Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

সংকট সমাধানে জাতিসংঘ অধিবেশনে রোহিঙ্গা ইস্যু তুলবে তুরস্ক


৯ মে ২০২০ ২০:২৪

ঢাকা: মিয়ানমার সরকার এবং সেনাবাহিনীর কারণে দেশটির নাগরিক রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী এখন বাস্তুচ্যুত। বাস্তুচ্যুত এই নাগরিকদের পক্ষে ও রোহিঙ্গা সংকটের স্থায়ী সমাধানের জন্য আগামী জাতিসংঘ অধিবেশনে নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে তুরস্ক ইস্যুটি উত্থাপন করবে বলে বাংলাদেশকে জানিয়েছে। এছাড়া চলমান করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় তুরস্ক বাংলাদেশকে ১ লাখ সার্জিক্যাল মাস্কসহ এন-৯৫ মাস্ক সহায়তা দেওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছে।

বিজ্ঞাপন

শনিবার (৯ মে) পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ. কে. আবদুল মোমেনের সঙ্গে তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভুদ কেভেসলের ফোনালাপের কথা জানিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বার্তা পাঠিয়েছে।

ওই বার্তায় বলা হয়, ফোনালাপে তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশে অবস্থানরত মিয়ানমারের রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে সেদেশে প্রত্যাবর্তনে তুরস্ক সবধরনের সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে বলে উল্লেখ করেন। পাশাপাশি রোহিঙ্গা ইস্যুটি তুরস্কের পক্ষ থেকে পরবর্তী জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে ওঠানোর প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভুদ কেভেুসল।

ফোনালাপে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন পরবর্তী বছর ডি-৮ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হওয়ার আগে বর্তমান পরিস্থিতিতে সম্মেলনের প্রস্তুতির জন্য মহাপরিচালক পর্যায়ের কমিশনারদের ভার্চুয়াল সেশন আয়োজনের অনুরোধ জানান। এছাড়া করোনা পরবর্তী পরিস্থিতিতে অথনৈতিক সহযোগিতা জোরদার করার জন্য ডি-৮’র একটি ওয়ার্কিং গ্রুপ প্রতিষ্ঠা করার জন্য তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে অনুরোধ করেন ড. মোমেন। এসব বিষয়ে তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশের প্রস্তাবে সম্মতি প্রকাশ করেন। বর্তমান তুরস্ক ডি-৮’র সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছে।

স্বল্পোন্নত দেশের জন্য জি-২০ এর বরাদ্দ করা ৭ ট্রিলিয়ন ডলার থেকে বাংলাদেশ যেন সহযোগিতা পায় সে বিষয়ে জি-২০ এর সদস্য রাষ্ট্র হিসেবে তুরেস্কের সহযোগিতা প্রত্যাশা করেন ড. মোমেন।

এ সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওআইসি পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সঙ্গে সাম্প্রতিক বৈঠকে দেওয়া কোভিড-১৯ রিকভারি ও রেসপন্ড তহবিল গঠনের প্রস্তাবের বিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার অনুরোধ করেন। ড. মোমেন উল্লেখ করেন, বর্তমানে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে কর্মরত বাংলাদেশের শ্রমিকদের অনেকে আর্থিক ও খাদ্য সংকটে আছে। বাংলাদেশি প্রবাসীরা যেন তাদের চাকুরি বহাল রাখতে পারে সে বিষয়ে তুরস্কের সহযোগিতা কামনা করেন। এছাড়া যদি কোনো শ্রমিক দেশে ফেরত আসে তবে তারা যেন কমপক্ষে ৬ মাসের বেতনের সমপরিমাণ আর্থিক সহায়তা পায় সে বিষয়ে তিনি তুরস্কের সহযোগিতা চান।

বিজ্ঞাপন

করোনার কারণে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের পোশাক খাতের জন্য সমস্যা উল্লেখ করে ড. মোমেন বিভিন্ন দেশের ক্রেতারা যাতে বাংলাদেশে ক্রয়াদেশ বাতিল না করেন সে বিষয়ে তুরস্কের সহযোগিতা কামনা করেন।

করোনা পররবর্তী পরিস্থিতিতে খাদ্য নিরাপত্তার বিষয়ে একত্রে কাজ করার ক্ষেত্রে ড. মোমেনের প্রস্তাবে তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সম্মতি প্রকাশ করেন। এছাড়া উভয় দেশের বাণিজ্য বাড়াতে কোভিড-১৯ পরবর্তী সময়ে উদ্যোগ নিতে আগ্রহ প্রকাশ করেন দুদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

জাতিসংঘ অধিবেশন তুরস্ক রোহিঙ্গা ইস্যু

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর