তুচ্ছ ঘটনায় খুন হয় নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের তৌহিদুল, আসামি কারাগারে
৪ মে ২০২০ ২১:৫৬
ময়মনসিংহ: জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী তৌহিদুল ইসলাম হত্যায় আশিকুজ্জামান আশিককে গ্রেফতার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। আদালতে আশিকের ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তির পর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। সোমবার (৪ মে) বিকালে পুলিশের মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এ নিয়ে প্রেস ব্রিফিং করেছেন পুলিশ সুপার আহমার উজ্জামান।
পুলিশ সুপার আহরাম উজ্জামান বলেন, ‘তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। ঘটনার দুই দিন আগে রোজার দিনে প্রকাশ্যে আশিকের সিগারেট খাওয়াকে কেন্দ্র করে তৌহিদুলের বাগবিতণ্ডা হয়। এর আগে থেকেই আশিক তৌহিদুলের দামী মোবাইলটি ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছিল। ঘটনার রাতে মোবাইলটি চুরি করার জন্য সে পাশের টিনের বাড়ির ওপর দিয়ে দোতলায় উঠে তৌহিদুলের ঘরে ঢুকে। বিষয়টি টের পেয়ে তৌহিদুল আশিককে জাপটে ধরে। এ সময় ঘরে থাকা একটি লোহার রড দিয়ে তৌহিদুলের বুকে ও অন্যান্য স্থানে আঘাত করে আশিক।’
এসময় তৌহিদুলের চিৎকারে বাড়ির মালিক বের হয়ে এলে আশিক দোতলা দিয়ে পালিয়ে যায়। আহত তৌহিদুলকে দ্রুত হাসপাতালে নেওয়া হলে সে একটি জবানবন্দি দিয়ে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে। মারা যাবার আগে সে তার এক বন্ধুকে মোবাইলে মেসেজ দিয়ে বিস্তারিত জানিয়েছে বলেও তদন্তে জানা গেছে।
উল্লেখ্য, গত ১ মে ময়মনসিংহ নগরীর তিনকোনা পুকুরপাড় এলাকায় জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী তৌহিদুল ইসলামকে রড দিয়ে আঘাত করলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। নিহত তৌহিদুল ইসলাম খান (২৫) নেত্রকোনার আটপাড়ার রামেশ্বরপুরের মো. সাইকুল ইসলামের ছেলে।
ঘটনার রহস্য উদঘাটনে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ ও কোতোয়ালি থানা পুলিশ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আল আমিনের নেতৃত্বে যৌথভাবে তদন্তে নামে। পরে গতকাল রোববার রাতে আশিককে আকুয়া বোর্ড ঘর এলাকা থেকে আটক করে গোয়েন্দা পুলিশ। আজ সোমবার তাকে আদালতে হাজির করা হলে আশিক ১৬৪ধারায় জবানবন্দি দিয়ে হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আল আমিন, হুমায়ুন কবীর, মো. শাহজাহান, কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুল ইসলাম, জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহ কামাল আকন্দসহ অন্যরা।