Friday 06 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

করোনায় আক্রান্ত ৪০ গণমাধ্যমকর্মী, একজনের মৃত্যু


১ মে ২০২০ ১৬:৫৬

ঢাকা: বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের প্রকোপের মধ্যেও জনগণের কাছে সঠিক তথ্য তুলে ধরতে মাঠে থেকে কাজ করছেন গণমাধ্যমকর্মীরাও। আর তাই এ পেশায় করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যাও বাড়ছে।

সর্বশেষ শুক্রবার (১ মে) পর্যন্ত দেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত গণমাধ্যম কর্মীর সংখ্যা ৪০ জন ছাড়িয়েছে। ইতোমধ্যে মারাও গেছেন ১ জন। তবে সুস্থ হয়েছেন ১০ জন।

আক্রান্ত গণমাধ্যমকর্মীরা হলেন- ইন্ডিপেন্ডেন্ট টিভির ১ জন ক্যামেরাপারসন (সুস্থ), যমুনা টিভির ১ জন সংবাদকর্মী (সুস্থ), দীপ্ত টিভির ৬ জন সংবাদকর্মী (১ জন সুস্থ), এটিএন নিউজের ১ জন সংবাদকর্মী (সুস্থ), যমুনা টিভির নরসিংদী প্রতিনিধি (সুস্থ), একাত্তর টিভির গাজীপুর প্রতিনিধি (সুস্থ), বাংলাদেশের খবরের ১ জন সংবাদকর্মী (সুস্থ), দৈনিক সংগ্রামের ১ জন (সুস্থ), মাছরাঙা টিভির সাধারণ সেকশনরে ১ জন কর্মকর্তা, নারায়নগঞ্জের শীতলক্ষ্যা পত্রিকার সম্পাদকসহ (সপরিবার) রেডিও টুডের নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি, ভোরের কাগজের বামনা উপজেলা (বরগুনা) প্রতিনিধি (সুস্থ), চ্যানেল আই এর অনুষ্ঠান বিভাগের ১ জন, দৈনিক প্রথম আলোর ১ জন।

দৈনিক আলোকিত বাংলাদেশের কাপাসিয়া (গাজীপুর) প্রতিনিধি (সুস্থ), নিউজ পোর্টাল পূর্বপশ্চিমের জামালপুর প্রতিনিধি, দৈনিক আজকালের খবরের বামনা (বরগুনা) প্রতিনিধি, নিউজ পোর্টাল বিবার্তার একজন সংবাদকর্মী, দৈনিক ইনকিলাবের একজন সংবাদকর্মী, দৈনিক জনতার একজন নারী সংবাদকর্মী, দৈনিক কালেক কণ্ঠের একজন ফটোগ্রাফার, এনটিভির ৪ জন সংবাদকর্মী এবং একজন মেকাপ আর্টিস্ট, দৈনিক আমার বার্তা’র সম্পাদক, আরটিভির বার্তাকক্ষের একজন সংবাদকর্মী, বাংলাভিশনের একজন রিপোর্টার, এসএ টিভির গাজীপুর প্রতিনিধি, দৈনিক সময়ের আলোর নগর সম্পাদক হুমায়ুন কবির খোকন (মৃত), যশোরের স্থানীয় দৈনিক লোকসমাজের একজন সাব-এডিটর, দৈনিক প্রতিদিনের সংবাদের একজন রিপোর্টার, নতুন সময় টিভির (আইপিটিভি) একজন নিউজ প্রেজেন্টার, দৈনিক সময়ের আলোর একজন ফটোগ্রাফার।

আক্রান্ত সংবাদকর্মীরা জানান, প্রতিনিয়ত অফিসের বাইরে সংবাদ সংগ্রহের কাজে নিয়োজিত থাকায় তারা করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। তবে কেউ কেউ বলছেন, আক্রান্তের পর সঠিক চিকিৎসা পেতে নানা বিড়ম্বনার মুখোমুখিও হতে হচ্ছে তাদের।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক করোনা আক্রান্ত এক সংবাদকর্মী সারাবাংলাকে বলেন, ‘করোনার উপসর্গ থাকার কথা উল্লেখ করেও টানা সাত দিন পরীক্ষা করার কোন লোক পাইনি। পরে নিজ উদ্যোগে হাসপাতালে গিয়ে লাইনে দাঁড়িয়ে থেকে পরীক্ষা করিয়ে জানতে পারি করোনা পজেটিভ। এরপর নিজ উদ্যোগেই একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে বাসায় ফিরেছি। কিন্তু বিড়ম্বনার কথা বলে শেষ করা যাবে না।’

অপর একজন আক্রান্ত ফটো সাংবাদিক সারাবাংলাকে বলেন, ‘আক্রান্ত হওয়ার পর অফিস থেকে সহযোগিতা না করলে সুস্থ হতে পারতাম কিনা জানি না। কারণ সরকারি যে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলাম সেখানে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করেও ডাক্তারের দেখা পেতাম না। সরকারি হাসপাতালে করোনার সব রোগীকে একই ওয়ার্ডে রাখার ফলে কেউ কেউ একজন করোনা রোগী অন্য আরেকজন করোনা রোগীর হাঁসফাঁস দেখে ঘাবড়ে যেতে পারেন। যেমনটা আমার ক্ষেত্রেই হয়েছিল। যদিও মনোবল শক্ত ছিল বলে হয়তো সুস্থ হতে পেরেছি।’ তাই করোনা আক্রান্ত হলেও বাসায় নিরাপদে থেকে চিকিৎসা নেওয়ার অনুরোধও জানিয়েছেন তিনি।

করোনাভাইরাস গণমাধ্যমকর্মী টপ নিউজ সাংবাদিক


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর