ঢাকা: অর্থনীতি সচল রাখতে পোশাক কারখানা খোলা হলেও শ্রমিকদের এখনই গ্রাম থেকে না ফেরার পরামর্শ দিয়েছে বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিকেএমইএ)।
সোমবার (২৮ এপ্রিল) রাতে এক ভিডিও বার্তায় সংগঠনটির প্রথম সহসভাপতি মোহাম্মদ হাতেম এ কথা জানান।
ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, পোশাক কারখানা পর্যায়ক্রমে খুললেও এই মুহূর্তে দূর-দূরান্ত থেকে শ্রমিক ভাই-বোনদের কর্মস্থলে না ফেরার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। আমরা কারখানায় স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করছি। যেমন— কারখানায় ঢোকার ঢুকার মুখে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা, ব্লিচিং মিশ্রিত পানিতে জুতা ভিজিয়ে প্রবেশ করা, থার্মাল স্ক্যানার দিয়ে তাপমাত্রা পরিমাপ করা, মাস্ক ব্যবহার করা, সামাজিক দূরত্ব নিশ্চত করে কার্যক্রম পরিচালনা করা— এসব যতটুকু আমাদের দ্বারা সম্ভব, আমরা গ্রহণ করেছি।
মোহাম্মদ হাতেম বলেন, ‘জীবন-জীবিকার সন্ধানে আমাদের নামতে হবে। করোনাভাইরাসের কারনে স্থবির হয়ে যাওয়া অর্থনীতির চাকাকে আবারও সচল করতে হবে। এমনই অবস্থার প্রেক্ষাপটে স্বাস্থ্য সুরক্ষা মেনে গতকাল রোববার (২৬ এপ্রিল) থেকে নিটওয়ার সেক্টরের নিটিং, ডায়িং ও স্যাম্পল ইউনিট খুলে দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল বিকেএমইএ’র পক্ষ থেকে। ২ মে থেকে গার্মেন্ট শাখাও খোলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। তবে জরুরি প্রয়োজনে রোববার থেকেই অল্প পরিসরে গার্মেন্ট শাখা খোলা যাবে বলেও পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল।
বিকেএমইএ’র সহসভাপতি বলেন, সেই অনুযায়ী ঢাকা, গাজীপুর , নারায়ণগঞ্জ, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বিকেএমইএ’র ৮৩৮টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১০৪টি ফ্যাক্টরি স্বল্প পরিসরে তাদের কার্যক্রম শুরু করেছে। সোমবার আরও ৫৪টি ফ্যাক্টরি খুলেছে।