বসলো পদ্মাসেতুর ২৯তম স্প্যান, দৃশ্যমান প্রায় সাড়ে ৪ কিলোমিটার
৪ মে ২০২০ ১২:২২
ঢাকা: বসলো পদ্মাসেতুর সেতুর ২৯তম স্প্যান। ৪১ টি স্প্যানের মধ্যে ২৯টি বসে এখন দৃশ্যমান হলো ৪ হাজার ৩৫০ মিটার। যা প্রায় সাড়ে চার কিলোমিটারের কাছাকাছি। সেতুটি ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার লম্বা।
সোমবার (৪ মে) সকাল ১১ টায় পদ্মানদীর মুন্সীগঞ্জ মাওয়া প্রান্তে ১৯ ও ২০ নাম্বার খুঁটিতে বসানো হয় এ স্প্যান। এর আগের দিন এটি ক্রেনে তুলে খুঁটির কাছে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। আর বাকি রইল মাত্র ১২টি স্প্যান বসানো।
প্রকল্প এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, পদ্মাসেতুর ৪১টি স্প্যানের মধ্যে মাওয়া প্রান্তে ২০টি, মাঝনদীতে ১টি আর জাজিরা প্রান্তে ১৮টি স্প্যান শেষ হয়েছে। এখন কেবল মাওয়া প্রান্তে ১০টি ও জাজিরা প্রান্তে ২টি বসানো বাকি।
সেতু নির্মাণকারী চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, শুষ্ক মৌসুমে পদ্মাসেতুর কাজ প্রধান বাধা হয়ে দাঁড়ায় পলিমাটি। কারণ বর্ষায় পদ্মাসেতুর গোড়ায় প্রায় ২ বিলিয়ন টন পলি জমা পড়ে। এগুলো সেতুর ১৭ থেকে ৩৮ নাম্বার পর্যন্ত খননকৃত চ্যানেল বন্ধ করে দেয়। এজন্য শুষ্ক মৌসুম আসার আগেই জাজিরায় বাকি থাকা দুটি স্প্যান দ্রুত বসিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছেন তারা। ৩০ শে জুনের আগেই জাজিরায় ২৬, ২৭ ও ২৮ নাম্বার খুঁটিতে বসবে স্প্যান।
সেতুর ৪১টি স্প্যানের মধ্যে বাংলাদেশে ৩৯টি আনা হয়েছে। স্থাপনা শেষ হয়েছে ২৯টি। আরও ১০টি মাওয়া কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ডে ওয়েল্ডিং, অ্যাসেম্বলি ও পেইন্টিং এর কাজ চলছে। বাকি দুটি স্প্যানের কিছু যন্ত্রাংশ চীন থেকে মংলা বন্দরে এসেছে। বাকিগুলো চীনে তৈরি শেষে শিনহোয়াংডাও বন্দরে লোডিং কাজ চলছে। আগামী ৫ মে বাংলাদেশের উদ্দেশে জাহাজ ছাড়বে। এরপর জুন মাসের প্রথম সপ্তাহে এটি মাওয়া পৌঁছাবে। এর মাধ্যমে শেষ হবে পদ্মাসেতুর সব ধরনের ওয়ার্কশপ কাজ।
পদ্মাসেতুর প্রকল্প পরিচালক শফিকুল ইসলাম জানান, করোনার মধ্যে পদ্মাসেতুর কাজ সন্তোষজনকভাবে এগিয়েছে। এখন বাকি থাকা দুটি স্প্যানও বাংলাদেশে আসার পথে। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে মাওয়া পৌঁছে যাবে আশা করা যায়। আগামী বছর জুনে শেষ হবে সেতুর কাজ।