উপকূলের জেলেদের জন্য ২৩ হাজার ৪৯৭ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ
১৮ মে ২০২০ ১৫:১৪
ঢাকা: দেশের সামুদ্রিক জলসীমায় ৬৫ দিন (২০ মে-২৩ জুলাই) মৎস্য আহরণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এ কারণে উপকূলের জেলেদের জন্য ২৩ হাজার ৪৯৬.৯৮ মেট্রিক টন ভিজিএফ চাল বরাদ্দ দিয়েছে সরকার। সমুদ্র উপকূলীয় ১২টি জেলার ৪৪টি উপজেলা এবং চট্টগ্রাম মহানগরীর ৪ লাখ ১৯ হাজার ৫৮৯টি জেলে পরিবারের জন্য এ বরাদ্দ দেওয়া হয়।
সোমবার (১৭ মে) মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সমুদ্রে মৎস্য আহরণে বিরত থাকা নিবন্ধিত কার্ডধারী প্রতিটি জেলে পরিবারকে প্রতি মাসে ৪০ কেজি হারে ৪২দিন (২০ মে-৩০ জুন) মোট ৫৬ কেজি চাল ১ম কিস্তিতে দেওয়া হবে। ভিজিএফ চাল ১৫ জুন ২০২০ তারিখের মধ্যে উত্তোলন ও সংশ্লিষ্টদের মাঝে বিতরণ শেষ করার জন্য জেলা প্রশাসকদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। কার্ডধারী এবং সমুদ্রগামী জেলে ছাড়া এ ভিজিএফ দেওয়া যাবে না।
যেসব উপজেলা সহযোগিতা পাবে তারমধ্যে- খুলনা জেলার বটিয়াঘাটা, দাকোপ, পাইকগাছা, কয়রা ও রূপসা, বাগেরহাট জেলার মোংলা, মোড়েলগঞ্জ ও শরণখোলা, সাতক্ষীরা জেলার আশাশুনি ও শ্যামনগর, চট্টগ্রাম জেলার বাঁশখালী, আনোয়ারা, মিরসরাই, সন্দ্বীপ, কর্ণফুলী, সীতাকুন্ড ও চট্টগ্রাম মহানগরী, কক্সবাজার জেলার সদর, চকরিয়া, মহেশখালী, উখিয়া, পেকুয়া, কুতুবদিয়া, টেকনাফ ও রামু, নোয়াখালী জেলার হাতিয়া, ফেনী জেলার সোনাগাজী, লক্ষ্মীপুর জেলার রামগতি, বরগুনা জেলার সদর, পাথরঘাটা, আমতলী ও তালতলী, পিরোজপুর জেলার মঠবাড়িয়া, পটুয়াখালী জেলার সদর, কলাপাড়া, বাউফল, গলাচিপা, রাঙ্গাবালি ও দশমিনা এবং ভোলা জেলার বোরহানউদ্দিন, চরফ্যাশন, দৌলতখান, লালমোহন, তজুমুদ্দিন ও মনপুরা।
উল্লেখ্য, মাছের সুষ্ঠু প্রজনন ও সামুদ্রিক মৎস্য সম্পদ সংরক্ষণের জন্য ২০১৫ সাল থেকে প্রতিবছর ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত মোট ৬৫ দিন বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক জলসীমায় সব প্রকার মৎস্য ও ক্রাস্টাশিয়ান্স (চিংড়ি, লবস্টার, কাটল ফিস প্রভৃতি) আহরণ নিষিদ্ধ করেছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়।