তালিকাভুক্ত ব্যাংক ৩০ শতাংশের বেশি লভ্যাংশ দিতে পারবে না
১১ মে ২০২০ ১৯:৫০
ঢাকা: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংকের লভ্যাংশ ঘোষণার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সীমা নির্ধারণ করে দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। বিভিন্ন শর্তের ভিত্তিতে ব্যাংকগুলো সর্বোচ্চ ৩০ শতাংশ পর্যন্ত লভ্যাংশ দিতে পারবে। এর মধ্যে নগদ লভ্যাংশ দিতে পারবে সর্বোচ্চ ১৫ শতাংশ। আর নগদ ও বোনাস মিলিয়ে দিতে পারবে সর্বোচ্চ ৩০ শতাংশ লভ্যাংশ।
সোমবার (১১ মে) বাংলাদেশ ব্যাংক এ বিষয়ে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে দেশের সব তফসিলি ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীর কাছে পাঠানো হয়েছে।
ঘোষিত নগদ লভ্যাংশ আগামী ২০ সেপ্টেম্বরের আগে শেয়ারহোল্ডারদের মাঝে বিতরণ করা যাবে না। ইতোমধ্যে কোনো ব্যাংক লভ্যাংশ ঘোষণা করে থাকলেও ঘোষিত লভ্যাংশের হার ৩০ শতাংশের বেশি হলে তা স্থগিত করে সংশোধন করতে বলা হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, করোনা সংক্রমণ সময়ে ব্যাংকিংখাতের সৃষ্ট চাপ মোকাবিলা করে দেশের অর্থনীতিতে ব্যাংকগুলো যাতে অবদান রাখতে পারে সেজন্য ব্যাংকগুলোর মুনাফা অবণ্টিত রেখে (কার্যত লভ্যাংশ না দিয়ে) মূলধন শক্তিশালী করে পর্যাপ্ত তারল্য বজায় রাখা একান্ত অপরিহার্য।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, প্রভিশন সংরক্ষণসহ অন্যান্য ব্যয় মেটানোর পাশাপাশি ২০১৯ সালের জন্য কোনো ডেফারাল সুবিধা গ্রহণ ব্যতিরেকে যে সকল ব্যাংকের ২.৫ শতায়শ ক্যাপিটাল কনজারভেশন বাফারসহ ন্যূনতম ১২.৫০ শতাংশ বা তার বেশি মূলধন সংরক্ষণ করতে সক্ষম। এই সকল ব্যাংক সর্বোচ্চ ১৫ শতায়শ নগদসহ মোট ৩০ শতাংশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা করতে পারবে।
প্রভিশন সংরক্ষণসহ অন্যান্য ব্যয় মেটানোর পাশাপাশি ২০১৯ সালের জন্য কোনো ডেফারেল সুবিধা গ্রহণ ব্যতিরেকে কোনো ব্যাংকের ক্যাপিটাল কনজারভেশন বাফারসহ ন্যূনতম ১১.২৫ শতাংশ হতে ১২.৫০ শতাংশ বা তার বেশি মূলধন সংরক্ষণ করতে সক্ষম। এই সকল ব্যাংক বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমদনক্রমে তাদের সামর্থ্য অনুসারে সর্বোচ্চ ৭.৫ শতাংশ নগদসহ মোট ১৫ শতাংশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা করতে পারবে।
প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়েছে, প্রভিশন সংরক্ষণসহ অন্যান্য ব্যয় মেটানোর পর ২০১৯ সালের জন্য ডেফারেল সুবিধা সম্পূর্ণরূপে সমন্বয় করার পর যে সব ব্যাংকের ক্যাপিটাল কনজারভেশন বাফারসহ ন্যূনতম ১১.২৫ শতাংশ বা তার বেশি থাকে, সে সকল ব্যাংক বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমদনক্রমে তাদের সামর্থ্য অনুসারে সর্বোচ্চ ৫ শতাংশ নগদসহ মোট ১০ শতাংশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা করতে পারবে।
এছাড়া প্রভিশন সংরক্ষণসহ অন্যান্য ব্যয় মেটানোর ডেফারেল সুবিধা সম্পূর্ণরূপে সমন্বয় করে ব্যাংকের ক্যাপিটাল কনজারভেশন বাফারসহ ন্যূনতম ১১.২৫ শতাংশ এর কম কিন্তু ন্যূনতম সংরক্ষিত মূলধন ১০ শতাংশ হবে, সে সব ব্যাংক বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমদনক্রমে সর্বোচ্চ ৫শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করতে পারবে।