শ্রমিকদের এখন ঢাকায় আসার প্রয়োজন নেই: বিজিএমইএ
২৯ এপ্রিল ২০২০ ১৬:২২
ঢাকা: শ্রমিকদের এখনই ঢাকা না আসার পরামর্শ দিয়েছে পোশাক মালিকদের সংগঠন বিজিএমএইএ। বুধবার (২৯ এপ্রিল) সংগঠনটির হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে এ কথা জানানো হয়।
এ বিষয়ে বিজিএমইএর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ঢাকার বাইরে অবস্থানরত পোশাক শ্রমিকদের এখন ঢাকায় আসার প্রয়োজন নেই, বেতন পৌঁছে দেওয়া হবে। তবে শুধু ঢাকার শ্রমিকদের ক্ষেত্রে এটি প্রযোজ্য হবে কি না তা এখনো স্পষ্ট করেনি সংগঠনটি।
এর আগে, গত ২৭ এপ্রিল বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিকেএমইএ)-এর পক্ষ থেকে একই ধরনের ঘোষণা আসে। অর্থনীতি সচল রাখতে গার্মেন্টস কারখানা খোলা হলেও শ্রমিকদের এখনই গ্রাম থেকে না ফেরার পরামর্শ দেয়া হয় সংগঠনটির পক্ষ থেকে।
এদিকে, মঙ্গলাবার (২৮ এপ্রিল) পোশাক মালিকদের সঙ্গে এক বৈঠক শেষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল জানিয়েছেন, ঢাকার ভেতরে অবস্থানরত শ্রমিক দিয়েই সীমিত আকারে পোশাক কারখানা চালাতে হবে। এই মুহূর্তে ঢাকার বাইরে থেকে গার্মেন্টস কর্মী আসতে পারবে না। মন্ত্রী বলেন, ‘স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঢাকায় অবস্থানরত শ্রমিক দিয়ে সীমিত আকারে গার্মেন্টস চালানো হচ্ছে বলে মালিক পক্ষ জানিয়েছেন। সীমিত আকারে গার্মেন্টস খোলা রাখার বিষয়ে মালিক পক্ষ বলেছেন স্বাস্থ্যবিধি মেনেই তারা গার্মেন্টস খোলা রেখেছেন।’
ঢাকার বাইরে থাকা পোশাককর্মীদের উদ্দেশে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘করোনা পরিস্থিতি ভালো হলে আপনারা ঢাকায় আসবেন। আপনাদের বেতনে কোনো সমস্যা হবে না বলে মালিক পক্ষ নিশ্চয়তা দিয়েছেন।’
জানতে চাইলে বুধবার (২৯ এপ্রিল) দুপুরে সম্মিলিত গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি নাজমা আক্তার সারাবাংলাকে বলেন, ‘গতকালের পর আজ অনেক শ্রমিককে কারখানা থেকে ফোন দিয়ে বলেছে এখনই আসতে হবে না। ৫ তারিখ পর্যন্ত দেখার জন্য। কিন্তু তার আগেই তো অনেক শ্রমিক চলে এসেছে। তবে গ্রামেও এখন অনেক শ্রমিক রয়েছে। শ্রমিক না আসলে তার মধ্যেও ভয় কাজ করে। সে বেতন ঠিকমতো পাবে কি না তা নিয়ে সন্দেহে থাকে। আবার এপ্রিলের বেতন কিভাবে দেওয়া হবে আমাদের কাছে এখনও তা স্পষ্ট না।
এদিকে, পোশাক কারখানা খোলা থাকায় মার্কেট, শপিং মল ও দোকানপাট খুলে দেওয়ার দাবি উঠেছে। এরইমধ্যে করোনায় পোশাক শ্রমিক আক্রান্ত হওয়ার খবরও এসেছে। ধারণা করা হচ্ছে- করোনাভাইরাসের সংক্রাম আরও বাড়তে পারে এমন শঙ্কায় সরকারের পক্ষ থেকে সীমিত আকারে গার্মেন্টস চালু রাখার পক্ষেই পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। ঢাকায় নতুন করে পোশাক শ্রমিককে ঢুকতে না দেওয়ারও ইঙ্গিত দিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।