কোভিড-১৯: তৃতীয় ধাপে ৩০ হাজার পিসিআর কিট দিলো ভারত
৭ মে ২০২০ ০০:৫৩
ঢাকা: ‘দুঃসময়ে পাশে থাকি, বন্ধু বলে যখন ডাকি!’ স্লোগানে কোভিড-১৯ মোকাবিলায় বাংলাদেশকে করোনা মোকাবিলায় চিকিৎসা সরঞ্জাম সহায়তার তৃতীয় চালান পাঠিয়েছে ভারত। এবারের চালানে কোভিড-১৯ শনাক্তকরণ কিটসহ সমন্বিত জরুরি চিকিৎসা সরঞ্জাম রয়েছে। এর মাধ্যমে করোনাভাইরাস শনাক্তের জন্য ৩০ হাজার পরীক্ষা করা সম্ভব হবে।
ঢাকায় নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার রীভা গাঙ্গুলি দাশ এই সহায়তা চালান বুধবার (৬ মে) পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেনের কাছে হস্তান্তর করেন।
ঢাকার ভারতীয় মিশন থেকে পাঠানো বার্তায় জানান হয়, গত ২৯ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ফোনালাপে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশে কোভিড-১৯-এর বিস্তার নিয়ন্ত্রণে এবং স্বাস্থ্য ও অর্থনীতিতে এই মহামারির প্রভাব কমাতে বাংলাদেশকে সহায়তায় ভারতের প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছিলেন। এর অংশ হিসেবে বাংলাদেশকে সহায়তা করে আসছে ভারত।
হাইকমিশনার জানান, আরটি-পিসিআর শনাক্তকরণ কিটগুলো উৎপাদন করেছে ভারতের মাই ল্যাব ডিসকভারি সলিউশন প্রাইভেট লিমিটেড। কোভিড-১৯ শনাক্তকরণের জন্য ভারতে এই কিট বহুল ব্যবহৃত। দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ভিত্তিতে বাংলাদেশকেই প্রথম এই কিট দিয়েছে ভারত, যা দুই দেশের সম্পর্কে ভারতের গুরুত্ব দেওয়ার বিষয়টির প্রতিফলন।
দুই দেশের মধ্যেকার বন্ধুত্বের কথা স্মরণ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন মহামারি সংক্রমণের পর তিন দফায় ভারতের সহায়তার প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, শনাক্তকরণ কিটগুলো বাংলাদেশে পরীক্ষার সংখ্যা বাড়িয়ে দেবে, যা এই মুহূর্তে খুব প্রয়োজন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, তাত্ক্ষণিক ব্যবহারের উপযোগী এই পরীক্ষার কিটগুলো বাংলাদেশ সরকারকে ব্যাপকভাবে পরীক্ষা করার লক্ষ্য অর্জনে সহায়তা করবে। আরটি-পিসিআর পরীক্ষার কিটগুলো রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটে (আইইডিসিআর) পাঠানো হয়েছে। কিটগুলো প্রয়োজনীয় তাপমাত্রায় সংরক্ষিত অবস্থায় ইন্ডিগোর একটি ফ্লাইটে বাংলাদেশে নিয়ে আসার পর আইইডিসিআরে পাঠানো হয়।
‘প্রতিবেশীকে অগ্রাধিকার’ নীতির অংশ হিসেবে এবং কোভিড-১৯-এর বিস্তার রোধে একটি সহযোগিতামূলক আঞ্চলিক প্রচেষ্টা গড়ে তুলতে গত ১৫ মার্চ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সার্ক নেতাদের নিয়ে একটি ভিডিও সম্মেলন করেন।
পরে নরেন্দ্র মোদির ঘোষণায় ভারতের এক কোটি ডলার প্রাথমিক সহায়তা নিয়ে সার্ক কোভিড-১৯ জরুরি তহবিল গঠিত হয়। এই তহবিলের অধীনে ৩০ হাজার সার্জিক্যাল মাস্ক ও ১৫ হাজার হেড কভার সমন্বিত জরুরি চিকিৎসা সহায়তার প্রথম চালান ২৫ এপ্রিল পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেনকে হস্তান্তর করা হয়। এক লাখ হাইড্রোক্সিক্লোরোকুইন ট্যাবলেট ও ৫০ হাজার জীবাণুমুক্ত সার্জিকাল ল্যাটেক্স গ্লাভস সমন্বিত জরুরি চিকিৎসা সরবরাহের দ্বিতীয় চালানটি বাংলাদেশ সরকারের কাছে হস্তান্তর করা হয় ২৬ এপ্রিল।