করোনার প্রভাবে বিশ্বজুড়ে কমেছে খাদ্যপণ্যের দাম
৭ মে ২০২০ ১৬:০১
মহামারী করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে বিশ্বজুড়ে কমেছে খাদ্যেরপণ্যের দাম। জাতিসংঘের ফুড অ্যান্ড এগ্রিকালচার অর্গেনাইজেশনের (এফএও) মূল্যসূচকে দেখা গেছে ডেইরি প্রোডাক্ট, চিনি ও মাংসসহ খাদ্য পণ্যের দাম চলতি মাসে ৩ দশমিক ৪ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। এ নিয়ে পরপর তিন মাস খাদ্যপণ্যের মূল্যের এ নিম্নগতি লক্ষ্য করে গেল।
এফএও’র মূল্যসূচকে চিনির দরের সবচেয়ে বেশি পতন হয়েছে। একমাসে ১৪.৬ শতাংশ দরপতন হয়েছে এ পণ্যের যা গত ১৩ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন। করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে জ্বালানী তেলের চাহিদা কমে যাওয়ায় আখ থেকে ইথানল তৈরি কমেছে। আখের চাহিদা কমায় কমেছে চিনিরও দাম।
নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ভেজিটেবল ওয়েলের দাম পড়েছে ৫.২ শতাংশ। এছাড়া দুগ্ধজাত পণ্যের দাম কমেছে ৩.৬ শতাংশ।
লকডাউন পরিস্থিতিতে বিভিন্ন দেশে মাংসের চাহিদা অনেকটাই কমে গেছে বলে জানিয়েছে এফএও। এফওএ’র মূল্যসূচকে দেখা গেছে, বিশ্বজুড়ে মাংসের দাম কমেছে ২.৭ শতাংশ।
এফএও’র অর্থনীতিবিদ উপালি গালকেটি আরাখিলাগ বলেন, মহামারী মাংসের উৎপাদন ও চাহিদা দু’টি ক্ষেত্রেই আঘাত করেছে। বিশ্বব্যাপী রেস্টুরেন্ট বন্ধ হয়ে যাওয়া ও পরিবারপ্রতি আয় কমে যাওয়ায় মাংসের ভোক্তা কমেছে। এছাড়া মাংস প্রক্রিয়াজাতকরণের শ্রমিকেরও ঘাটতি চলছে। ফলে উৎপাদনেও ধাক্কা লেগেছে।
তবে অন্যান্য খাদ্যপণ্যের তুলনায় খাদ্যশস্যের মূল্যের পতন অবশ্য নগণ্য। করোনা পরিস্থিতিতে বিশ্বজুড়ে গম ও চালের দাম বেড়ে গেছে। এ দুই পণ্যের মূল্যের উল্লম্ফন খাদ্যশস্যের মূল্য পতনের হার অনেকটাই ঠেকিয়েছে। এফএও জানিয়েছে গত মার্চ থেকে চালের দাম বেড়েছে ৭.২ শতাংশ। অন্যতম চাল রফতানিকারক দেশ ভিয়েতনাম রফতানি নিষেধাজ্ঞা চালু করায় পণ্যটির দামে এ প্রভাব পড়েছে। এছাড়া গমের দাম বেড়েছে ২.৫ শতাংশ।