ঢাকা: ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্লাজমা সংগ্রহে শুরু করা হয়েছে। তিনজন করোনাজয়ী চিকিৎসকের কাছ থেকে নেওয়া হচ্ছে এই প্লাজমা। শনিবার (১৬ মে) বেলা সোয়া ১১টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নতুন ভবনের দ্বিতীয় তলায় প্লাজমা সংগ্রহের উদ্বোধন পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম নাসির উদ্দিন।
পরিচালক বলেন, ‘বিশ্বব্যাপী করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত। আমরাও আক্রান্ত। স্বাস্থ মন্ত্রনালয়ের অনুমোদন নিয়ে ঢাকা মেডিকেলে আজ থেকে শুরু হলো প্লাজমা নেওয়া। ইনশাল্লাহ সফল আমরা সফল হবো। আমরা তিনজন চিকিৎসক ডোনার পেয়েছি।’
হেমাটোলোজি বিভাগের প্রধান ডা. এম এ খান বলেন, ‘আজ সকাল সোয়া ১১টায় শুরু করা হয়েছে প্লাজমা সংগ্রহ। ঢামেকের (নতুন ভবন) ব্লাড ট্রান্সফিউশন বিভাগে করোনাজয়ীদের প্লাজমা সংগ্রহ হচ্ছে। গত ১২ এপ্রিল প্রথম আমাদের বলা হয় এ বিষয়ে কাজ করতে। চার সদস্যের কমিটি গঠন হয়। পরে আমাদের রিপোর্ট দেখে অনুমোদন দেওয়া হয়।’
ডা. এম এ খান বলেন, ‘করোনা জয়ী চিকিৎসরা হলেন, সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের ডা. দিলদার হোসেন বাদল ও মিটফোর্ড হাসপাতালের ডা. রওনক জামিল পিয়াস ও ডা. হাছিবুল ইসলাম। এই তিন চিকিৎসকের দেহ থেকে বিশেষ মেশিনের মাধ্যমে নেওয়া হবে এই প্লাজমা। তারপরে সংগ্রহ করা প্লাজমা পরীক্ষা করে দেখা হবে এতে এন্টিবডি কতটুকু আছে। পরে করোনা আক্রান্ত ব্যক্তিদের চিকিৎসার কাজে ব্যবহার করা হবে। এক সপ্তাহের মধ্যে রোগীর শরীরে পুশ করতে পারব। সাধারণ জনগন যারা করোনা থেকে সুস্থ হয়েছে, তারা যেন প্লাজমা দেওয়ার জন্য এগিয়ে আসে।’
ট্রান্সফিউসন মেডিসিন বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. মাজহারুল হক তপন বলেন, ‘এমন না যে প্লাজমার চিকিৎসা পদ্ধতি চালু হয়েছে! এখন আমরা রিসার্চ করছি। কার শরীরে কতটুকু এন্টিবোডি আছে তা দেখা হবে। সেটা দেখে আমরা ব্লাড ট্রান্সফার করব। একজনের শরীরে ১:১৬০ এন্টিবোডি থাকতে হবে। সবার প্রতি অনুরোধ জানিয়ে বলেন, এটা যেন সঠিক মাত্রা ছাড়া প্রয়োগ না করে।