ফ্লাইট বন্ধের সময়সীমা বাড়ছে
৫ মে ২০২০ ১৮:২৬
ঢাকা: করোনাভাইরাসের কারণে এরই মধ্যে বন্ধ রাখা হয়েছে অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক সব ফ্লাইট। একাধিক দফায় ফ্লাইট বন্ধের এই সময়সীমা বাড়ানো হয়েছে। সবশেষ ৭ মে পর্যন্ত ফ্লাইট বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছিল। এবারে আরও কিছুদিনের জন্য অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক ফ্লাইট বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে বাংলাদেশ বেসরকারি বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)।
সংস্থাটি সূত্রে আরও জানা গেছে, আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ বিমান চলাচল আগামী ১৬ মে পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। তবে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চলাচলে ভিন্ন সিদ্ধান্ত আসলেও আসতে পারে, সেটি নির্ভর করছে সরকারের উচ্চ পর্যায়ের সিদ্ধান্তের ওপর। তবে এরই মধ্যে ১৬ মে পর্যন্ত সব ফ্লাইট বন্ধের সিদ্ধান্তের কথা নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ বিমান।
জানতে চাইলে বেবিচক চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মফিদুর রহমান দুপুরে সারাবাংলাকে বলেন, আমরা ৮ মে থেকে অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পরিচালনা করার চিন্তা করেছিলাম। কিন্তু করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। সাধারণ ছুটির মেয়াদও ১৬ মে পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। অন্যদিকে এয়ারপোর্ট খুলে দেওয়া হলে লোকবলের প্রয়োজন হবে। কিন্তু গণপরিবহনও বন্ধ। অর্থাৎ যারা এয়ারপোর্টে কাজ করবেন, তারা কর্মস্থলে কিভাবে আসবেন, সেটিও বড় প্রশ্ন। আর যাত্রীদের যাতায়াতের বিষয়টিও তো আছে। সব মিলিয়ে অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চলাচল আরও কিছুদিন বন্ধ থাকছে।
মফিদুর রহমান বলেন, এই সময়সীমা ১৬ মে পর্যন্ত হতে পারে। তবে আন্তর্জাতিক ফ্লাইটের ক্ষেত্রে সীমা কিছুটা শিথিল হতে পারে। সবকিছু নির্ভর করছে প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্তের ওপর। তিনি যে সিদ্ধান্ত দেবেন, সেটাই হবে।
করোনাভাইরাসের কারণে সবকিছু যেন তছনছ হয়ে গেছে। অর্থনীতি হয়েছে ভঙ্গুর। আকাশপথে বিমানের শিডিউল হয়েছে লণ্ডভণ্ড। অনেক এয়ারলাইন্স এরই মধ্যে বন্ধ হয়ে গেছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেও অনেক এয়ারলাইন্স হয়তো আর ঘুরেই দাঁড়াতে পারবে না। বিশ্বের নামকরা অনেক এয়ারলাইন্সও কর্মী ছাটাই করেছে। এমনকি যেসব দেশে এখনো ফ্লাইট চলছে, সেটাও চলছে সীমিত পরিমাণে। কারণ বেশি ফ্লাইট চালানোর মতো যাত্রীও নেই।
এর আগে, করোনাভাইরাসের কারণে ২১ মার্চ থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত যুক্তরাজ্য, চীন, হংকং, থাইল্যান্ড ছাড়া সব দেশের সঙ্গে যাত্রীবাহী সব বিমান চলাচল বন্ধ ঘোষণা করে বেবিচক। পরে যাত্রী স্বল্পতা ও করোনাভাইরাস পরিস্থিতির অবনতি ঘটায় যুক্তরাজ্য, চীন, হংকং আর থাইল্যান্ডের ফ্লাইটও বন্ধ হয়ে যায়।
পরে ফ্লাইট বন্ধের সময়সীমা বাড়ানো হয় ৭ এপ্রিল পর্যন্ত। এরপর ধাপে ধাপে সাধারণ ছুটি বাড়তে থাকলে বেবিচক-ও অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক ফ্লাইট বন্ধের সময়সীমা বাড়াতে থাকে। শেষ পর্যন্ত ৭ মে পর্যন্ত ফ্লাইট বন্ধের সিদ্ধান্ত ছিল বেবিচকের।
বেবিচকের পক্ষ থেকে এয়ারলাইন্সগুলোকে বলা হয়েছিল, ৮ মে থেকে বিমান চলাচল করবে। সেজন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতিও তাদের নিতে বলা হয়। কিন্তু এর মধ্যেই সরকার ১৬ মে পর্যন্ত সাধারণ ছুটি বাড়িয়েছে। এ কারণে বেবিচক-ও ফ্লাইট বন্ধের সময়সীমা বাড়াতে বাধ্য হচ্ছে।
এদিকে, মঙ্গলবার বিকেলে আগামী ১৬ মে পর্যন্ত ফ্লাইট বন্ধের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। তবে বিমানের বিশেষ ফ্লাইট ও চাটার্ড ফ্লাইট চালু রয়েছে। অন্যদিকে চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের যাত্রী যাতায়াত এবং কর্গো ফ্লাইট চালু আছে।
ফ্লাইট বন্ধ বিমান বাংলাদেশ বেবিচক বেসরকারি বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ