আদার দামে গরমিল, ৪ দোকানিকে জরিমানা
১ মে ২০২০ ১৬:১২
চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলার নজু মিয়া হাটে চারটি দোকানে আদার দাম নিয়ে গরমিল পেয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। দোকানে মূল্য তালিকায় লেখা আছে এক দাম, বিক্রি হচ্ছে দ্বিগুণ দামে। আবার মূল্য তালিকার সঙ্গে দোকানির কেনা দামের মধ্যেও সামঞ্জস্য নেই। দাম নিয়ে এসব অসঙ্গতির মাশুল দিচ্ছেন ভোক্তারা। তাই চারটি দোকানকে আলাদাভাবে ২২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
শুক্রবার (১ মে) দুপুরে নজু মিয়া হাটে হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রুহুল আমিন ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালনা করেন।
রমজান শুরুর আগমুহূর্তে হঠাৎ বেড়ে যাওয়া আদার দাম নিয়ন্ত্রণে আনতে চট্টগ্রাম নগরীর খাতুনগঞ্জে পাইকারি বাজারেও নিয়মিত অভিযান চালাচ্ছে জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত। জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের টিমও প্রতিদিন নগরীর বিভিন্ন কাঁচাবাজারে খুচরা দোকানগুলোতে অভিযান পরিচালনা করছে।
এরপর শুক্রবার বাজার যাচাই করতে নজু মিয়া হাটে যাওয়া ইউএনও রুহুল আমিন সারাবাংলাকে বলেন, ‘চারটি দোকান আমরা যাচাই করেছি। সেগুলোতে মূল্য তালিকায় আদার দাম লেখা আছে প্রতি কেজি ১৬০ টাকা। আমি দাম জানতে চাইলে বলে ১৪০ টাকা। কয়েকজন ক্রেতাকে কত দামে আদা কিনেছেন জানতে চাইলে জবাব দেন ৩২০ টাকা। তখন আমি দোকানিরা কত দামে কিনেছেন সেটির ভাউচার যাচাই করি। সেখানে ক্রয়মূল্য ২২০ টাকা লেখা আছে। খাতুনগঞ্জের আড়ত থেকে প্রতিকেজি ২২০ টাকায় আদা কিনেছেন বলে তারা দাবি করেন। বাস্তবে তাদের দাবির মধ্যে কোনো সামঞ্জস্য পাওয়া যায়নি। এই ধরনের গরমিলের মাধ্যমে কৃত্রিমভাবে দাম বাড়িয়ে ভোক্তাদের জিম্মি করার প্রমাণ পেয়েছি।’
চারটি দোকানকে পৃথকভাবে মোট ২২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে জানিয়ে ইউএনও বলেন, ‘তাদের ভবিষ্যতের জন্য সতর্ক করা হয়েছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে এই অভিযান চলবে।’