শপিংমল-দোকান খুলবে ১০ মে, খোলা থাকবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত
৪ মে ২০২০ ২০:১৩
ঢাকা: ঈদুল ফিতর সামনে রেখে আগামী ১০ মে থেকে সীমিত আকারে দোকানপাট ও শপিংমল খোলা রাখার অনুমতি দিয়েছে সরকার। তবে সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত এসব প্রতিষ্ঠান খোলা রাখা যাবে। একইসঙ্গে দোকানপাট ও শপিংমলে স্বাস্থ্যবিধিও অনুসরণ করতে হবে। পাশাপাশি আন্তঃজেলা ও আন্তঃউপজেলা যোগাযোগ বা চলাচল কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।
সোমবার (৪ মে) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের এক চিঠিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এর আগে একই বিভাগের চিঠিতে বিকেল ৫টা পর্যন্ত শপিংমল ও দোকানপাট খোলা রাখা যাবে বলে জানানো হয়েছিল। তবে কবে থেকে দোকানপাট খোলা রাখা যাবে, সে বিষয়ে ওই চিঠিতে কিছু বলা ছিল না।
আরও পড়ুন- ঈদ সামনে রেখে দোকানপাট চালু রাখার ইঙ্গিত প্রধানমন্ত্রীর
আগের চিঠির সূত্র ধরে এ বিষয়ে স্পষ্ট নির্দেশনা দিয়ে নতুন চিঠিতে বলা হয়েছে, করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) বিস্তার রোধ ও পরিস্থিতির উন্নয়নের লক্ষ্যে ৭ থেকে ১৬ মে পর্যন্ত (সাপ্তাহিক ছুটিসহ) সাধারণ ছুটি বাড়ানো হয়েছে। এ অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় দেশের বিভিন্ন জেলা, উপজেলায় অভ্যন্তরীণভাবে ব্যবসা-বাণিজ্য, দোকানপাট, শপিংমলসহ অন্যান্য কার্যক্রম আগামী ১০ মে থেকে সীমিত আকারে চালু রা যাবে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কার্যালয়গুলোকে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে চিঠিতে। একইসঙ্গে আন্তঃজেলা ও আন্তঃউপজেলা যোগাযোগ বা চলাচল কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করতেও বলা হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়েছে, হাটবাজার, ব্যবসা কেন্দ্র, দোকানপাট ও শপিংমলগুলো সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত সীমিত রাখতে হবে। একইসঙ্গে প্রতিটি শপিংমলে প্রবেশের ক্ষেত্রে হ্যান্ড স্যানিটাইজারের ব্যবহারসসহ স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয় ঘোষিত সতর্কতা অনুসরণ করতে হবে।
আরও পড়ুন- শপিংমল-দোকান খোলা রাখা যাবে বিকেল ৫টা পর্যন্ত
ঈদকে সামনে রেখে কেনাকাটার সুযোগ উন্মুক্ত করে দেওয়া হলেও ঈদের ছুটিতে প্রত্যেককে নিজ নিজ স্থানেই থাকতে বলা হয়েছে। চিঠিতে বলা হয়েছে, আসন্ন ঈদের ছুটিতে জনগণকে নিজ নিজ স্থানে থাকতে হবে এবং আন্তঃজেলা, আন্তঃউপজেলা ভ্রমণ বা বাড়িতে যাওয়া থেকে তাদের বিরত রাখতে হবে।
এ বিষয়গুলো বাস্তবায়ন করতে সংশ্লিষ্ট দফতরগুলোকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা জারি করতে বলেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
এদিকে, বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি মো. হেলাল উদ্দিন বলেন, এরই মধ্যে আইজিপি ও বাণিজ্য সচিব আমাকে জানিয়েছেন, মার্কেট ও দোকান খোলার ক্ষেত্রে কিছু শর্ত দেওয়া হয়েছে। এসব শর্ত পূরণ করে ১০ মে’র আগেই পুলিশের সঙ্গে কথা বলে ১০ মে থেকে আমরা সীমিত আকারে মার্কেটগুলো খোলা রাখার ব্যবস্থা করব। এ ক্ষেত্রে যেসব মার্কেট বা দোকানে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করা হবে না, সেসব মার্কেট বা দোকান এড়িয়ে চলতেও ক্রেতাদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
এর আগে, সোমবার (৪ মে) সকালে গণভবন থেকে রংপুর বিভাগের জেলাগুলোর সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে সূচনা বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রীও ইঙ্গিত দেন, ঈদুল ফিতর সামনে রেখে সীমিত আকারে দোকানপাট খুলে দেওয়া হতে পারে।