Friday 06 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ফ্ল্যাট পাচ্ছেন অস্বচ্ছল মুক্তিযোদ্ধারা


৪ মার্চ ২০১৮ ০৮:৪৬

জোসনা জামান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: বহুতল আবাসিক ভবনে ফ্ল্যাট পাচ্ছেন অস্বচ্ছল মুক্তিযোদ্ধারা। এ জন্য প্রত্যেক জেলা-উপজেলায় তৈরি হচ্ছে বহুতল আবাসিক ভবন। ফলে মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারি আর্থ-সামাজিকভাবে পিছিয়ে পড়া অস্বচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের বাসস্থানের ব্যবস্থা করার মধ্যদিয়ে জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন হবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা। এ উদ্যোগটি বাস্তবায়নে ব্যয় হবে ২ হাজার ২৭৩ কোটি ২১ লাখ টাকা।

সূত্র জানায়, ‘প্রতি জেলা/ উপজেলায় অস্বচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য বহুতল ভবন নির্মাণ’ নামের একটি প্রকল্প প্রস্তাব করা হয়েছে পরিকল্পনা কমিশনে। ইতোমধ্যেই প্রকল্পটি অনুমোদনের প্রক্রিয়া চূড়ান্ত করা হয়েছে। জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) আগামী সভায় অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হতে পারে। অনুমোদন পেলে চলতি বছর থেকে ২০২০ সালের জুনের মধ্যে এটি বাস্তবায়নের কাজ করবে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)।

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো প্রস্তাবে বলা হয়েছে, দুই ইউনিট বিশিষ্ট ২৬৪টি এবং চার ইউনিট বিশিষ্ট ২৬৮টি অর্থাৎ মোট ৫৩২টি ভবন নির্মাণ করা হবে। প্রতিটি ইউনিট বা ফ্ল্যাটের আয়তন হবে ৯৮২ বর্গফুট। এতে ৩টি বেড রুম, ১টি ড্রইং কাম ডাইনিং রুম, ২টি বাথরুমসহ বারান্দা। তবে যেসব জেলা বা উপজেলায় ৩ বা ততোধিক ভবনের প্রয়োজন হবে সেখানে আবাসন কমপ্লেক্স নির্মাণ করে অন্যান্য সুবিধাদি যেমন,অভ্যন্তরীণ সড়ক, লাইটিং ও ড্রেনেজ ব্যবস্থাসহ অন্যান্য সুবিধা নিশ্চিত করা হবে। মূল খাস জমির উপর ভবনগুলো নির্মাণ করা হবে। তবে যেসব উপজেলায় খাস জমি পাওয়া না যায় সখানে জমি অধিগ্রহণের প্রস্তাবও করা হয়েছে।

এ বিষয়ে প্রকল্পটির দায়িত্বপ্রাপ্ত পরিকল্পনা কমিশনের ভৌত কাঠামো বিভাগের সদস্য জুয়েনা আজিজ কমিশনের মামত দিতে গিয়ে বলেন, প্রকল্পটি বাস্তবায়নের মাধ্যমে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী অস্বচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য ৮ হাজারটি ফ্ল্যাট নির্মাণ করা হবে। এতে উন্নত আবাসন সুবিধা নিশ্চত করার মাধ্যমে পরিবারসহ তাদের জীবনযাত্রার মান উন্নত হবে।

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয় ঘটে। মুক্তিযুদ্ধের প্রধান লক্ষ্য ছিল মুক্তিকামী জনগণের জন্য একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করে তাদের মৌলিক চাহিদা পূরণ করা। বাসস্থান মানুষের অন্যতম মৌলিক চাহিদা। সরকারের বিভিন্ন আবাসন প্রকল্পের মাধ্যমে দেশের নিম্ন ও মধ্যম আয়ের লোকদের আবাসন সুবিধা দেয়া হবে। কিন্তু স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী বীর মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্য অস্বচ্ছল মুক্তিযোদ্ধারা এ সুবিধা হতে বঞ্চিত থেকে যান। অস্বচ্ছল মুক্তিযোদ্ধারা সকলেই বয়োজ্যেষ্ঠ এবং উপার্জনক্ষম না হওয়ায় তাদেও পক্ষে ভাড়া খরিদ বা এককালীন অর্থ পরিশোধের মাধ্যমে ফ্ল্যাট কেনা সম্ভব নয়।

২০১০ থেকে ২০১১ সালে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় ভূমিহীন অস্বচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য বাসস্থান নির্মাণ শীর্ষক প্রকল্পটি গ্রহণ করে। এই প্রকল্পটির আওতায় ভূমিহীন অস্বচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের নিজ জমিতে সরকারি অর্থায়নে ২ হাজার ৯৭১টি বাসগৃহ নির্মাণ করে দেয়া হচ্ছে। তবে এ সংখ্যা চাহিদার তুলনায় কম।

২০১৫ সালে ১৮ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় পরিদর্শনকালে দেশব্যাপী অস্বচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের সংখ্যা বিবেচনা করে জেলা উপজেলা পর্যায়ে বহুতল ভবন নির্মাণের মাধ্যমে ১০ হাজার ফ্ল্যাট বরাদ্দের নির্দেশনা দেন।

এ প্রেক্ষিতে প্রকল্পটি প্রস্তাব করা হয় উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব (ডিপিপি) উপর ২২১৭ সালের ৫ এপ্রিল প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটি (পিইসি) সভা অনুষ্ঠিত হয়। পিইসি সভায় ডিপিপির প্রাক্কলিত ব্যয় ছিল ২ হাজার ৪৭২ কোটি ৩৫ লাখ টাকা। পিইসি সভার সিদ্ধান্তে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় ডিপিপি পূর্ণগঠন করে সর্বশেষ ২০১৭ সালের ১৯ অক্টোবর পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানো হয়। পুনর্গঠিত ডিপিপি অনুযায়ী প্রকল্পটির মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ২ হাজার ২৭৩ কোটি ২১ লাখ টাকা।

প্রকল্পের মূল কার্যক্রম হচ্ছে, ১৪ একর ভূমি অধিগ্রহণ, ৯৮২ বর্গফুটের ৮ হাজার ফ্ল্যাট নির্মাণ এবং একই জায়গায় ৩ বা ততোধিক ভবন নির্মাণের ক্ষেত্রে আবাসন কমপ্লেক্স এর সুবিধাদি যেমন, অভ্যন্তরীণ সড়ক, লাইটিং ও ড্রেনেজ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

১২ তলা নতুন ভবন পাচ্ছে সুপ্রিমকোর্ট

সারাবাংলা/জেজে/ এমএইচ


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ

ধানমন্ডি থেকে গ্রেফতার শাজাহান খান
৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০২:৪৫

সম্পর্কিত খবর