গতি পাচ্ছে আম্ফান, অবস্থান উপকূল থেকে হাজার কিলোমিটার দূরে
১৮ মে ২০২০ ১৭:৪৪
ঢাকা: বঙ্গোপসাগরে জন্ম নেওয়া প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘আম্ফান’ বাংলাদেশের উপকূলের দিকে এগোচ্ছে। ক্রমেই গতিও বাড়ছে এই ঘূর্ণিঝড়ের। এর কেন্দ্রে বাতাসের গতি এখন ঘণ্টায় ২০০ কিলোমিটার ছাড়িয়ে গেছে। ঘূর্ণিঝড়টির উপকূলের দিকে এগিয়ে আসার গতিবেগও বেড়েছে। তবে এখনো আম্ফানটি বাংলাদেশের উপকূল থেকে হাজার কিলোমিটারেরও বেশি দূরে রয়েছে। আবহাওয়া অধিদফতর বলছে, বর্তমান গতিবিধি অব্যাহত থাকলে বুধবার (২০ মে) নাগাদ এটি আঘাত হানতে পারে সরাসরি বাংলাদেশের উপকূলেই।
আবহাওয়া অফিসের তথ্য অনুযায়ী, ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের কাছাকাছি এলাকার সাগর খুবই উত্তাল রয়েছে। ঝড়টির কেন্দ্রে বাতাসের গতিবেগ সর্বোচ্চ ২৩০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে ভারতের উড়িষ্যা উপকূল থেকে বাংলাদেশ উপকূল পর্যন্ত সমুদ্রের আচরণ ক্রমাগত আক্রমণাত্মক হয়ে উঠছে।
অধিদফতরের জরুরি আবহাওয়া বুলেটিনে বলা হয়েছে, ঘূর্ণিঝড়টি শক্তি সঞ্চয় করতে করতে আরও কিছুটা উত্তর দিকে অগ্রসর হয়েছে। এটি আরও প্রবল হয়ে দেশের খুলনা ও চট্টগ্রাম উপকূলের দিকে আসতে পারে। এ কারণে দেশের মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে ৭ নম্বর বিপত সংকেত ও চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারকে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
সাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে দ্রুত নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে বলা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সেগুলোকে নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে নির্দেশ দিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর।
ঘূর্ণিঝড়টি বিকেল ৪টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে এক হাজার ১০০ কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে এক হাজার ৪০ কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে এক হাজার ১৫ কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্র বন্দর থেকে এক হাজার কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল।
আবহাওয়া অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, ১৯৭০ সালের বাংলাদেশে আঘাত করা ঘূর্ণিঝড়ের সর্বোচ্চ গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ২২৪ কিলোমিটার। ২০০৭ সালের ঘূর্ণিঝড় সিডরের সর্বোচ্চ গতিবেগ ২২৩ কিলোমিটার। এখনো বাংলাদেশের উপকূল থেকে হাজার কিলোমিটার দূরে থাকা আম্ফান এরই মধ্যে সেই গতিবেগ ছুঁয়ে ফেলেছে। একই গতি নিয়ে ঘূর্ণিঝড়টি উপকূলে আছড়ে পড়লে তা মহাদুর্যোগের কারণ হয়ে দাঁড়াবে।