Sunday 29 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ভিডিও কনফারেন্সে বসছেন কোরিয়া-চীন-জাপানের স্বাস্থ্যমন্ত্রীরা


১৫ মে ২০২০ ১১:৫৫

দক্ষিণ কোরিয়ার একটি শপিং মলের সামনে মাস্ক পরে খেলছে এক শিশু; দেশটিতে দ্বিতীয় দফায় কোভিড-১৯ সংক্রমণের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে [ছবি: রয়টার্স]

নভেল করোনাভাইরাস ঠেকাতে যৌথ উদ্যোগ নিতে এবারে ভিডিও কনফারেন্সে বসছেন দক্ষিণ কোরিয়া, চীন ও জাপানের স্বাস্থ্যমন্ত্রীরা। বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া এই মহামারির বিরুদ্ধে কিভাবে বৈশ্বিক উদ্যোগ নেওয়া যায়, সে বিষয়েই আলোচনা করবেন তারা বৈঠকে।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়, চীনের উহান থেকে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়তে শুরু করার পর এই প্রথম পূর্ব এশিয়ার এই তিন প্রতিবেশী দেশের স্বাস্থ্য খাতের শীর্ষ ব্যক্তিত্বরা কোনো বৈঠক করতে যাচ্ছেন।

বিজ্ঞাপন

দক্ষিণ কোরিয়ার সহকারী স্বাস্থ্যমন্ত্রী কিম গ্যাং-লিপ এক ব্রিফিংয়ে বলেন, বৈঠকে মন্ত্রীরা নিজ নিজ অবস্থান থেকে কোভিড-১৯ পরিস্থিতি তুলে ধরবেন এবং এ বিষয়ে নিজ দেশের নীতিগুলো তুলে ধরবেন। এই বৈঠকের পেছনে মূল উদ্দেশ্য হলো পারস্পরিক তথ্য বিনিময়সহ বড় আকারের স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রগুলো নিয়ে একযোগে কাজ করা।

পূর্ব এশিয়ার এই তিনটি দেশই মনে করছে, তাদের দেশে করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। দেশগুলো দ্বিতীয় ধাপের সংক্রমণ মোকাবিলার দিকে তীক্ষ্ণ দৃষ্টি রেখে অর্থনীতিকে আগের জায়গায় ফিরিয়ে আনতেও কাজ করে যাচ্ছে।

তিন দেশের চীন থেকে, বিশেষ করে দেশটির হুবেই প্রদেশের উহান শহর থেকে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে। সেই উহানে সম্প্রতি কয়েকজনের মধ্যে নতুন করে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি শনাক্ত হয়েছে। চীন বলছে, তারা উহানের এক কোটি ১০ লাখ নাগরিকের সবার করোনা পরীক্ষা করাবে।

এদিকে, জাপান ক্রমেই দেশব্যাপী জারি করা জরুরি অবস্থায় শিথিল করতে শুরু করেছে। যদিও বড় বড় শহরগুলোতে এখনো বিধিনিষেধ তুলে নেওয়া হয়নি। তাছাড়া সম্প্রতি প্রকাশিত তথ্য বলছে, টোকিওতে কোভিড-১৯ সংক্রমণের সংখ্যা ছিল ধারণার চেয়েও বেশি।

বিজ্ঞাপন

অন্যদিকে চীনের পর করোনাভাইরাসের বড় ধাক্কাটি লাগে দক্ষিণ কোরিয়াতেই। তবে দেশটি দ্রুতই এই ভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসতে সক্ষম হয়। বিপুল পরিমাণ পরীক্ষা আর কনটাক্ট ট্রেসিংয়ের কারণেই দক্ষিণ কোরিয়া এইভাইরাস নিয়ন্ত্রণে সক্ষম হয় বলে মন্তব্য সংশ্লিষ্টদের। তবে এই দেশটিতেও দ্বিতীয় দফায় করোনা সংক্রমণ দেখা গেছে। যে কারণে দক্ষিণ কোরিয়ায় নতুন করে বিধিনিষেধ আরোপ হচ্ছে।

দক্ষিণ কোরিয়ার সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন শুক্রবার (১৫ মে) জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার নতুন করে ২৭ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। এতে করে দেশটিতে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ালো ১১ হাজার ১৮ জনে। তবে মৃতের সংখ্যা ২৬০ জনই রয়েছে।

সহকারী স্বাস্থ্যমন্ত্রী কিম গ্যাং-লিপ বলছেন, নতুন আক্রান্ত ২৭ জনের মধ্যে ১৭ জনই কোনো না কোনো ক্লাবে ছিলেন। এ পরিস্থিতিতে আমরা দ্বিতীয় ও তৃতীয় ধাপের সংক্রমণের আশঙ্কা করছি।

এ অবস্থায় তথ্য গোপন না করার আহ্বান জানিয়ে কিম বলেন, আপনারা যদি আপনাদের চলাফেরার তথ্য গোপন করেন বা ভুল তথ্য দেন, তাহলে আমরা সংক্রমণের গতিধারা শনাক্ত করতে পিছিয়ে পড়ব। ফলে কমিউনিটি ট্রান্সমিশন রোধ করার কাজটি কঠিন হয়ে পড়বে। বর্তমানে আমরা যে স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা গড়ে তুলেছি, সেটিও চালু রাখা কঠিন হবে।

করোনাভাইরাস চীন জাপান টপ নিউজ দক্ষিণ কোরিয়া দ্বিতীয় ধাপের সংক্রমণ

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর