‘টেকনাফের পোকাগুলো পঙ্গপাল নয়, ঘাস ফড়িং’
৩ মে ২০২০ ২১:৩০
ঢাকা: কক্সবাজারের টেকনাফে যে পোকাগুলো দেখা গেছে তা পঙ্গপাল নয় বলে নিশ্চিত করেছেন দেশের কীটতত্ত্ববীদদের একটি বিশেষজ্ঞ প্রতিনিধি দল। পোকাগুলো ঘাস ফড়িংয়ের একটি শ্রেণি বলে জানিয়েছেন তারা।
রোববার (২ মে) টেকনাফের লম্বরী নামক স্থান পরির্দশন শেষে তারা এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে। সারাবাংলার কাছে প্রতিবেদনটির একটি অনুলিপি এসেছে।
আরও পড়ুন: ‘পঙ্গপাল নিয়ে শঙ্কা নেই, ভারতীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদন ভিত্তিহীন’
রোববার বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের কীটতত্ত্ব বিভাগের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. নির্মল কুমার দত্ত, বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের কীটতত্ত্ব বিভাগের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. নাজমুল বারী, বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের কীটতত্ত্ব বিভাগের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. তাজমুল হক ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের সমন্বিত বালাই ব্যবস্থাপনা উইংয়ের উপ-পরিচালক রেজাউল ইসলামসহ একটি প্রতিনিধি দল ওই স্থানটি পরিদর্শন করে। পরে তারা কৃষি মন্ত্রণালয়ে একটি প্রতিবেদন জমা দেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২ মে কৃষি মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট, বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট ও বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের প্রতিনিধিরা ওই এলাকা পরির্দশন করে। পরিদর্শনকালে ওই স্থানে মাত্র কয়েকটি পোকার উপস্থিতি দেখা গেছে। এবং পূর্ববর্তী পোকার নমুনা পরীক্ষা করে দেখা যায় এটি বিধ্বংসী পঙ্গপাল নয়। এটি এক শ্রেণির ঘাস ফড়িং। এটি বাংলাদেশে অনেক আগে থেকে রেকর্ডকৃত একটি পোকা।
আরও পড়ুন- ভারত ও বাংলাদেশের দিকে ধেয়ে আসছে পঙ্গপালের দু’টি দল
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, স্থানীয় কৃষক নুর কবির এবং আবদুল্লাহর কাছ থেকে জানা যায়, অনেক বছর আগে থেকে এই পোকা এলাকায় দেখা যায়। এই পোকা এখন পর্যন্ত ধান, সবজি বা ফসলে দেখা যায়নি। শনাক্তকারী পোকাটি বনজ ও ফলজ বৃক্ষের একটি অপ্রধান ক্ষতিকর পোকা। এটি অন্যান্য ফসলেরও সামান্য ক্ষতি করতে পারে। স্থানীয় কৃষি অফিস থেকে সাইপারমেথ্রিন+ ক্লোরপাইরিফস ও ল্যাম্বডা-সাইহ্যালোথ্রিন ২.৫ এসি গ্রুপের কীটনাশক প্রয়োগ করে এ পোকা সফলভাবে দমন করা গেছে।
জানতে চাইলে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের কক্সবাজারের উপ-পরিচালক মো. আবুল কাশেম সারাবাংলাকে বলেন, ‘রোববার কীটতত্ত্ববীদদের একটি বিশেষজ্ঞ প্রতিনিধি দল আক্রান্ত এলাকা পরিদর্শন করেছেন। তারা এখানে একটি প্রতিবেদন দিয়ে গেছেন। কৃষি মন্ত্রণালয়ে একটি প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন। প্রতিবেদনে তারা বলেছেন, পোকাটি পঙ্গপাল নয়। সেটি ফড়িংয়ের একটি প্রজাতি।’
এদিকে বিশেষজ্ঞরা কৃষি মন্ত্রণালয়ের প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন বলে সারাবাংলাকে জানিয়েছেন কৃষি সচিব নাসিরুজ্জামানও।
আরও পড়ুন:
পঙ্গপালের ঝুঁকিতে নেই বাংলাদেশ
টেকনাফে পাতা খাচ্ছে নতুন পোকা, ঘাস ফড়িং না পঙ্গপাল?