Thursday 06 Feb 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

উন্নয়ন বাজেটের ৪০ ভাগ কৃষি খাতে বরাদ্দের দাবি


৮ মে ২০২০ ০২:৪৩

প্রতি ইউনিয়নে অন্তত একটি ক্রয়কেন্দ্র চালু করে খোদ উৎপাদক কৃষকের কাছ থেকে কমপক্ষে ৪০/ ৪২ লাখ টন বোরো ধান কেনা এবং করোনা বিধ্বস্ত অর্থনীতি পুনর্গঠনে আগামী বাজেটে কৃষি খাতকে অগ্রাধিকার দিয়ে উন্নয়ন বাজেটের শতকরা ৪০ ভাগ কৃষি খাতে বরাদ্দসহ ১১ দফা দাবিতে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি পেশ করেছে সমাজতান্ত্রিক ক্ষেতমজুর ও কৃষক ফ্রন্ট।

বৃহস্পতিবার (৭ মে) ঢাকায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন সমাবেশ করে সংগঠনটি। এছাড়া সারাদেশে মানববন্ধন কর্মসূচি শেষে জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি পেশ করা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

সমাজতান্ত্রিক ক্ষেতমজুর ও কৃষক ফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশীদ ফিরোজের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য রাজেকুজ্জামান রতন, বাসদ ঢাকা নগর সদস্য সচিব জুলফিকার আলী, সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক আহসান হাবিব বুলবুল ও  খালেকুজ্জামান লিপন।

সমাবেশে নেতৃবৃন্দ বলেন, করোনা ভাইরাসের এই বৈশ্বিক মহামারী আবারো দেখিয়ে দিল কৃষি-কৃষক, অর্থনীতি ও দেশ বাঁচাতে কৃষি খাতকে গুরুত্ব দেয়ার কোন বিকল্প নেই। বিশেষ করে আমাদের দেশে যেখানে কৃষিতে মোট শ্রমশক্তির শতকরা ৫৪ ভাগ যুক্ত, শতকরা ৮০ ভাগ মানুষ কোন না কোনভাবে কৃষির উপর নির্ভরশীল সেখানে কৃষিই পারে অর্থনীতিকে বাঁচাতে। কিন্তু আমাদের দেশে শাসকশ্রেণি বরাবরই কৃষি খাতকে অবহেলা করে আসছে যার প্রকাশ চলতি সোয়া ৫ লক্ষ কোটি টাকা বাজেটে কৃষি খাতে বরাদ্দ মাত্র শতকরা ৩.৫ ভাগ।

বক্তারা বলেন, আমাদের বোরো ধান থেকে মোট খাদ্যের শতকরা ৬০ ভাগ আসে। তাই দেশের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত এবং বাজার স্থিতিশীল রাখতে চলতি বোরো মৌসুমে চাল নয়, মোট উৎপাদনের কমপক্ষে শতকরা ২০ ভাগ বা ৪০/ ৪২ লাখ টন ধান খোদ উৎপাদক কৃষকের কাছ থেকে কিনতে হবে। কারণ কৃষক চাল উৎপাদন করে না। সরকার চাল কিনলে লাভবান হয় মিল ও চাতাল মালিক ব্যবসায়ীরা। ধান ক্রয়ে দলীয়করণ ও দুর্নীতি অনিয়ম বন্ধ করতে হবে।

বিজ্ঞাপন

কৃষি, কৃষক বাঁচাতে আগামী বাজেটে উন্নয়ন বাজেটের শতকরা ৪০ ভাগ কৃষি খাতে বরাদ্দের পাশাপাশি কৃষিভিত্তিক শিল্প নির্মাণ করারও দাবি জানান। মনববন্ধন সমাবেশ শেষে কৃষক ফ্রন্টের পক্ষ থেকে জুলফিকার আলী ও খালেকুজ্জামান লিপন ঢাকা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বরাবর ১১ দফা দাবি সম্বলিত স্মারকলিপি পেশ করেন।

দাবিগুলো হলো— প্রতি ইউনিয়নে ক্রয় কেন্দ্র খুলে সরকার নির্ধারিত দামে উৎপাদক কৃষকের কাছ থেকে ধান কিনতে হবে। ময়শ্চার বা ভেজা অজুহাতে কৃষকের ধান কেনা বন্ধ করা যাবে না; প্রয়োজনে খাদ্য গুদাম বা ক্রয়কেন্দ্রে ড্রায়ার মেশিনে ধান শুকিয়ে উৎপাদক কৃষকের কাছ থেকে ধান কিনতে হবে। মোট উৎপাদিত বোরো ধানের কমপক্ষে শতকরা ২০ ভাগ অর্থাৎ ৪০/ ৪২ লাখ টন ধান সরকারি উদ্যোগে কিনতে হবে। খাদ্য গুদামে ধারন ক্ষমতা নাই এ অজুহাতে ধান কম কেনা যাবে না, পর্যাপ্ত খাদ্য গুদাম/ সাইলো নির্মাণ করতে হবে; আপদকালীন সময়ে বেসরকারি রাইস মিল বা চাতালের গুদাম ভাড়া নিতে হবে; এমনকি ধান কিনে কৃষকের বাড়িতেও রাখা যেতে পারে। করোনায় ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের ঋণ নয়, নগদ অর্থ সহায়তা দিতে হবে। কৃষি ঋণ প্রণোদনা প্যাকেজ সুদ মুক্ত করতে হবে; বর্গাচাষী, ভূমিহীন ও ক্ষুদ্র চাষীদের ঋণ প্রাপ্তি নিশ্চিত করতে নীতিমালা পরিবর্তন করতে হবে।

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর