চট্টগ্রাম ব্যুরো: লকডাউন শিথিল করে দোকানপাট ও শপিংমল খুলে দিলেও অপ্রয়োজনে মার্কেটে না যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। মসজিদ ও মার্কেটে যাওয়ার সময় স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলারও আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার (৭ মে) বিকেলে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে নিয়ে এক সমন্বয় সভা শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তথ্যমন্ত্রী। চট্টগ্রামের জনপ্রতিনিধি ও সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে জেলা প্রশাসন আয়োজিত এ সমন্বয় সভায় তথ্যমন্ত্রী সভাপতিত্ব করেন। সভা সঞ্চালনা করেন করোনা প্রতিরোধে চট্টগ্রাম জেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মোস্তফা কামাল উদ্দিন।
শপিংমল, মার্কেট ও মসজিদ খুলে দেওয়ায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত বেড়ে যাওয়া আশঙ্কা নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সম্মিলিতভাবে এ বিষয়ে সচেতনতামূলক প্রচারণা চালাতে হবে। গণমাধ্যমগুলো শুরু থেকেই ভালো ভূমিকা রাখছে। সবাইকে বলব, কেউ যেন অপ্রয়োজনে মার্কেটে না যান। মানুষ যেন সমস্ত স্বাস্থ্যবিধি মেনে মার্কেট ও মসজিদে যান, সেই অনুরোধ করছি।’
মার্কেটের প্রবেশপথে জীবাণুনাশক চেম্বার স্থাপনের তাগিদ দিয়ে তিনি বলেন, “মার্কেটে যাওয়ার সময় অবশ্যই মাস্ক ও স্যানিটাইজার ব্যবহার করতে হবে। ঢোকার সময় ডিজইনফেকশন চেম্বার হয়ে প্রবেশ করলে সবাই ডিজইনফেক্টেড হয়ে যাবেন। প্রতিটি শপিংমল ও বিপণী বিতানের সামনে ‘স্বাস্থ্য বিষয়ক সতর্কবাণী না মানলে মৃত্যুর ঝুঁকি আছে’— এমন ব্যানার টাঙাতে হবে। প্রবেশপথে হ্যান্ড স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা রাখতে হবে। ক্রেতা-বিক্রেতা সবাইকে অবশ্যই মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। সামাজিক ও শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে।”
যেসব দেশে প্রতিদিন করোনায় আড়াই থেকে তিনশ মানুষের মৃত্যু হচ্ছে, সেখানেও লকডাউন শিথিল করা হয়েছে মন্তব্য করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘জীবন রক্ষা করার জন্য মানুষের জীবিকাকেও রক্ষা করতে হবে। কিন্তু সেজন্য আমাদের অবশ্যই সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। সরকারের পক্ষ থেকে আগামী ১০ মে থেকে দোকানপাট সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত সীমিত আকারে খোলার সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়েছে। সেখানে কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে।’
চট্টগ্রামে দিনে অন্তত ৫০০ নমুনা পরীক্ষার ব্যবস্থা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ড. হাছান মাহমুদ। এছাড়া যেসব এলাকা লকডাউন করা হচ্ছে, সেখানে আনসার ও স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগের সিদ্ধান্ত সভায় হয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন।
সভায় আরও বক্তব্য রাখেন সংসদ সদস্য ওয়াসিকা আয়েশা খানম, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন, বিভাগীয় কমিশনার এ বি এম আজাদ, পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি খন্দকার গোলাম ফারুক, জেলা প্রশাসক মো. ইলিয়াস হোসেন, বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক হাসান শাহরিয়ার কবির ও সিভিল সার্জন সেখ ফজলে রাব্বি।