Saturday 28 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ক্রেডিট কার্ডের বিল নিয়ে বিভ্রান্তি, ভোগান্তিতে গ্রাহক


১৬ মে ২০২০ ২০:৫৭

ঢাকা : বিভিন্ন ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ডের বিল পরিশোধ করার বিষয়ে গ্রাহকদের মাঝে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে।এই বিভ্রান্তির কারণে অনেক গ্রাহক ভোগান্তিতে পড়েছেন। আবার কোনো কোনো ব্যাংক কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনা অমান্য করে মার্চ ও এপ্রিল মাসের ক্রেডিট কার্ডের বিল পরিশোধ না করায় অনেক গ্রাহকের ক্রেডিট কার্ড ব্লক করে দিয়েছে। এতে করে গ্রাহকরা হয়রানির শিকার হচ্ছেন।তাদের অভিযোগ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনা সত্ত্বেও ব্যাংকগুলো ক্রেডিট কার্ডের সুদ আদায় বন্ধ করেনি এবং বিলম্বে বিল পরিশোধের কারণে মাশুলও আদায় করছে।

বিজ্ঞাপন

এদিকে বাংলাদেশ ব্যাংক ও বিভিন্ন ব্যাংকের দায়িত্বশীলদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, ক্রেডিট কার্ডের বিল আদায়ে কোনো ধরনের বিধিনিষেধ নেই। কেবল গত ১৫ মার্চ থেকে আগামী ৩১ মে পর্যন্ত সময়ে কোন গ্রাহক ক্রেডিট কার্ডের বিল পরিশোধ করতে না পারলে কোন ধরনের চক্রবৃদ্ধি সুদ কিংবা জরিমানা আদায় করা যাবে না।

এ ব্যাপারে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. সিরাজুল ইসলাম সারাবাংলাকে বলেন, ‘গত ১৫ মার্চ থেকে ৩১ মে পর্যন্ত সময়ে কোনো গ্রাহক ক্রেডিট কার্ডের বিল পরিশোধ করতে না পারলে, কোনো ধরনের দণ্ডসুদ, চক্রবৃদ্ধি সুদ কিংবা অন্য কোনো ফি আদায় করা যাবে না। বাংলাদেশ ব্যাংকের এ নির্দেশনা অমান্য করে কোনো ব্যাংক তা করলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং গ্রাহকের টাকা আদায় করে ফেরত দেওয়া হবে।’

তিনি বলেন, ‘ব্যাংকগুলো স্বাভাবিকভাবে ক্রেডিট কার্ডের সুদ আদায় করতে পারবে।ক্রেডিট কার্ডের কোন সুদ মওকুফ করা হয়নি এবং বিল আদায়ে কোনো বিধিনিষেধ নেই।’

অন্যদিকে ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেডের (ইবিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহীদের সংগঠন এবিবি’র চেয়ারম্যান আলী রেজা ইফতেখার সারাবাংলাকে বলেন, ‘ক্রেডিট কার্ডের বিল পরিশোধের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলার অত্যান্ত স্পষ্ট। সার্কুলারে বিলের কিস্তি আদায় করা যাবে না, এমন কথা কোথাও বলা হয়নি।’

তিনি বলেন, সার্কুলারে বলা হয়েছে, গত ১৫ মার্চ থেকে ৩১ মে পর্যন্ত সময়ে কোন গ্রাহক ক্রেডিট কার্ডের বিল পরিশোধ করতে না পারলে, তার কাছ থেকে বাড়তি সুদ কিংবা অন্য ফি আদায় করা যাবে না।

বিজ্ঞাপন

সূত্র জানায়, বাংলাদেশ ব্যাংকেরে নির্দেশনা সত্ত্বেও ব্যাংকগুলো মার্চ এপ্রিল মাসের ক্রেডিট কার্ডের বিল আদায়ের জন্য চাপ প্রয়োগ করছে। নির্ধারিত সময়ে মধ্যে বিল দিতে না পরায় সিটি ব্যাংকসহ বেশ কয়েকটি ব্যাংক থেকে তাদের গ্রাহকদের ক্রেডিট কার্ড ব্লক করে দিয়েছে।

একাধিত গ্রাহক নাম প্রকাশ না করার শর্তে সারাবাংলার কাছে এই ধরনের অভিযোগ করেছেন। তবে এ বিষয়ে সিটি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাসরুর আরেফীনকে একাধিকবার ফোনে কল করা হলেও তিনি কোনো সাড়া দেননি।

সূত্র জানায় করোনাভাইরাসের সংক্রমণের কারণে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে ক্রেডিট কার্ডের বিলের ওপর সুদ না নেওয়া প্রসঙ্গে গত ১৫ এপ্রিল বাংলাদেশ ব্যাংক একটি প্রজ্ঞাপন জরি করেছে।

এতে বলা হয়েছে, কোন কোন ব্যাংক অপিরেশাধিত ক্রেডিট কার্ড বিলের উপর মাসিক ভিত্তিতে চক্রবৃদ্ধি হারে সুদ আরোপ করছে। এতে করে গ্রাহক কর্তৃক অতিরিক্ত সুদ প্রদান করতে হচ্ছে। এই সংকটময় পরিস্থিতিতে কোনোভাবেই এটা গ্রহণযোগ্য নয়। এই অবস্থায় গত ১৫ মার্চ থেকে আগামী ৩১ মে পর্যন্ত ক্রেডিট কার্ড বিলের উপর দৈনিক বা মাসিক ভিত্তিতে চক্রবৃদ্ধি হারে সুদ আরোপ না করার জন্য নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

এতে আরো বলা হয়, গত ১৫ মার্চের পর যদি কোন ব্যাংক সুদ আরোপ করে, আদায় করা হয়ে থাকলে তা ফেরত দেওয়ার বা সমন্বয় করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। উল্লেখ্য সাধারণত ক্রেডিট কার্ড দিয়ে কেনা-কাটা করলে ৪৫ দিন পর্যন্ত বিনা সুদে বিল পরিশোধ করার সুযোগ থাকে। তবে ৪৫ দিন পার হয়ে গেলে বিলের উপর কেনাকাটার প্রথম দিন থেকেই উচ্চহারে সুদ আরোপ করে থাকে ব্যাংকগুলো। এই সুদ হার চক্রবৃদ্ধি হারে বাড়তে থাকে। আর এই ক্ষেত্রে ব্যাংক ভেদে সুদের হার সর্বনিম্ন ১৪ থেকে সর্বোচ্চ ৩০ শতাংশ পর্যন্ত হয়ে থাকে। আবার বাৎসরিক ফি নেওয়া হয় তিন হাজার টাকা পর্যন্ত।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত আগস্ট পর্যন্ত সময়ে দেশে ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১২ লাখ ৩ হাজার ৪২৭ জন। বর্তমানে দেশে ৪০টি ব্যাংক ক্রেডিট কার্ড সেবা দিচ্ছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংক টপ নিউজ বাংলাদেশ ব্যাংক ব্যাংক

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ

ইনজুরিতে মৌসুম শেষ রদ্রির
২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১০:২৮

সম্পর্কিত খবর