Wednesday 20 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘করোনাপরবর্তী খাদ্যের যোগান নিশ্চিতে এখন থেকেই যুদ্ধ করতে হবে’


১১ মে ২০২০ ১৭:৪২

ঢাকা: করোনাভাইরাস পরবর্তী দেশের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা অনুযায়ী দেশের প্রতিটি আবাদযোগ্য জমিতে ফসলের আবাদ করার তাগিদ দিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। তিনি বলেন, ‘বর্তমান সময়ে করোনার সঙ্গে আমরা যেমন যুদ্ধ করছি; তেমনি করোনাপরবর্তী খাদ্যের যোগান নিশ্চিত করার জন্যও আমাদের এখন থেকেই যুদ্ধ করতে হবে।’

মঙ্গলবার (১১ মে) সকালে মিন্টো রোডের সরকারি বাসভবন থেকে রংপুর বিভাগের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন খাদ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘চলতি বোরো মওসুমে সারাদেশে বাম্পার ফলন হয়েছে। সঠিক সময়ে নতুন ফসল ঘরে তুলতে পারলে খাদ্যের সমস্যা হবে না।’

বিজ্ঞাপন

ভিডিও কনফারেন্সে রংপুর বিভাগের আওতাধীন প্রতিটি জেলার করোনা মোকাবিলা পরিস্থিতি, চলতি বোরো ধান কাটা-মাড়াই, সরকারিভাবে ধান চাল সংগ্রহসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন মন্ত্রী।

রংপুর বিভাগের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উদ্দেশ্যে মন্ত্রী বলেন, ‘কৃষকের স্বার্থের কথা চিন্তা করে তাদের ন্যয্যমূল্য নিশ্চিত করার জন্য ধান-চাল কেনার ক্ষেত্রে ধানকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী এবারের মৌসুমে ৮ লাখ মেট্রিক টন ধান সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে কেনা হবে। যা করোনা দুর্যোগ মোকাবিলায় সহায়ক হবে।’

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী আরও বলেন, ‘খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা করোনা মোকাবিলা করে এই সংগ্রহ কার্যক্রম চালাচ্ছেন। খাদ্যশস্য সংগ্রহে যাতে কোন অনিয়ম না হয় সেজন্য খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তাদের পাশাপাশি স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের কর্মকর্তাদের তীক্ষ দৃষ্টি রাখতে হবে।’ এছাড়া সংগ্রহ কার্যক্রমে সকলকে সহযোগিতা ও করোনা মোকাবেলায় সরকারী নির্দেশনা মোতাবেক স্বাস্থ্যবিধি ও নিরাপদ দূরত্ব মেনে চলার আহ্বান জানান তিনি।

বিজ্ঞাপন

মন্ত্রী আরও বলেন, ‘লটারির মাধ্যমে প্রকৃত কৃষকদের মধ্যে থেকে কৃষক নির্বাচন করা হবে। যদি কোন কৃষক তার স্লিপ মধ্যস্বত্বভোগীদের কাছে বিক্রি করে তাহলে সেই কৃষকের কার্ড বাতিল করা হবে এবং সে সমস্ত মধ্যস্বত্বভোগীদের আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তি দেওয়া হবে।’

ভিডিও কনফারেন্সে উপস্থিত থেকে খাদ্য সচিব ড. মোছাম্মৎ নাজমানারা খানুম বলেন, ‘কোনোভাবেই পুরান চাল নেওয়া যাবে না, চাল সংগ্রহের ক্ষেত্রে নিশ্চিত করতে হবে যে সংগ্রহকৃত চাল এবারের বোরো ধানের চাল।’ পাশাপাশি বস্তার গায়ে স্টেনসিল ব্যবহার করার নির্দেশ দেন তিনি।

ভিডিও কনফারেন্সে রংপুর বিভাগের বিভাগীয় কমিশনার, রংপুর আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক, রংপুর, পঞ্চগড়, নীলফামারী, লালমনিরহাট, ঠাকুরগাঁও, গাইবান্ধা ও দিনাজপুর জেলার জেলা প্রশাসকগণ, রংপুর বিভাগের আওতাধীন প্রতিটি জেলার জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকরা বক্তব্য রাখেন।

করোনাপরবর্তী খাদ্যমন্ত্রী খাদ্যের যোগান বোরো ধান

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর