Friday 27 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের পাশে ‘হাসিমুখ’, দিচ্ছে নিয়মিত খাদ্য সহায়তা


৯ মে ২০২০ ১৭:৫৫

ঢাকা: করোনাভাইরাসের কারণে সৃষ্টি হওয়া দুর্যোগের মধ্যে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের প্রতি সহযোগিতার হাত বাড়িয়েছে ‘হাসিমুখ’ নামে পরিচিত স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘হাসিমুখ সমাজ কল্যাণ সংস্থা’। সংস্থাটির পক্ষ থেকে খাদ্য সংকটে থাকা দুই শতাধিক শিশু ও তাদের পরিবারকে নিয়মিত সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। আগামী দুই মাস এই কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে বলে জানানো হয়েছে সংগঠনের পক্ষ থেকে।

করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে সংকটে পড়ার পথশিশুসহ সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে নিয়ে ‘হাসিমুখ’ এ পর্যন্ত তিন দফায় খাদ্যপণ্য বিতরণ করেছে।

বিজ্ঞাপন

রাজধানীর পরিবাগ, বাংলামোটর, হাতিরপুল ও কাঁঠালবাগানে বসবাসরত সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের পরিবারকে এই সহায়তা দেওয়া হয়। প্রতিটি পরিবারকে প্রথম দফায় গত ২৮ মার্চ দুই কেজি চাল, তিন প্যাকেট বিস্কুট ও ভিটামিন-সি সমৃদ্ধ পানীয় তুলে দেওয়া হয়। গত ৫ এপ্রিল দ্বিতীয় দফায় পাঁচ কেজি চাল, এক কেজি ডাল, দুই কেজি আলু, এক কেজি পেঁয়াজ, এক কেজি লবণ, একটি সাবান ও ৫০০ গ্রাম সয়াবিন তেল দেওয়া হয়। গত ২৫ এপ্রিল তৃতীয় দফায় প্রতিটি পরিবারকে একই পরিমাণ নিত্যপণ্য সরবরাহ করা হয়।

করোনাভাইরাস সংক্রমণ বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত এই সেবামূলক কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন ‘হাসিমুখ’-এর সহ-প্রতিষ্ঠাতা নুসরাত একা।

তিনি জানান, ধানমন্ডির মেহেরুন্নেসা গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে খাদ্য সহায়তা কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। নতুন করে আরও দুই মাসের কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে। এই দুই মাসে সংস্থায় তালিকাভুক্ত প্রতিটি শিশুর পরিবারকে ১৫ দিন পর পর শুকনো খাবার দেওয়া হবে।’

বিজ্ঞাপন

তিনি আরও বলেন, ‘করোনাভাইরাস যত দ্রুত গতিতে ছড়াচ্ছে, তার থেকেও দ্রুত গতিতে যদি আমাদের সহমর্মিতা, সহযোগিতা ও সচেতনতা ছড়াতে হবে। তবেই অদৃশ্য শত্রুকে প্রতিহত করা সম্ভব হবে। এজন্য সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন। সকলের সহযোগিতা ছাড়া করোনা পরিস্থিতিতে অসহায় হয়েপড়া মানুষের দুর্দশা দূর করা সম্ভব নয়।

প্রসঙ্গত, গত সাত বছরেরও বেশি সময় ধরে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় কাজ করছে ‘হাসিমুখ সমাজ কল্যাণ সংস্থা’। সংস্থাটি ‘হাসিমুখ’ নামে একটি বৈকালিক স্কুল পরিচালনা করে। প্রতি সপ্তাহের (শুক্রবার বাদে) ছয়দিন বিকেল চারটা থেকে সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত স্কুলের কার্যক্রম চলে। সেখানে তিন শতাধিক শিশুর মাঝে শিক্ষার আলো ছড়াতে নিরলস কাজ করেন ২০ জন স্বেচ্ছাসেবক। এছাড়া সংস্থাটিতে দেড় শোরও বেশি অনিয়মিত স্বেচ্ছাসেবক ‘হাসিমুখ’-এর হয়ে সেবামূলক নানা কার্যক্রমে অংশ নেন। সরকারি নির্দেশ মোতাবেক বর্তমানে স্কুলটি বন্ধ থাকলেও সুবিধাবঞ্চিত পরিবারের ন্যূনতম খাবারের চাহিদাপুরণসহ করোনা সংক্রমণ নিয়ে সচেতনতামূলক অব্যাহত রেখেছে ‘হাসিমুখ’।

করোনা খাদ্য সহায়তা হাসিমুখ

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর