বিএসএমএমইউতে কিট ও টাকা পৌঁছে দিল গণস্বাস্থ্য
১৩ মে ২০২০ ১২:১৫
ঢাকা: গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র উদ্ভাবিত ‘জিআর কোভিড-১৯ ডট ব্লোট’-এর এক্সটার্নাল ভ্যালিডেশনের জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) কিটের স্যাম্পল পৌঁছে দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
বুধবার (১৩ মে) সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের দুই বিজ্ঞানী ড. বিজন কুমার শীল ও ডা. মুহিব উল্লাহ খন্দকার গিয়ে টাকা ও কিট পৌঁছে দেন। তাদের কাছ থেকে সেগুলো গ্রহণ করেন বিএসএমএমইউ’র অধ্যাপক ডা. সাইফুল্লাহ মুন্সী।
সারাবাবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘তাদের (বিএসএমএমইউ) চাহিদা অনুযায়ী ২০০ কিট এবং এক্সটার্নাল ভ্যালিডেশন ফি বাবদ ৪ লাখ ৩৫ হাজার টাকা পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।’
‘জিআর কোভিড-১৯ ডট ব্লোট’ প্রকল্পের প্রধান বিজ্ঞানী ড. বিজন কুমার শীল এবং কো-অর্ডিনেটর ডা. মুহিব উল্লাহ খন্দকার গিয়ে কিট ও টাকা পৌঁছে দিয়েছেন। তাদের কাছ থেকে এগুলো গ্রহণ করেছেন বিএসএমএমইউ’র অধ্যাপক ডা. সাইফুল্লাহ মুন্সী,’— বলেন ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।
সংশ্লিষ্ট সূত্রমতে, গণস্বাস্থ্যের এই ২০০ কিট দিয়ে সাসপেক্টেড ব্যক্তির রক্ত পরীক্ষা করা হবে। তাতে যে রেজাল্ট আসবে, সেটি মিলিয়ে দেখার জন্য একই ব্যক্তির রক্ত পিসিআর ল্যাবে পরীক্ষা করা হবে। এই তুলনামূলক (কম্পারেটিভ) পরীক্ষার পর যদি একই ধরনের রেজাল্ট আসে, তাহলে রেজিস্ট্রেশন পাওয়ার পথে আরেক ধাপ এগিয়ে যাবে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র উদ্ভাবিত ‘জিআর কোভিড-১৯ ডট ব্লট’।
সব প্রক্রিয়া শেষ করতে আরও কিছু দিন সময় লাগবে। তবে সেটি এক সপ্তাহের বেশি নয় বলে মনে করেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের বিজ্ঞানীরা। তাদের মতে, বিএসএমএমইয়ে যেহেতু বিপুলসংখ্যক সাপেক্টেড রোগী প্রতিদিন আসে, সেহেতু এই ২০০ কিটের পরীক্ষামূলক ব্যবহার তিন/চার দিনে করে ফেলা সম্ভব।
এ প্রসঙ্গে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী সারাবাংলাকে বলেন, ‘কতদিন লাগবে, সে ব্যাপারে বিএসএমএমইউ কর্তৃপক্ষ আমাদের কিছু বলেনি। কিন্তু আমরা মনে করি সর্বসাকুল্যে সাত দিনের বেশি লাগার কথা না। আমরা আশা করব, খুব শিগগিরই তারা রেজাল্ট দেবেন।’
এদিকে কেবল বিএসএমএমইউ’র রিপোর্ট পেলেই কিট ব্যবহার করতে পারবে না গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র। সেখান থেকে রিপোর্ট পাওয়ার পর সেটির ভিত্তিতে বাংলাদেশ ওষুধ প্রশাসন কিটের রেজিস্ট্রেশন দেওয়ার ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে। সেই সিদ্ধান্ত যদি ইতিবাচক হয়, তবেই কেবল কিট ব্যবহারের সুযোগ পাবে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র। অর্থাৎ পুরো প্রক্রিয়া সম্পন্ন হতে আরও কতদিন লাগবে, সে ব্যাপারে পরিষ্কার কোনো ধারণা কেউ দিতে পারছে না।
অনেক চড়াই-উৎরাই শেষে ৩০ এপ্রিল কিটের এক্সটার্নাল ভ্যালিডেশনের জন্য বিএসএমএমইউ-কে লিখিত অনুরোধ জানায় ওষুধ প্রশাসন। এই চিঠি পাওয়ার পর গণস্বাস্থ্যের বিজ্ঞানীদের সঙ্গে কয়েক দফা বৈঠক করেন বিএসএমএমইউ কর্তৃপক্ষ। ওই সব বৈঠকে প্রটোকল, প্রয়োজনীয় কাগজ ও আবেদনপত্র জমা দেন গণস্বাস্থ্যের বিজ্ঞানীরা। অন্যদিকে কিটের পরীক্ষামূলক ব্যবহারের জন্য একটি কমিটি গঠন করে বিএসএমএমইউ কর্তৃপক্ষ।
কিন্তু প্রক্রিয়া শুরুর ১০ দিন পার হয়ে গেলেও কিটের স্যাম্পল নিচ্ছিল না বিএসএমএমইউ। এমন পরিস্থিতিতে ১১ মে জরুরি সংবাদ সম্মেলন করে গণমাধ্যমে বিষয়টি তুলে ধরেন ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। ওই সংবাদ সম্মেলনের একদিন পর বুধবার (১৩ মে) সকালে কিট এবং এক্সটার্নাল ভ্যালিডেশনের জন্য টাকা গ্রহণ করল বিএসএমএমইউ।
এক্সটার্নাল ভ্যালিডেশন করোনা পরীক্ষা করোনা পরীক্ষার নমুনা জিআর কোভিড-১৯ ডট ব্লোট স্যাম্পল