ঢাকা: চলতি সপ্তাহেই ঘুর্ণিঝড় আমফান দেশের উপকূলীয় ২৫ জেলার ওপর দিয়ে বয়ে যেতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ওই সময় উপকূলীয় অঞ্চলে ঝড়ো হাওয়া ও হালকা থেকে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা থাকবে। এই পরিস্থিতিতে ওইসব এলাকার চলতি বোরো ফসলের ৮০ শতাংশ পরিপক্ব হলে তা দ্রুত সংগ্রহ করতে পরামর্শ দিয়েছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর।
রোববার (১৭ মে) কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের আওতাধীন ‘কৃষি আবহাওয়া তথ্য পদ্ধতি উত্তরণ কেন্দ্র’ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই প্রাকৃতিক দুর্যোগের আগাম আভাস দিয়েছে।
সেখানে বলা হয়েছে, আগামী ২০ মে বৃহস্পতিবার সকালে দেশের উপকূলীয় এলাকা অতিক্রম করতে পারে। এ সময় উপকূলীয় বাগেরহাট, বরগুনা, বরিশাল, ভোলা, চাঁদপুর, গোপালগঞ্জ, ঝালকাঠি, খুলনা, মাদারীপুর, পটুয়াখালী, পিরোজপুর, সাতক্ষীরা, শরিয়তপুর এবং অন্যদিকে বান্দরবান, রাঙামাটি, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, খাগড়াছড়ি, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, মুন্সিগঞ্জ, নড়াইল, কুমিল্লা, ফেনী, যশোর এই ২৫ জেলার কৃষিতে কিছুটা আঘাত হানতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সেক্ষেত্রে কৃষকদের প্রতি পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এরমধ্যে রয়েছে চলতি মৌসুমে বোরো ধান যদি ৮০ ভাগ পরিপক্ব হয়ে থাকে তবে তা মাঠ থেকে দ্রুত সংগ্রহ করতে বলা হয়েছে। সংগ্রহ করা ফসল পরিবহনের অভাবে বাড়িতে তুলতে না পারলে মাঠেই সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা, পরিপক্ব সবজি ও ফল সংগ্রহ করা, সেচ, সার ও বালাইনাশক প্রয়োগ না করা, স্রোত থেকে ফসল রক্ষা করতে জমিতে উঁচু করে আল তৈরি করা, নিষ্কাষণ নালা পরিষ্কার রাখা যাতে জমিতে পানি জমতে না পারে, খামারজাত সকল পণ্য নিরাপদে রাখা, আখের ঝাড় বেঁধে দিয়ে কলা ও অন্যান্য ফসলের সঙ্গে খুঁটির ব্যবস্থা করা যাতে ঝড়ে ভেঙে না পড়ে। মাছ রক্ষা করতে পুকুরের চারপাশে জাল দিয়ে ঘিরে রাখতে বলা হয়েছে। আর গবাদি পশু ও হাঁস-মুরগী শুকনো ও নিরাপদ স্থানে রাখা, মৎসজীবিদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে।