লকডাউন এলাকায় যাবে ভ্রাম্যমাণ ডাকঘর
২৭ এপ্রিল ২০২০ ২২:২৮
ঢাকা: করোনায় লকডাউন এলাকায় জনগণের দোরগোড়ায় ডাক সেবা পৌঁছে দিতে ভ্রাম্যমাণ ডাকঘরের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। ঢাকার বাইরে রাজশাহী ও খুলনায় দুটি ভ্রাম্যমাণ ডাকঘর চালু হয়েছে। পর্যায়ক্রমে দেশব্যাপী এই ডাকঘর চালু করা হবে।
সোমবার (২৭ এপ্রিল) ভ্রামম্যাণ ডাকঘরের উদ্বোধন করেন ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার সোমবার তার বেইলি রোডের সরকারি বাসভবন থেকে ঢাকায় জিপিও চত্বরে টেলিসংযোগের মাধ্যমে নয়টি ভ্রাম্যমাণ ডাকঘরের উদ্বোধন করেন। মন্ত্রীর নির্দেশে ঢাকায় লকডাউনের আওতাভুক্ত এলাকায় জনগণের দোরগোড়ায় ডাকঘর সঞ্চয় ব্যাংক, সঞ্চয়পত্র, জরুরি চিঠিপত্র, ওষুধপত্র ও করোনা চিকিৎসা সংক্রান্ত উপকরণ, পার্সেল, ডিজিটাল কমার্স, ইএমটিএস ও ডাক জীবন বীমা সেবা প্রদানের লক্ষ্যে এই সেবা চালুর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব নূর-উর-রহমান এ সময় ভিডিও কনফারেন্সে সংযুক্ত ছিলেন। ঢাকা জিপিও চত্ত্বরে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. আজিজুল ইসলাম এবং ডাক অধিদফতরের মহাপরিচালক এসএস ভদ্রসহ ডাক অধিদফতরের পদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
কোভিড -১৯ এর প্রাদুর্ভাবজনিত সরকার ঘোষিত ছুটিকালীন ডাক অধিদফতর গত ২৮ মার্চ থেকে অদ্যাবধি জনসাধারণের সেবায় নিয়োজিত রয়েছে। এ সময়ের মধ্যে সাত লাখ পঞ্চাশ হাজার গ্রাহককে ডাক সেবা প্রদান করা হয়েছে ও এক হাজার দুই শত কোটি টাকার লেনদেন সম্পন্ন হয়েছে।
সরকার ইতোমধ্যে টেলিফোন ও ইন্টারনেট সেবার পাশাপাশি ডাক সেবাকে জরুরি পরিষেবা হিসেবে ঘোষণা করে। ফলে জিপিও, জেলা পর্যায়ের প্রধান ডাকঘর, শহরস্থ সাব পোস্ট অফিস এবং সীমিত পরিসরে গ্রামীণ ডাকঘর খোলা রয়েছে।