চট্টগ্রামে চিকিৎসায় সুস্থ করোনা আক্রান্ত ১৬ জন
২৯ এপ্রিল ২০২০ ২০:২৯
চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রামে নভেল করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্ত হওয়ার পর চিকিৎসায় সুস্থ হয়ে ফিরে গেছেন ১৬ জন। এর মধ্যে সবশেষ বুধবার (২৯ এপ্রিল) সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন তিনজন।
করোনায় আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা চলছে চট্টগ্রামের দুটি হাসপাতালে। চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতাল ও ফৌজদারহাটে বাংলাদেশ ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজেজ-বিআইটিআইডিতে দেওয়া হচ্ছে চিকিৎসা। বিআইটিআইডিতে চিকিৎসার পাশাপাশি করোনার সংক্রমণ শনাক্তে নমুনা পরীক্ষাও চলছে।
চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতাল থেকে এ পর্যন্ত ১৪ জন এবং বিআইটিআইডি থেকে দুই জনসহ মোট ১৬ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন বলে জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. অসীম কুমার নাথ সারাবাংলাকে বলেন, ‘বুধবার (২৯ এপ্রিল) আমরা তিনজনকে রিলিজ দিয়েছি। এ পর্যন্ত চিকিৎসা শেষে ফেরত গেছেন একজন ডাক্তারসহ ১৪ জন রোগী। সবার নমুনা দ্বিতীয়বার পরীক্ষায় নেগেটিভ আসার পর তাদের হাসপাতাল ত্যাগের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।’
তিনি জানান, জেনারেল হাসপাতাল থেকে বুধবার ছাড়পত্র পাওয়া তিন রোগীর মধ্যে দুজন সাতকানিয়ার বাসিন্দা এবং একজন নগরীর বাসিন্দা। বর্তমানে জেনারেল হাসপাতালে আরও ৪০ জন রোগী চিকিৎসাধীন আছেন। এর মধ্যে ৩৫ জন করোনায় আক্রান্ত হওয়ার বিষয়টি নমুনা পরীক্ষায় শনাক্ত হয়েছে। পাঁচজন সন্দেহভাজন হিসেবে চিকিৎসাধীন আছেন।
গত ২৬ মার্চ থেকে বিআইটিআইডিতে নমুনা পরীক্ষা শুরু হয়। গত ২৫ এপ্রিল থেকে চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি এন্ড অ্যানিমেল সাইন্সেস ইউনিভার্সিটির ল্যাবেও শুরু হয়েছে করোনা পরীক্ষা।
চট্টগ্রামে এ পর্যন্ত ২ হাজার ৭৪২ জনের নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। এদের মধ্যে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে ১০৮ জনের। আক্রান্তদের মধ্যে চট্টগ্রাম জেলার ৬৫ জন। মারা গেছেন ছয় জন। এছাড়া লক্ষ্মীপুরের ৩৪ জন, নোয়াখালীর চার জন, বান্দরবানের তিন জন এবং ফেনীর ২ জন আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, বন্দরনগরীতে ৬৫ জন আক্রান্ত ছাড়াও বাইরের জেলা থেকে আসা তিনজনকেও চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। আক্রান্তদের মধ্যে ৪১ থেকে ৫০ বছর বয়সীরা সবচেয়ে বেশি। এদের সংখ্যা ২০ জন। অনূর্ধব ১০ বছরের শিশু আক্রান্ত হয়েছে দুই জন। ১১ থেকে ২০ বছরের চার জন, ২১ থেকে ৩০ বছরের ১৮ জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের ১১ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের ৫ জন এবং ষাটোর্দ্ধ রোগি আছেন ৮ জন। এদের মধ্যে শিশু দুই জন, পুরুষ ৫১ জন এবং নারী ১৫ জন।