সমস্যাকে সুযোগে পরিণত করতে হবে: পলক

ঢাকা: ব্লকচেইন প্রযুক্তির ব্যবহার করে সমস্যাকে সুযোগে পরিণত করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।

সোমবার (৩ মে) ‘ব্লকচেইন  অলিম্পিয়াড বাংলাদেশ ২০২০’ শীর্ষক এক ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। দেশে প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত ব্লকচেইন অলিম্পিয়াডে অংশ নেওয়া বিজয়ী দলগুলোকে অভিনন্দন জানান তিনি।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশের শিক্ষার্থীদের নতুন নতুন উদ্ভাবনীর দ্বারা সমস্যাকে সুযোগে পরিণত করতে হবে। উদ্ভাবনী ও সৃজনশীল চিন্তা থেকে যেকোনো সমস্যাকে সুযোগে পরিণত করতে পারে দেশের তরুণ শিক্ষার্থীরা। তাদের উদ্ভাবনী ও সৃজনশীল চিন্তার সঙ্গে ব্লকচেইনের মতো অত্যাধুনিক প্রযুক্তির সমন্বয় ঘটিয়ে কৃষি, শিক্ষা, স্বাস্থ্যসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে তা ব্যবহার করা হলে দেশ অনেক দূর এগিয়ে যাবে।

তিনি বলেন, প্রয়োজন থেকেই নতুন নতুন উদ্ভাবনের জন্ম হয়। করোনাকালে আমরা সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখছি ঠিকই, কিন্তু বুদ্ধিবৃত্তিক উদ্ভাবনের দ্বারা ভার্চুয়াল জগতে আমরা একে অপরের কাছাকাছি আছি।

অনুষ্ঠানে ব্লকচেইন অলিম্পিয়াড বাংলাদেশের সমন্বয়ক হাবিবুল্লাহ এন করিম দেশে প্রথবারের মতো অনুষ্ঠিত ব্লকচেইন অলিম্পিয়াড প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারীদের মধ্য থেকে ১০টি দলকে বিজয়ী ঘোষণা করেন। অনুষ্ঠানে বিজয়ী দলগুলোকে পুরস্কারের অর্থের ভার্চুয়াল চেক দেওয়া হয়। আর চ্যাম্পিয়নশিপ অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হয় সদ্যপ্রয়াত জাতীয় অধ্যাপক  জামিলুর রেজা চৌধুরীর নামে, যিনি ব্লকচেইন অলিম্পয়াড বাংলাদেশের একজন উপদেষ্টা  ছিলেন।

আইসিটি প্রতিমন্ত্রী চ্যাম্পিয়ন দলের প্রধান অনিরুদ্ধকে তার নগদ অ্যাকাউন্টে পুরস্কারের এক লাখ টাকা স্থানান্তর করেন। বিজয়ীদের হংকং ব্লকচেইন অলিম্পিয়াডে অংশগ্রহণের স্পনসর করা হবে বলে জানানো হয়।

হাবিবুল্লাহ বলেন, ৫৭ জনের একটি জুরি বোর্ড অংশগ্রহণকারী ৬২টি দলের জমা দেওয়া ৬২টি প্রকল্প মূল্যায়ন করে। এরপর তারা ১০টি দলকে বিজয়ী দল হিসেবে নির্বাচন করেন।

বিজয়ী দলগুলো হচ্ছে— হাইপারঅ্যাকটিভ অরেঞ্জেস, টিম লীড চেইন, ডিইউ নিমবাস, টিম ডিজিটাল ইনোভেশন, টর, ওয়েব থ্রি ডট ওয়ান, ব্রোগ্রামারস, এভিয়াটো, ডিইউ হাইপালেজার ও কসমিক ক্রিউ।

অনলাইন পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানের শুরুতে প্রয়াত জাতীয় অধ্যাপক জামিলুর রেজা চৌধুরীর স্মরণে একটি ভিডিও প্রদর্শন করা হয়।

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সচিব এন এম জিয়াউল আলম,  শিক্ষাবিদ অধ্যাপক ড. জাফর ইকবাল, ব্লকচেইন অলিম্পিয়াড বাংলাদেশের আহ্বায়ক ও বুয়েটের কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. এম কায়কোবাদ ও সমন্বয়ক হাবিবুল্লাহ এন করিম, বেসিস সভাপতি আলমাস কবিরসহ আরও অনেকেই এই ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে যুক্ত ছিলেন।

এর আগে, জাতীয় অধ্যাপক জামিলুর রেজা চৌধুরীর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বক্তব্য রাখেন প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, অধ্যাপক জাফর ইকবাল, অধ্যাপক কায়কোবাদ, অধ্যাপক সৈয়দ ড. ফরহাত আনোয়ার, আইসিটি সচিব এন এম জিয়াউল আলম, কম্পোট্রালার অ্যান্ড অডিটর জেনারেল মুসলিম চৌধুরী ও বেসিস সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবির।

তারা বলেন, অধ্যাপক জামিলুর রেজার শূন্যতা পূরণ হওয়ার নয়। পরবর্তী প্রজন্মকে তার জীবন দর্শন অনুসরণ করতে হবে। তিনি তার কর্মের মাঝে বেঁচে থাকবেন। তিনি বিশ্বে বাংলাদেশকে তুলে ধরেছেন ইতিবাচকভাবে। দেশের কোনো কমিটিতে তিনি থাকলে সেই কাজটি খুবই ভালোভাবে হয়েছে। তার অবদান সর্বজন স্বীকৃত। আইসিটি পরিবার তার কাছে কৃতজ্ঞ। তাকে হারিয়ে দেশ ও আইসিটি পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত। তার রেখে যাওয়া দর্শনকে ধারণ করে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে।

জুনাইদ আহমেদ পলক তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ব্লকচেইন ব্লকচেইন  অলিম্পিয়াড বাংলাদেশ ২০২০ ব্লকচেইন প্রযুক্তি