Thursday 21 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বিশ্বজয়ের নবতর অভিযাত্রায় বাংলাদেশ’


১৭ মে ২০২০ ১৭:৪৩

ঢাকা: আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, দুর্ভিক্ষে জর্জরিত বাংলাদেশ অস্থিত্ব টিকিয়ে রাখার সংগ্রাম করত এক সময়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মেধা-মনন, দক্ষতা, সৃজনশীলতা, উদার গণতান্ত্রিক দৃষ্টিভঙ্গি ও দূরদর্শী নেতৃত্বে সেই অবস্থা কেটে গেছে। বাংলাদেশে আজ বিশ্বজয়ের নবতর অভিযাত্রায় এগিয়ে চলেছে। বিশ্বসভায় আত্মমর্যাদাশীল জাতি হিসেবে সুপ্রতিষ্ঠিত।

রোববার (১৭ মে) দুপুরে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপকমিটি আয়োজিত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস এবং বিভিন্ন সংগঠনের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী ও চিকিৎসা সরঞ্জাম বিতরণ অনুষ্ঠানে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন তিনি।

বিজ্ঞাপন

আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার ৪০তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের প্রেক্ষাপট তুলে ধরে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আপনারা জানেন তৎকালীন শাসকগোষ্ঠীর রক্তচক্ষু নিষেধাজ্ঞাকে উপেক্ষা করে ১৯৮১ সালের ১৭ মে এক ঝঞ্ঝাবিক্ষুব্ধ দিনে, সেদিন ছিল দুর্যোগ, ঝড় ও বৃষ্টির মধ্যে বঙ্গবন্ধুকন্যা স্বদেশের মাটিতে প্রত্যাবর্তন করেন। সেই স্মৃতি আজ বারবার মনে পড়ে। সেদিন সেই বৃষ্টিভেজা দিনে দুর্যোগ আর অন্ধকারের মধ্যে মিছিলে মিছিলে এই নগরীতে অবিস্মরণীয় ও অচিন্তনীয় এক দৃশ্যের অবতারণা হয়।

সেদিনের সেই প্রেক্ষাপট ও দৃশ্যের বর্ণনা তুলে ধরে ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সভাপতির দায়িত্ব গ্রহণের ৩৯ বছরের রাজনৈতিক জীবনে বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে স্বৈরশাসনের অবসান, গণতন্ত্র শৃঙ্খলমুক্ত এবং বাঙালির ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। বাংলার দুঃখী মানুষের মুখে ফুটেছে হাসি। খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের বাংলাদেশ। আজকে এই দিনে বারবার মনে পড়ে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা ফিরে এসেছিলেন বলেই বঙ্গবন্ধু হত্যার যে কলঙ্ক আমরা বয়ে বেড়াচ্ছিলাম, বাঙালিকে তিনি সেই পাপমুক্ত করেছেন। তিনি যুদ্ধাপরাধীদের বিচার সম্পন্ন করেছেন।’

বিজ্ঞাপন

তিনি আরও বলেন, ‘শেখ হাসিনার রাজনৈতিক প্রজ্ঞা সততা, মেধা, দক্ষতা আর গুণাবলীতে সমসাময়িক বিশ্বের অন্যতম সেরা রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে তিনি স্বীকৃতি পেয়েছেন আপন মহিমায়। হিমাদ্রিশিখর সফলতা অর্জন করেছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দীর্ঘ ৩৯ বছর আন্দোলন সংগ্রামের এই পথচলা কুসুমাস্তীর্ণ ছিল না, ছিল বিপদসংকুল। গণমানুষের মুক্তির লক্ষ্যে আন্দোলন-সংগ্রামের অপরাধে তাকে বারবার ঘাতকদের হামলার শিকার ও কারা নির্যাতন ভোগ করতে হয়েছে। তার জীবনের ওপর বারবার হামলা এসেছে। মৃত্যুর মিছিলে দাঁড়িয়ে তিনি জীবনের জয়গান গেয়েছেন। তিনি ধ্বংসস্তুপের ওপর দাঁড়িয়ে বারবারে সৃষ্টির পতাকা উড়িয়েছেন। তিনি বাংলার মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় নীতি ও আদর্শের প্রশ্নে ছিলেন পিতার মতোই অবিচল এবং নির্ভীক ও সাহসী।’

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘জনগণের ভালোবাসায় সিক্ত হয়ে টানা তৃতীয়বারসহ চতুর্থবারের মতো রাষ্ট্র পরিচালনার সুযোগ পেয়ে তিনি দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়ন এবং সকল শ্রেণি-পেশার মানুষের জীবন উন্নয়নে যুগান্তকারী অবদান রেখেছেন। জননেত্রী শেখ হাসিনা যখনই রাষ্ট্রপরিচালনার দায়িত্ব নিয়েছেন তখনই এদেশের মাটি ও মানুষের কল্যাণে বাস্তবায়ন করেছেন বহুমুখী উদ্যোগ। বাংলাদেশ মাটি ও মানুষের প্রতি অগাধ বিশ্বাস এবং অক্ষয় প্রেমই হলো তার রাজনীতির অনুপ্রেরণার উৎস।’

বৈশ্বিক মহামারি করোনা সংকটের এই ক্রান্তিলগ্নেও বঙ্গবন্ধু কন্যা জনগণের জীবন ও জীবিকার সুরক্ষা নিশ্চিত করতে নিঃস্বার্থভাবে নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছেন বলে জানান ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ‘করোনা সংকটের শুরু থেকেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কার্যকরি পদক্ষেপ নিয়েছেন বলেই বাংলাদেশে এখনও বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় এই সংক্রমণ থেকে কিছুটা ভালো অবস্থানে আছে।’

তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুদক্ষ নেতৃত্বে করোনা সংকট জয় করে তার কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির অভিযাত্রায় দুর্বার গতিতে এগিয়ে যেতে সক্ষম হবো ইনশাআল্লাহ।’

এ সময় আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান, উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য একেএম রহমতুল্লাহ, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, এসএম কামাল হোসেন, ত্রাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক মৃনাল কান্তি দাস, উপদফতর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ।

পরে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের মাঝে চিকিৎসা সরঞ্জাম ও খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়।

নেতৃত্ব প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর