এপ্রিলের আগে বিতরণ করা ঋণের ২ মাসের সুদ স্থগিত
৫ মে ২০২০ ০০:২৫
ঢাকা: করোনাভাইরাসের কারণে সব ধরনের ব্যাংক ঋণের সুদ আদায় দুই মাস স্থগিত করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এ সুবিধা কেবল চলতি বছরের ৩১ মার্চের আগে নেওয়া ঋণের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে। চলতি বছরের ১ এপ্রিলের পরে বিতরণ করা ঋণের সুদ আদায় করতে পারবে ব্যাংক।
সোমবার (৪ মে) বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, করোনাভাইরাসের কারণে সৃষ্ট ব্যবসায়িক পরিস্থিতি বিবেচনায় ব্যাংকের সব ধরনের ঋণ বা বিনিয়োগের ওপর চলতি বছরের ১ এপ্রিল থেকে ৩১ মে পর্যন্ত সময়ে আরোপিত ও আরোপযোগ্য সুদ বা মুনাফা ‘সুদবিহীন ব্লকড’ হিসেবে স্থানান্তর করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত স্থানান্তরিত সুদ গ্রহীতার কাছ থেকে আদায় করা যাবে না। পাশাপাশি এ ধরনের সুদ/মুনাফা ব্যাংকের আয় খাতে স্থানান্তর করাও যাবে না বলে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে নতুন নির্দেশনায়, ঋণ বা বিনিয়োগের ওপর আরোপিত ও আরোপযোগ্য সুদ বা মুনাফা ব্লকড হিসাবে এবং আয় খাতে স্থানান্তরের বিষয়ে স্পষ্ট করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, চলতি বছরের ৩১ মার্চ পর্যন্ত গ্রাহকদের যেসব ঋণ দেওয়া হয়েছে, কেবল সেসব ঋণের দুই মাসের সুদ স্থগিদ হবে। তবে ১ এপ্রিল থেকে নতুনভাবে বিতরণ বা উত্তোলন করা ঋণের ক্ষেত্রে এ নির্দেশনা প্রযোজ্য হবে না।
গত ১ এপ্রিল থেকে বিতরণ করা ঋণের সুদ যথাযথ নিয়মে আদায় করা যাবে। ব্যাংক কোম্পানি আইন, ১৯৯১-এর ৪৫ ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে এ নির্দেশনা জারি করা হয়েছে বলে উল্লেখ করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
এর আগে গত রোববার (৩ মে) সব ধরনের ঋণের সুদ দুই মাস স্থগিত করে সার্কুলার জারি করে বাংলাদেশ ব্যাংক।
ঋণে সুদ বাংলাদেশ ব্যাংক সুদ সুদ আদায় সুদবিহীন ব্লকড হিসাবে স্থানান্তর