আলীকে দেড় বছর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে নিয়ে গিয়েছিলেন কক্সবাজারের রামু-সদর আসনের সাংসদ সাইমুম সরওয়ার কমল। জিন্নাতের চিকিৎসায় সহায়তা দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী।

বিজ্ঞাপন

কিন্তু মস্তিস্কে টিউমার আক্রান্ত জিন্নাত গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে সোমবার (২৭ এপ্রিল) সকালে তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। বর্তমানে তিনি চমেক হাসপাতালের নিউরোসার্জারি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. নোমান খালেদ চৌধুরীর তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন আছেন।

চিকিৎসক নোমান খালেদ চৌধুরী সারাবাংলাকে বলেন, ‘সকালে নিউরোলজি ওয়ার্ড থেকে জিন্নাত আলীকে নিউরোসার্জারিতে পাঠানো হয়। এ সময় তিনি অজ্ঞান ছিলেন। অজ্ঞান বলতে, উনার পরিস্থিতি এতই জটিল যে, আর জ্ঞান ফেরার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। তাকে হাসপাতালের আইসিইউতে ভেন্টিলেশন সাপোর্ট দিয়ে রাখা হয়েছে। প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়েছে। উনার মস্তিস্কে টিউমার আছে এবং সেটা খুব বড়। খুবই আশ্চর্য হয়ে গেছি, টিউমার এত বড় হয়ে গেছে এবং এত পরে আমরা সেটা জানতে পারছি। এই মুহূর্তে টিউমার অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে অপসারণ ডিকিকাল্ট এবং কোনো সম্ভাবনা নেই বললেই চলে।’

নোমান খালেদ আরও বলেন, ‘ছোটবেলা থেকেই ওনার মধ্যে হরমোনজনিত অস্বাভাবিকতা আছে। উনি যে এত লম্বা সেটা স্বাভাবিক শারীরিক প্রক্রিয়া নয়। হরমোনের জটিলতার কারণে এটা হয়েছে। এর সঙ্গে মস্তিস্কে টিউমার পরিস্থিতিকে আরও জটিল করেছে। আমরা আশাবাদী মানুষ, তাই জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে বলছি, অর্থাৎ জীবন শব্দটা উল্লেখ করছি।’

বিজ্ঞাপন

কক্সবাজারের রামু উপজেলার গর্জনিয়ার ইউনিয়নের বড়বিল গ্রামের কৃষক আমীর হামজার ছেলে জিন্নাত আলী। জন্ম ১৯৯৬ সালে। আমীর হামজার তিন ছেলে ও এক মেয়ের মধ্যে জিন্নাত তৃতীয়।

২০১৮ সালের ২৪ অক্টোবর জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে জিন্নাত আলীকে নিয়ে যাওয়া হয়। সেসময় গণমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, ১২ বছর বয়স থেকেই উচ্চতা অস্বাভাবিকভাবে বাড়তে থাকে তার। সে সময় জিন্নাত আলীর উচ্চতা ছিল ৮ ফুট ২ ইঞ্চি।

অস্বাভাবিক লম্বা হওয়ায় শারীরক বিভিন্ন সমস্যার কথা তুলে ধরে জিন্নাত প্রধানমন্ত্রীর কাছে সাহায্য চেয়েছিলেন। এছাড়া কেউ কাজ না দেওয়ায় অভাবে আয়-উপার্জন না থাকার কথাও জানিয়েছিলেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী তার চিকিৎসার দায়িত্ব নেন। সেসময় তাকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) ভর্তি করা হয় তাকে। পরে সুস্থ হয়ে জিন্নাত বাড়ি ফেরত যান। এ ছাড়া প্রধানমন্ত্রীর তহবিল থেকে আর্থিক সহযোগিতায় জিন্নাতকে তার এলাকায় একটি দোকানও করে দেওয়া হয়।

জিন্নাত আলী টপ নিউজ দীর্ঘকায় মানব প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর