এবার যাত্রীবাহী ট্রেন চালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে রেলওয়ে
১০ মে ২০২০ ২৩:৪১
ঢাকা: নভেল করোনাভাইরাসের (কোভিড) সংক্রমণ ঠেকাতে গত ২৪ মার্চ থেকে সারাদেশে ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে। কিন্তু খাদ্যশস্য, জ্বালানি ও কনটেইনার পরিবহনে গত ১ মে থেকে চলছে পণ্যবাহী কয়েকটি ট্রেন। তবে এখন পর্যন্ত যাত্রীবাহী ট্রেন ছাড়ার কোনো ঘোষণা আসেনি। এদিকে ঘোষণা না এলেও স্বাস্থ্যবিধি মেনে ট্রেন চালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে বাংলাদেশ রেলওয়ে।
রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশন ঘুরে দেখা গেছে, টিকিট বিক্রির লাইনে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখতে বৃত্ত আঁকা হচ্ছে। তবে কবে থেকে ট্রেন চলাচল শুরু হবে তা নির্ভর করছে সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর। এ নিয়ে সোমবার (১১ মে) রেল ভবনে বৈঠক ডাকা হয়েছে। সীমিত আকারে কিছু ট্রেন চালানোর ব্যাপারে বৈঠকে নির্দেশনা আসতে পারে বলে রেলওয়ে সূত্র জানিয়েছে।
রোববার (১০ মে) এ নিয়ে জানতে চাইলে রেলওয়ে মহাপরিচালক মোহাম্মদ শামসুজ্জামান সারাবাংলাকে বলেন, ‘ট্রেন ছাড়ার কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। এটা সরকারি সিদ্ধান্তের ব্যাপার। তবে ট্রেন ছাড়া হলে ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে যেসব স্বাস্থ্যবিধি রয়েছে তা যেন পালন করা যায় সেজন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে রেলওয়ে।’
‘রেলওয়ে একটি বড় পরিবার। সারাদেশে রেলওয়ে নেটওয়ার্ক বিস্তৃত। এ কারণে প্রস্তুতি নিতে সময় লাগবে। তাই আগেই থেকেই শুরু করা হয়েছে’- বলেন রেলওয়ের মহাপরিচালক।
দেখা গেছে রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশনে টিকিট বিক্রির জন্য বৃত্ত আঁকা হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এরকম ছবি ভাইরাল হলে অনেকেই ট্রেন কবে ছাড়া হচ্ছে তা জানতে চান। তবে এ বিষয়ে রেল মন্ত্রণালয়ের এখনও কোনো সিদ্ধান্ত নেই। এমনকি কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনেও টিকিট বিক্রির জন্য কোনো বৃত্ত আঁকা বা কোনো ধরনের প্রস্তুতি দেখা যায়নি।
কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনের ম্যানেজার আমিনুল হক জুয়েল সারাবাংলাকে জানান, স্বাস্থ্যবিধির মেনে চলার যে নির্দেশনা তা তারা পেয়েছেন। তবে স্টেশনে এ নিয়ে দৃশ্যমান কোনো তৎপরতা এখনও শুরু হয়নি।
রেলপথ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা জানান, সরকারি নির্দেশনা পেলে যাতে সঙ্গে সঙ্গেই ট্রেন ছাড়া যায় সেজন্য প্রস্তুতি রাখা হচ্ছে। এক্ষেত্রে প্রথমে ঢাকা-চট্টগ্রাম, ঢাকা-সিলেট, ঢাকা-রাজশাহীসহ উত্তরাঞ্চলের কয়েকটি আন্তঃনগর ট্রেন চলাচল শুরু হতে পারে। তবে ট্রেন ঈদের আগে না পরে চলবে তা এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
রেলওয়ে সূত্র জানায়, রেল এখন যে প্রস্তুতি নিতে যাচ্ছে তার মধ্যে রয়েছে- স্টেশনে নিরাপদ দূরত্ব নিশ্চিত করা, ট্রেনগুলোর দরজা-জানালা, হাতল, সিট, হেড বেল্ট কভার, টয়লেট, মেঝে স্বাস্থ্যসম্মতভাবে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করা। এছাড়া প্রত্যেক ট্রেন যাত্রীর আবশ্যিকভাবে মাস্ক ব্যবহার নিশ্চিত করা।