Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

লটারির মাধ্যমে কৃষকের ধান কিনবে সরকার


১৩ মে ২০২০ ২১:২৭

ঢাকা: চলতি বোরো মৌসুমে কৃষকদের কাছ থেকে ধান-চাল সংগ্রহে লটারি পদ্ধতি ব্যবহার করতে বলেছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। লটারির মাধ্যমে নির্বাচিত সেসব কৃষকদের নামের তালিকা ইউনিয়ন অফিসের তথ্যকেন্দ্রে ঝুলিয়ে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন।

বুধবার (১৩ মে) মন্ত্রীর মিন্টো রোডে সরকারি বাসভবন থেকে ঢাকা বিভাগে কর্মরত খাদ্য বিভাগের মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে এ সব কথা বলেন খাদ্যমন্ত্রী। ভিডিও কনফারেন্সে ঢাকা বিভাগের আওতাধীন প্রতিটি জেলার করোনা মোকাবিলা পরিস্থিতি, চলতি বোরো ধান কাটা-মাড়াই, সরকারিভাবে ধান-চাল সংগ্রহসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন মন্ত্রী।

বিজ্ঞাপন

মন্ত্রী বলেন, ‘ধান-চাল সংগ্রহের ক্ষেত্রে প্রতিটি উপজেলায় সংগ্রহ কমিটি রয়েছে।’ সংগ্রহ কমিটিকে প্রতিটি ইউনিয়নে গিয়ে কৃষকের উপস্থিতিতে লটারি করার আহ্বান জানান তিনি।

কৃষকের ধান দেওয়ার ক্ষেত্রে ময়েশ্চার বা আর্দ্রতা সমস্যার কথা তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, ‘কৃষকের ধান দেওয়ার ক্ষেত্রে আদ্রতা নিয়ে একটু সমস্যা হয় কিন্তু প্রতিটি উপজেলার কৃষি অফিসে আদ্রতা মাপার যন্ত্র রয়েছে। কৃষকের নামের লটারি করার পর উপজেলা কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা এসমস্ত চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত কৃষকের বাড়িতে গিয়ে তাদের ধানের আদ্রতা পরিমাপ করার ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারে; যা কৃষকের জন্য খুব উপকার হবে।’

ঢাকা বিভাগের মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উদ্দেশ্যে মন্ত্রী বলেন, ‘কৃষকের স্বার্থের কথা চিন্তা করে; তাদের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করার জন্য ধান-চাল কেনার ক্ষেত্রে ধানকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। কৃষক যেন কোনোভাবেই হয়রানির শিকার না হয় সেদিকেও লক্ষ্য রাখতে হবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী এবারের মৌসুমে ৮ লাখ মেট্রিক টন ধান সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে ক্রয় করা হবে। যা করোনা দুর্যোগ মোকাবিলায় সহায়ক হবে।’

বিজ্ঞাপন

প্রধান অতিথির বক্তব্যে খাদ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা করোনা মোকাবিলা করে এ সংগ্রহ কার্যক্রম চালাচ্ছেন।’

খাদ্যশস্য সংগ্রহে যেন কোনো অনিয়ম না হয় সে জন্য কর্মকর্তাদের তীক্ষ্ণ দৃষ্টি রাখতে বলেন মন্ত্রী। এ ছাড়া সংগ্রহ কার্যক্রমে সকলকে সহযোগিতা ও করোনা মোকাবিলায় সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক স্বাস্থ্যবিধি ও নিরাপদ দূরত্ব মেনে চলার আহ্বান জানান তিনি।

কোনো কৃষক যেন খাদ্যগুদামে ধান দিতে এসে ফেরত না যায় এবং কোনোভাবেই যেন কৃষক হয়রানি না হয় সেজন্য কর্মকর্তা-কর্মচারীদেরকে সতর্ক করেন মন্ত্রী। পাশাপাশি গুদামের ধারণ ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য খামালের উচ্চতা বৃদ্ধি এবং কৃষকের লটারি করার পর আগে থেকেই ওয়েটিং লিস্ট তৈরি করাসহ নানাবিধ দিক-নির্দেশনামূলক পরামর্শ দেন তিনি।

ভিডিও কনফারেন্সে উপস্থিত থেকে খাদ্য সচিব ড. মোছাম্মৎ নাজমানারা খানুম বলেন, ‘বস্তার গায়ে স্টেনসিল ব্যবহার করতে হবে এবং খাদ্য বান্ধব, ওএমএস সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বরাদ্দকৃত চালের বস্তার গায়ে আলাদা আলাদা সিল ব্যবহার করতে হবে।’

ভিডিও কনফারেন্সে ঢাকা বিভাগের বিভাগীয় কমিশনার, ঢাকা আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক সহ ফরিদপুর, রাজবাড়ী, গোপালগঞ্জ, মাদারীপুর, শরীয়তপুর, কিশোরগঞ্জ, গাজীপুর, নরসিংদী, মুন্সীগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ, টাঙ্গাইল জেলার জেলা প্রশাসক, ঢাকা বিভাগের আওতাধীন প্রতিটি জেলার জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকগণ বক্তব্য রাখেন।

কৃষক খাদ্যমন্ত্রী চাল সংগ্রহ ধান-চাল লটারি সাধনচন্দ্র মজুমদার

বিজ্ঞাপন

খেজুর আমদানিতে শুল্ক কমলো
২২ নভেম্বর ২০২৪ ২১:০৮

আরো

সম্পর্কিত খবর