Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ব্যয় কমাতে কাটছাঁট হচ্ছে বিদ্যুৎ ও জ্বালানির মেগা প্রকল্পে


১১ মে ২০২০ ১৫:৪৩

ঢাকা: করোনাভাইরাসের প্রভাব পড়েছে দেশের সব উন্নয়ন প্রকল্পে। প্রায় দুই মাসের কাছাকাছি সময় ধরে দেশজুড়ে লকডাউন পরিস্থিতির কারণে ছোট বড় সব প্রকল্পের কাজ বন্ধ রয়েছে। এই অবস্থায় সরকারের বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের বড় প্রকল্পগুলো নতুন করে সাজানোর চিন্তা করছে সরকার।

এরইমধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত মেগা প্রকল্পের তালিকা চেয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে চিঠি পাঠানো হয়েছে মন্ত্রণালয়ে। চলতি সপ্তাহেই তালিকা তৈরি করে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে ফিরতি চিঠি পাঠানোর কথা রয়েছে।

বিজ্ঞাপন

এদিকে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক করে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে প্রকল্পের কাজ দ্রুত এগিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।

বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি বিভাগ মিলিয়ে ডজন খানেক বড় প্রকল্প বাস্তবায়নাধীন রয়েছে। এখন পর্যন্ত নির্মাণ শুরু হওয়া তিনটি বড় বিদ্যুৎকেন্দ্রের একটি হলো ‘পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্র’। এর প্রথম ইউনিট উৎপাদন শুরু করলেও দ্বিতীয় ইউনিট জুনে চালুর কথা রয়েছে। কিন্তু করোনাভাইরাসের কারণে দ্বিতীয় ইউনিটের কাজ প্রায় বন্ধ। অন্যদিকে রামপাল ও মাতারবাড়ি বিদ্যুৎকেন্দ্রের কাজ চলছিল ধীরগতিতে। সে কাজও বর্তমানে বন্ধ রয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, লকডাউনের কারণে ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্রের দ্বিতীয় ইউনিট জুনে উৎপাদনে আসতে পারবে না। রামপাল ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদন চলতি বছরের ডিসেম্বরে শুরু হওয়ার কথা থাকলেও তাও সময় মতো শুরু করা যাচ্ছে না। মাতারবাড়ি ১ হাজার ২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্রের নির্মাণ কাজ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। লকডাউনের কারণে বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্পের সঙ্গে সঞ্চালন ও বিতরণের কাজে যেসব বড় প্রকল্প রয়েছে তা বাস্তবায়নেও বিলম্ব হবে।

বিজ্ঞাপন

এছাড়া বাংলাদেশ-ভারত তেলের পাইপলাইন এবং ঢাকা-চট্টগ্রাম পাইপলাইনের কাজ বন্ধ রয়েছে। নারায়ণগঞ্জের গোদনাইল থেকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর পর্যন্ত আরও একটি পাইপলাইন নির্মাণ কাজ থেমে আছে। তবে সাগর থেকে তেল আনার জন্য সিঙ্গেল পয়েন্ট মুরিং টার্মিনালের নির্মাণ কাজ সীমিত আকারে চলছে।

এ প্রসঙ্গে জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. আনিছুর রহমান বলেন, ‘বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের বড় বড় প্রকল্পগুলো কিছুটা কাটছাঁট করে নতুন করে সাজানো হবে। এছাড়া উপায় নেই। কারণ, করোনাভাইরাসের ক্ষয়ক্ষতি পোষাতে অর্থের যোগান দিতে হচ্ছে। সে অর্থ কোনো না কোনো প্রকল্প থেকেই দিতে হবে। তাছাড়া খুব কাছাকাছি সময়ে যেসব প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার কথা সেগুলো আর দীর্ঘায়িত করা যাবে না। দীর্ঘায়িত করতে গেলে খরচ বাড়বে। এই মুহূর্তে বাড়তি খরচ করা সম্ভব নয়।’

এ প্রসঙ্গে বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, ‘করোনাভাইরাসের প্রার্দুভাবে সর্বত্র ক্ষতিকর প্রভাব পড়েছে। মন্ত্রণালয়ের অধীনে বেশকিছু মেগা প্রকল্প রয়েছে। সেগুলোর মধ্যে কয়েকটির কাজ চলতি বছর আর কিছু প্রকল্প আগামী বছর শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। তবে গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প বিবেচনায় নিয়ে রিশিডিউল করে দ্রুত বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিতে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’

যে প্রকল্পগুলোর কাজ শেষের দিকে সেগুলোকে গুরুত্ব দেওয়া হবে জানিয়ে মো. আনিছুর রহমান বলেন, ‘পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেও সবকিছু আগের মতো হতে সময় লাগবে। বর্তমানে যে পরিস্থিতি চলছে তা প্রথম এবং দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়ও হয়নি। শুধু বাংলাদেশের নয়, গোটা বিশ্বের অর্থনীতি নাজুক অবস্থায়।’ সেসব কাটিয়ে উঠতে সব দেশকেই বড়ধরনের বেগ পেতে হবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

করোনা মোকাবিলা করোনাভাইরাস বিদ্যুৎ ও জ্বালানি মেগা প্রকল্প

বিজ্ঞাপন

খেজুর আমদানিতে শুল্ক কমলো
২২ নভেম্বর ২০২৪ ২১:০৮

আরো

সম্পর্কিত খবর