‘বিকল্প পদ্ধতি না পাওয়ায় নির্দিষ্ট সময়ে দেওয়া যায়নি এসএসসির ফল’
১০ মে ২০২০ ২০:৫৫
ঢাকা: বিকল্প পদ্ধতি না পাওয়ার কারণেই যথা সময়ে মাধ্যমিক ও সমমানের (এসএসসি) পরীক্ষার ফল প্রকাশ করতে পারেনি বলে জানিয়েছেন আন্তঃশিক্ষা বোর্ড ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যান মু. জিয়াউল হক। গণপরিবহন চালু না থাকার কারণেই এমনটা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
মু. জিয়াউল হক বলেন, ‘ফল প্রকাশ করতে আমরা সব রকমের চেষ্টা করেছি। এজন্য এই লকডাউনেও বোর্ড অফিস আংশিকভাবে খোলা হয়েছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত যথা সময়ে ফল দেওয়া সম্ভব হলো না। গণ-পরিবহণ চালু থাকলে এই অবস্থা হতো না।’
বোর্ড প্রধান জানান, গণপরিবহন বন্ধ থাকায় পরীক্ষার্থীদের উত্তরপত্র বোর্ডে এসে জমা দিতে পারেননি পরীক্ষকরা। এখন ডাক বিভাগের সহায়তায় উত্তরপত্র বা শিক্ষার্থীদের প্রাপ্ত নম্বর ওএমআর শিট (অপটিক্যাল মার্ক রিডার) বোর্ডে পাঠানো হচ্ছে।
ইতোমধ্যেই এসএসসি ও সমমানের বেশিরভাগ উত্তরপত্র বোর্ডে জমা হয়ে গেছে।
এ বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন বলেন, পরীক্ষার খাতা দেখা হয়ে গেছে। ডাক বিভাগেরর মাধ্যমে ওএমআর শিট কাজও শেয় প্রায়। আমরা দ্রুততম সময়ের মধ্যে ফলাফল ঘোষণার চেষ্টা করছি।
করোনাভাইরাস ঝুঁকির কারণে গত ১৮ মার্চ এসএসসি পরীক্ষার খাতার ওএমআর শিট স্ক্যানিং কার্যক্রম স্থগিত করেছিল ঢাকা বোর্ড।
উল্লেখ্য, এ বছর ২৮ হাজার ৮৮৪টি প্রতিষ্ঠান থেকে ৯টি সাধারণ বোর্ডের অধীনে এসএসসিতে ১৬ লাখ ৩৫ হাজার ২৪০ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে। এরমধ্যে ৭ লাখ ৯১ হাজার ৯১৮ জন ছাত্র এবং ৮ লাখ ৪৩ হাজার ৩২২ জন ছাত্রী। এছাড়া দাখিলে এবার ২ লাখ ৮১ হাজার ২৫৪ জন এবং এসএসসি ভোকেশনালে ১ লাখ ৩১ হাজার ২৮৫ জন পরীক্ষা দেয়।
পরীক্ষা ফেব্রুয়ারি মাসের ৩ তারিখে শুরু হয়ে মার্চের ৫ তারিখ শেষ হয়।