সীমিত পরিসরে গণপরিবহন চালুর পরামর্শ ডা. জাফরুল্লাহ’র
১৫ মে ২০২০ ১৯:৪১
ঢাকা: সাধারণ মানুষের চলাচল নির্বিঘ্ন করতে এবং অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে সীমিত পরিসরে গণপরিবহন চালুর পরামর্শ দিয়েছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। পাশাপাশি ব্যক্তিগত গাড়ি (প্রাইভেট কার) বন্ধ রাখারও পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
শুক্রবার (১৫ মে) সন্ধ্যায় মোবাইল ফোনে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সারাবাংলাকে এসব কথা বলেন ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। এর আগে একই বিষয়ে কয়েকটি গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।
সারাবাংলাকে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘আমি সীমিত পরিসরে বাস চালু রাখার কথা এই জন্য বলছি যে, মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়লেও হাসপাতালে যেতে পারছে না। মানুষের স্বাভাবিক চলাচল বন্ধ হয়ে আছে। অন্যদিকে যারা প্রাইভেট কারের মালিক, তারা ঠিকই পথ চলছে।’
‘সে কারণে সীমিত পরিসরে বাস চালু রাখা উচিত। এটা করা হলে মানুষ চলাচল করতে পারবে। আবার গণপরিবহন শ্রমিকদের মধ্যে যে হাহাকার চলছে, সেটি লাঘব হবে’— বলেন ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।
তিনি বলেন, “সরকার ৫০ লাখ পরিবারকে অর্থ সহায়তা দিচ্ছে। কে পাচ্ছে সেই অর্থ সহায়তা? সেগুলো প্রকাশ করা উচিত। দেখা উচিত মূলত যারা অভাবী, অনাহারী, তারা পাচ্ছে কী না? আর এভাবে ক’দিনই বা দিতে পারবে। তাই গণপরিবহন সীমিত আকারে চালু রেখে মানুষের জীবনযাত্রা আরেকটু সহজ করে দিক। মানুষ কাজ-কর্ম করে খাক।”
ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘প্রতি দশ মিনিট পর পর বাস ছাড়ে। এখন প্রতি দুই ঘণ্টা পর পর বাস ছাড়ুক। এতে করে স্বাস্থ্যবিধির দিকটা ঠিক থাকবে। অন্যদিকে অতি প্রয়োজনে যারা ঘর থেকে বের হচ্ছে, তাদের গণপরিবহনের চাহিদাও পূরণ হবে।’
‘আমরা দেখতে পাচ্ছি, গ্রামে এক কেজি পটল পাঁচ টাকা। শহরে সেটা ৬০ টাকা। গ্রামে এক কেজি বেগুন ১০ টাকা। শহরে সেটা ৭০/৮০ টাকা। গণপরিবহন সীমিত আকারে খুলে দিলে এই বৈষম্যটা কমে আসবে। আমি ছাত্রদের বলেছি, তোমরা গ্রামে গিয়ে কৃষকের পটল ১০ টাকা করে কিনে শহরে ২০ টাকা করে বিক্রি কর। কিন্তু ওরা যাবে কীভাবে? গণপরিবহন তো খুলতে হবে’— বলেন ডা. জাফরুল্লাহা চৌধুরী।
তিনি বলেন, ‘বাস খুলে দিয়ে প্রাইভেটকার একেবারে বন্ধ করে দিতে হবে। আমরা কিছু দিন প্রাইভেটকারে চড়ব না। রিকশাওয়ালাদের বাঁচাতে হবে। তারা বাইরে বের হচ্ছে। কিন্তু যাত্রী পাচ্ছে না। যারা বের হয়, ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়ে বের হয়। আর যাদের ব্যক্তিগত গাড়ি নাই তারা বের হয় না। এখন রিকশাচালক কী খেয়ে বাঁচবে? সরকার তাকে কয়দিন খাওয়াতে পারবে?’