Friday 06 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

লকডাউনে গণমাধ্যমের ওপর ‘অবৈধ’ হস্তক্ষেপ, মুক্তপ্রকাশের উদ্বেগ


৪ মে ২০২০ ০০:৫৭

গণমাধ্যমের ওপর রাজনৈতিক ও প্রশাসনিকভাবে ক্ষমতাসীনদের অবৈধ হস্তক্ষেপের ব্যাপারে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ফোরাম ফর ফ্রিডম অব এক্সপ্রেশন বাংলাদেশ (মুক্তপ্রকাশ)। ১০ জন বিশিষ্ট গণমাধ্যম অধিকার কর্মী স্বাক্ষরিত ওই বিবৃতি রোববার (৩ মে) সংগঠনটির লিয়াঁজো অফিস থেকে প্রকাশ করা হয়েছে।

ওই বিবৃতিতে বলা হয়, নভেল করোনাভাইরাসের গণসংক্রমণ ঠেকাতে মার্চের ২৬ তারিখ থেকে বাংলাদেশে সাধারণ ছুটি ঘোষণার মাধ্যমে লকডাউন কার্যকর করা হচ্ছে। এই লকডাউনের মধ্যে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের হতদরিদ্র মানুষের দুর্দশার কথা বিবেচনা করে সরকারিভাবে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য (বিশেষত চাল, ডাল, তেল) ত্রাণ হিসেবে দেওয়া হচ্ছে। দেশের কয়েকটি স্থানে সেই ত্রাণের সামগ্রী চুরি করে ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের নেতা এবং স্থানীয় সরকারের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি (উপজেলা চেয়ারম্যান, ইউপি চেয়ারম্যান)। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্পষ্ট নির্দেশনা থাকা সত্ত্বেও কারা এই চুরি, দুর্নীতি ও অস্বচ্ছতার সঙ্গে জড়িত তাদের পরিচয় গণমাধ্যমে প্রকাশ করতে গিয়ে অবৈধ রাজনৈতিক হস্তক্ষেপের মুখে পড়েছেন গণমাধ্যমকর্মীরা।

লকডাউন চলাকালে বাংলাদেশে অন্তত ২০ জন সাংবাদিক, হুইসেলব্লোয়ার, নাগরিক ভিডিও ব্লগারদের মতো গণমাধ্যমকর্মীদের বিরুদ্ধে ডিজিটাল আইনে মামলা, শারীরিক আক্রমণ, পুলিশি হয়রানি এবং প্রশাসনিক ভয়ভীতি দেখানোর মতো ঘটনা ঘটেছে।

মুক্তপ্রকাশ দাবি করেছে, লকডাউনের মধ্যে গণমাধ্যমকর্মীদের কাজ করার জন্য সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ ছিল ঠাকুরগাঁও জেলা। জেলায় এক সপ্তাহে ছয়জন সাংবাদিকের বিরুদ্ধে সাইবার সিকিউরিটি আইনে দুইটি মামলা হয়েছে। একটি মামলা দায়ের করেছেন উপজেলার ক্ষমতাসীন স্বেচ্ছাসেবক সংগঠনের নেতা, আরেকটি মামলা দায়ের করেছে স্বয়ং জেলা প্রশাসন। এছাড়াও পুলিশি হয়রানির শিকার হয়েছেন একজন গণমাধ্যমকর্মী।

এদিকে, ভোলার বোরহানউদ্দিনে ফেসবুক লাইভে এসে ত্রাণের সামগ্রী চুরির কথা বলে শারীরিকভাবে লাঞ্চিত হয়েছেন একজন ভিডিও ব্লগার। পরে অবশ্য এই ঘটনায় স্থানীয় চেয়ারম্যানের পুত্র ও ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের মদদপুষ্ট ছাত্র সংগঠনের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার এক কর্মীকে পুলিশ আটক করেছে।

এছাড়াও সিলেটের নবীগঞ্জে স্থানীয় এক রাজনৈতিক নেতার চাল চুরির ভিডিও ফেসবুকে প্রকাশ করার কারণে হামলার শিকার হন তিন গণমাধ্যমকর্মী।

অন্যদিকে, বগুড়া, চট্টগ্রাম ও ঢাকা সিটিতে পাঁচ গণমাধ্যমকর্মীকে দায়িত্বপালনরত অবস্থায় পুলিশ আটক ও হয়রানি করে।

বরিশাল, সিলেটের জৈন্তাপুর ও নরসিংদীতে ফেসবুকে ভিডিও প্রকাশের কারণে ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের দ্বারা শারীরিকভাবে লাঞ্চিত হয়েছেন তিন গণমাধ্যমকর্মী।

গণমাধ্যমকর্মীদের ওপর নৃশংস শারীরিক আক্রমণ, আইনি হয়রানি ও আটক অবিলম্বে বন্ধ করে ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলোর ব্যাপারে যথাযথ পদক্ষেপ প্রত্যাশা করেছে মুক্তপ্রকাশ।

চাল চুরি পুলিশি হয়রানি ফেসবুক লাইভ ফোরাম ফর ফ্রিডম অব এক্সপ্রেশন বাংলাদেশ (মুক্তপ্রকাশ) সাইবার সিকিউরিটি আইন


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর