শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের ঘাটতি পোষাতে এনসিটিবির দুই প্রস্তাবনা
১২ মে ২০২০ ০৮:৩৮
ঢাকা: করোনা সংক্রমণের ঝুঁকির মধ্যে প্রায় দুই মাস ধরে বন্ধ হয়ে আছে দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ঈদুল ফিতরের আগে এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ক্লাস শুরু হওয়ার কোনো সম্ভাবনাই নেই। এজন্য চলতি শিক্ষাবর্ষকে আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত বাড়িয়ে নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)।
এ ব্যাপারে বিশদ পরিকল্পনা করতে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে এনসিটিবিকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলেও জানা গেছে।
তাদের সূত্রে জানা গেছে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের ঘাটতি পুষিয়ে নিতে এনসিটিবি আপাতত দু’টি প্রস্তাবনা সামনে রেখে কাজ করছে। এর একটি হলো, ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত শিক্ষাবর্ষ বাড়ানো। অপরটি হলো, সিলেবাস ও ঐচ্ছিক ছুটি কমিয়ে চলতি বছরেই সব পরীক্ষা শেষ করা। সেক্ষেত্রে চলতি শিক্ষাবর্ষ ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে শেষ হয়ে একই বছরের মার্চ মাসে শুরু হবে নতুন শিক্ষাবর্ষ।
এনসিটিবির চেয়ারম্যান অধ্যাপক নারায়ণ চন্দ্র সাহা সারাবাংলাকে বলেন, ‘করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি কবে কমবে এ সম্পর্কে আমাদের কোন ধারণা নেই। তাই আমরা দুইটি লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছি। আগস্ট বা সেপ্টেম্বরে যদি স্কুল খোলে তাহলে চলতি শিক্ষাবর্ষকে আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত নিয়ে যাওয়া যেতে পারে।’ সেক্ষেত্রে পরের শিক্ষাবর্ষকে বিভিন্ন ধরনের ছুটি কমিয়ে ১০ মাসে নামিয়ে আনা হবে বলেও জানান তিনি।
তিনি বলেন, ‘সিলেবাস সংক্ষিপ্ত করে ও ঐচ্ছিক ছুটি কমিয়ে ডিসেম্বরেও শিক্ষাবর্ষ শেষ করা যায়। তবে এখন পর্যন্ত এটি নিশ্চিত। কারণ আমরা জানিই না ডিসেম্বরের আগে এই মহামারি সংকট শেষ হবে কিনা!’
‘এমনটা হলে এ বছরের উচ্চ মাধ্যমিক (এইচএসসি), জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষা (জেএসসি) এবং প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী (পিইসি) পরীক্ষা পরের বছর আয়োজন করতে হবে’, যোগ করেন তিনি।
প্রসঙ্গত, করোনার পরিস্থিতির কারণে গত ১৭ মার্চ থেকে সারা দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। এই অবস্থা থেকে উত্তরণের উপায় বের করতে রোববার এনসিটিবি চেয়ারম্যান অধ্যাপক নারায়ণ চন্দ্র সাহা সহ মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের (মাউশি) মহাপরিচালক, ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মু. জিয়াউল হক, মাউশির পরিচালক (কলেজ ও প্রশাসন) অধ্যাপক শাহেদুল খবিরসহ বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা বৈঠক করেন।
এই বৈঠকেই এসব প্রস্তাব আলোচনা হয়েছে বলে সারাবাংলাকে জানিয়েছেন নারায়ণ চন্দ্র সাহা।