হোম কোয়ারেনটাইনের ভয় দেখিয়ে চাঁদা দাবি, এসআই ক্লোজড
১ মে ২০২০ ২২:৪৮
সিরাজগঞ্জ : সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া মডেল থানার সাব ইন্সপেক্টর (এসআই) মানিক মিয়ার বিরুদ্ধে এক ব্যবসায়ীকে হোম কোয়ারেনটাইনে রাখার ভয় দেখিয়ে চাঁদা দাবির অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্ত এসআই ডাক্তারি ছুটিতে থাকাকালীন নিজ থানা ছেড়ে পার্শ্ববর্তী তাড়াশ থানার তালম শিবপাড়া গিয়ে চাঁদা দাবি করেন।
ভুক্তভোগীর স্ত্রী মুর্শিদা খাতুন নিজেই উল্লাপাড়া মডেল থানার ওসির কাছে এমন অভিযোগ করেন। পরবর্তীতে বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও ওসির মাধ্যমে অবগত হন। এরপর দায়িত্বে অবহেলার দায়ে সাব ইন্সপেক্টর মানিককে ক্লোজ করে সিরাজগঞ্জ পুলিশ লাইন্সে প্রত্যাহার করা হয়।
অভিযোগকারী মুর্শিদা খাতুন তাড়াশ উপজেলার তালম শিবপাড়া গ্রামের অধিবাস আবুজল প্রামানিকের স্ত্রী। চলমান করোনায় আবুজল প্রামাণিক ঢাকা থেকে গ্রামের বাড়ি এসে আটকা পড়েন। জীবন জীবিকার তাগিদে গত প্রায় এক মাস থেকে আবুজল স্থানীয়ভাবে মাস্কের ব্যবসা শুরু করেছেন। ঢাকা থেকে আগত আবুজলকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখার ভয় দেখিয়ে গত ২৩ এপ্রিল তার নিকট চাঁদা দাবি করা হয়। ডাক্তারি ছুটিতে থাকা উল্লাপাড়া থানার সাব ইন্সপেক্টর মানিক মিয়া সশরীরে গিয়ে চাঁদা দাবি করেন। তার স্ত্রী মুর্শিদা খাতুন পরে নিজেই ওসির নিকট এমন অভিযোগ করেন।
উল্লাপাড়া মডেল থানার ওসি দীপক কুমার বলেন, ‘পুলিশ সুপার কার্যালয় থেকে এক আদেশে বুধবার রাতে মানিককে ক্লোজড করে পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করা হয়েছে। আদেশপত্রে চাঁদা দাবির অভিযোগ না থাকলেও মানিকের দায়িত্বে অবহেলার বিষয় উল্লেখ রয়েছে। ডাক্তারি ছুটিতে থেকে তাড়াশ গিয়ে যে ঘটনাটি সে ঘটিয়েছে, সেটি ন্যাক্কারজনক।
এ বিষয়ে বক্তব্য নিতে সাব ইন্সপেক্টর মানিক মিয়ার মুঠোফোনে শুক্রবার কল করা হলে সাংবাদিক পরিচয় শুনেই তাৎক্ষণিক তিনি ফোন কেটে দেন। এর আগেও দায়িত্ব অবহেলা ও কর্মক্ষেত্রে ফাঁকি দেওয়ার অপরাধে মানিক মিয়ার বিরুদ্ধে উল্লাপাড়া থানার সিনিয়র সহকর্মীরা দুটি জিডিও করেছেন বলে জানা যায়।
সিরাজগঞ্জ পুলিশ সুপার কার্যালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা পদোন্নতিপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার আবু ইউসুফ ক্লোজের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ‘বিষয়টি বিব্রতকর। তারপরেও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’