আগামী বাজেটে পুঁজিবাজারে ৬ প্রণোদনার দাবি ডিবিএর
২৯ এপ্রিল ২০২০ ১৫:২৫
ঢাকা: করোনাভাইরাস মহামারির সময়ে পুঁজিবাজারারের জন্য ছয় ধরনের প্রণোদনার দাবি জানিয়েছেন, ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ডিবিএ)। তাদের দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে- আগামী বাজেটে পুঁজিবাজারে বিনা শর্তে অপ্রদর্শিত অর্থ (কালো টাকা) বিনিয়োগের সুযোগ, মার্জিন ঋণধারী বিনিয়োগকারীদের তিন শতাংশ সুদে ঋণ সুবিধা এবং মার্জিন ঋণের সুদ এক বছরের জন্য স্থগিত করা, ব্রোকারদের এক বছরের অফিস ব্যয় মেটানোর জন্য সহজ শর্তে তহবিলের যোগান দেওয়া।
সম্প্রতি অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের কাছে এই দাবি জানানো হয়েছে বলে সারাবাংলাকে নিশ্চিত করেছন ডিবিএ সূত্র।
অর্থমন্ত্রীর কাছে দেওয়া ডিবিএ‘র চিঠিতে বলা হয়েছে, দীর্ঘদিন ধরে মন্দার কারণে পুঁজিবাজারের মধ্যস্থতাকারী প্রতিষ্ঠানগুলো আর্থিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়েছে। ব্রোকারেজ হাউজসহ পুঁজিবাজারের বিভিন্ন অংশীজনরা ব্যবসা পরিচালনা করতে পারছে না। এছাড়া কোভিড-১৯ মহামারির ফলে দেশের অন্যান্য সকল ব্যবসা-বানিজ্যের পাশাপাশি পুঁজিবাজারেও এর বিরূপ প্রভাব পড়েছে। এছাড়া চিঠিতে, করোনাভাইরাসের কারণে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত ব্রোকারেজ প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম পরিচালনা অব্যাহত রাখতে আর্থিক সহায়তার দাবি জানানো হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়েছে, ব্রোকারদের অফিস পরিচালন ব্যয়ভার বিশেষ করে অফিস ভাড়া, কর্মকর্তা-কর্মচারীর বেতন, বিদ্যুৎ বিল ইত্যাদি মিটিয়ে সকল কার্যক্রম সচল রাখার জন্যে আর্থিক সহায়তা প্রয়োজন। ডিবিএ শেয়ার কেনা-বেচার ওপর সরকারকে প্রদেয় আগাম করের হার দশমিক ০৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে দশমিক ০১৫ শতাংশ নির্ধারণেরও প্রস্তাব করা হয়েছে।
ডিবিএ‘র চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, মার্জিন ঋণধারী বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগ সক্ষমতা বাড়াতে তিন বছর মেয়াদে তিন শতাংশ সুদে ঋণ দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে। এতে বলা হয়, এই ঋণ পেলে বিনিয়োগকারীদের পূনরায় লেনদেনে ফিরিয়ে এনে তাদের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে তথা ফোর্স সেল থেকে বিনিয়োগকারীকে সুরক্ষা দেওয়া সম্ভব হবে। মার্জিন ঋণের বিপরীতে আরোপিত সুদ এক বছরের জন্য স্থগিত করা হলে বিনিয়োগকারী তাদের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে সুযোগ পাবে এবং লেনদেনে অংশগ্রহণের মাধ্যমে পুঁজিবাজারকে সক্রিয় করে তুলবে।
এছাড়া চিঠিতে পুঁজিবাজারে অপ্রদর্শিত আয় বিনিয়োগের সুযোগ সংক্রান্ত প্রস্তাবে বলা হয়েছে, পুঁজিবাজারে অপ্রদর্শিত আয়ের অর্থ ১:১ ভিত্তিতে বন্ড মার্কেট ও সেকেন্ডারি মার্কেটে বিনিয়োগ করতে হবে। বন্ডে বিনিয়োগকৃত অর্থ তিন বছরের জন্য ব্লক থাকবে এবং ওই বন্ড এক্সচেঞ্জের মাধ্যমে লেনদেনযোগ্য হতে হবে। এছাড়া প্রস্তাবে ব্রোকার কর্তৃক প্রদেয় সিডিবিএল ফি ও চার্জ, বিনিয়োগকারীদের বিও ফি ইত্যাদি থেকে পূর্ণ অব্যাহতি দেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে।