এখনও বাকি ২ লাখ খাতা যাচাই, তবুও এসএসসির ফল প্রকাশের তোড়জোর
১৫ মে ২০২০ ২২:২৫
ঢাকা: মাধ্যমিক (এসএসসি) ও সমমান পরীক্ষার দুই লাখ খাতা (ওএমআর শিট) এখনও যাচাই বাকি রয়ে গেছে। কিন্তু এরইমধ্যে এসএসসির ফল প্রকাশ করতে তোড়জোর শুরু করে দিয়েছে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় সাব কমিটি।
কমিটির সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান মু. জিয়াউল হক সারাবাংলাকে বলেন, মে মাসের মধ্যে এসএসসির ফল প্রকাশ করা হবে। এ জন্য তার বোর্ডও সেরকমই প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে।
তবে এর থেকে কিছুটা ভিন্ন কথা বলছে বোর্ডটির পরীক্ষা নিয়ন্ত্রণ এবং কলেজ পরিদর্শন শাখার দুজন উর্ধ্বতন কর্মকর্তা। বৃহস্পতিবার সারাবাংলাকে তারা জানান, মে মাসের মধ্যে ফল প্রকাশ করার সম্ভাবনা কম। কারণ এখনো দুই লাখের মতো ওএমআর শিট যাচাই করার বাকি রয়েছে। কিছু শিট এখনো বোর্ডে এসেই পৌঁছায়নি। সেগুলো যাচাই করতেই দশ দিনের মতো সময় লাগবে। যেখানে মে মাসে শেষ হতে বাকি আছে পনের দিন।
তারা বলছেন, ফল প্রস্তুত করেই তো আর প্রকাশ করে দেওয়া যাবে না। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন লাগবে। এরপর ফল যাবে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে। সেক্ষেত্রে জুনের প্রথম সপ্তাহের আগে ফল প্রকাশ করা সম্ভব নাও হতে পারে।
বিষয়টি নিয়ে ঢাকা বোর্ড প্রধান মু. জিয়াউল হক বলেন, ‘খাতা তো দেখা হচ্ছে। ফলাফল প্রকাশের জন্য সব কাজ দ্রুততম সময়ে করা হচ্ছে। এখন আমরা চেষ্টা করছি। সব কিছু ঠিক থাকলে মে মাসে ফল প্রকাশ করা সম্ভব। সেভাবে করতে না পারলে জুনে প্রথম সপ্তাহে হয়ত যাবে। দেখা যাক কতটুকু কী করা যায়।’
এদিকে মাধ্যমিক ও সমমান (এসএসসি) পরীক্ষার লিখিত অংশের খাতা আগেই দেখা হয়ে গিয়েছিল, বাুক ছিল কেবল ওএমআর শিট যাচাই। যেকারণে আটকে ছিল পরীক্ষাটির ফল। তবে ডাক বিভাগের সহায়তায় এ মাসের শুরুতে বেশিরভাগ ওএমআর শিট বোর্ডে এসে পৌঁছায়।
মু. জিয়াউল হক বলেন, ‘আমরা গত কয়েক বছর ধরে পাবলিক পরীক্ষাগুলোর ফল ষাট দিনের মধ্যে প্রকাশ করে আসছি। এবারও সেটাই হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু কভিড-১৯ সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে গণপরিবহন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সেটি করা যায়নি। তাছাড়া শুরুতে আমরা ডাক বিভাগের মতো বিকল্প পন্থাও পাইনি। সেটি হলেও এতদিন অপেক্ষা করতে হতো না।’
ওএমআর শিট যাচাইয়ের কাজ গত ১৮ মার্চ থেকে স্থগিত করেছিল ঢাকা বোর্ড।
উল্লেখ্য, এ বছর ২৮ হাজার ৮৮৪টি প্রতিষ্ঠান থেকে ৯টি সাধারণ বোর্ডের অধীনে এসএসসিতে ১৬ লাখ ৩৫ হাজার ২৪০ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে। এরমধ্যে ৭ লাখ ৯১ হাজার ৯১৮ জন ছাত্র এবং ৮ লাখ ৪৩ হাজার ৩২২ জন ছাত্রী। এছাড়াও দাখিলে এবার ২ লাখ ৮১ হাজার ২৫৪ জন এবং এসএসসি ভোকেশনালে ১ লাখ ৩১ হাজার ২৮৫ জন পরীক্ষা দেয়।
পরীক্ষা ফেব্রুয়ারি মাসের ৩ তারিখে শুরু হয়ে মার্চের ৫ তারিখ শেষ হয়।