Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

রমজানে বেড়েছে ফলের দাম


২৮ এপ্রিল ২০২০ ১২:৫৩

ঢাকা: করোনাভাইরাসের প্রভাবে এমনিতেই বাজারে সব জিনিসপত্রের দাম বেশি। তার ওপর পবিত্র মাহে রমজানকে কেন্দ্র করে বেড়েছে সবধরনের ফলের দাম। বিক্রেতারা বলছেন, সরবরাহ বা আমদানি কম থাকায় ফলের দাম বেড়েছে। আর কারণ হিসেবে বলছেন, ফল যেহেতু আমদানি নির্ভর তাই দামে বাড়তি। সোমবার (২৭ এপ্রিল) রাজধানীর বাড্ডা ও মধ্যবাড্ডা ফলের বাজার ঘুরে এই চিত্র দেখা গেছে।

মধ্যবাড্ডা ফলের দোকানদার রাকিবুল ইসলাম। ফলের কেমন দাম জানতে চাইলে বলেন, ‘দাম বেশ চড়া’। দাম চড়ার কারণ জানতে চাইলে তিনি জানান, আমদানি নেই বলে মোকামে দাম বেশি। গত ১০-১৫ দিন আগেও যে আপেল বিক্রি করেছেন ১২০ টাকা কেজি সেগুলো এখন বিক্রি করছেন ১৫০ টাকা দরে। পাইকারি বিক্রেতাদেরই বেশি দামে ফল কিনতে হচ্ছে। তাই বেশি দামে বিক্রি করা ছাড়া কোনো উপায় নেই। আবার এখন গাড়ি বন্ধ থাকায় আনতেও খরচ পড়ে বেশি। সব মিলিয়ে ফলের বাজার চড়া।

বিজ্ঞাপন

বাজার ঘুরে দেখা যায়, আঙ্গুরের কেজি ২৬০ টাকা, যা কয়েকদিন আগেও ছিল ২০০ টাকা। মাত্র কয়েকদিনের ব্যবধানে ১২০ টাকা কেজির ফুজি আপেল হয়েছে ১৮০ টাকা। এছাড়া ১৫০ টাকা কেজির গোল্ডেন আপেল ১৯৮ টাকা, আড়াইশ টাকার ভারতীয় কমলা ৩৪৬ টাকা, ৫০ টাকা পেয়ারা ৮০ টাকা, ১৪০ টাকার মাল্টা ১৮০ টাকা, ১৫০ টাকার নাশপতি ২০০ টাকা, ৩০০ টাকার ডালিম ৪৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া মাঝারি আকারের তরমুজ বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকায়, যা গত সপ্তাহে ছিল ৭০-৮০ টাকা। এর পাশাপাশি সবধরনের খেজুরের দাম কেজিতে ১০০ থেকে ২০০ টাকা করে বেড়েছে। মরিয়ম প্রিমিয়াম খেজুর বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৪০-৫০ টাকা কেজি। আর খোলা মরিয়ম খেজুর বিক্রি হচ্ছে প্রতিকেজি ৯৭০ টাকা।

বিজ্ঞাপন

বাজারে কথা হয় সরকারি চাকুরি রাহান উদ্দীনের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘করোনার সময় এখন ফলমুল বেশি খাওয়া হচ্ছে। কিন্তু দাম অনেক বেশি। গত সপ্তাহে যে আপেল কিনেছি ১২০ টাকা সেটা এখন ১৫০ টাকার ওপরে কিনতে হচ্ছে। কিন্তু মানও ভালো না। কমলালেবুর দাম প্রায় দিগুণ হয়েছে। খেজুরের দামও বেড়েছে। এক কথায় মধ্যবিত্তদের ওপর সবসময় বাড়তির খড়গ বেশি থাকে। আমরা না পারছি সহ্য করতে, না পারছি ভালো মন্দ কিনতে।

ফলের দাম বাড়তি রমজান

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর