Monday 02 Jun 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘আম্পান’-এর ক্ষত সারাতে ২৫ জাহাজ নামাচ্ছে সশস্ত্র বাহিনী


২০ মে ২০২০ ০২:১৫ | আপডেট: ২০ মে ২০২০ ০২:৩৪
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ঢাকা: ঘূর্ণিঝড় আম্পান বুধবার (২০ মে) বিকেলের পর খুলনা অঞ্চল দিয়ে বাংলাদেশ উপকূল অতিক্রম করতে পারে। এই ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় বাংলাদেশ নৌবাহিনী গভীর সমুদ্র ও উপকূলীয় এলাকায় তিন স্তরের উদ্ধার ও ত্রাণ সহায়তায় প্রস্তুত রয়েছে। সেই সাথে নৌবাহিনীর ২৫টি জাহাজ প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতর (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী বেসামরিক প্রশাসনের সঙ্গে দুর্যোগ পূর্ববর্তী ও দুর্যোগ পরবর্তী কার্যক্রমের অংশ হিসেবে নিজস্ব উৎস থেকে ১৮ হাজার ৪০০টি ত্রাণের প্যাকেট তৈরি করেছে। এছাড়াও ৭১টি ছোট মেডিকেল টিম প্রস্তুত রেখেছে। ১৪৫টি ছোট দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা টিম বিশেষ সরঞ্জামাদিসহ সংক্ষিপ্ত নোটিশে মোতায়েনের জন্য প্রস্তুত রয়েছে। ভূমিধ্বস বিষয়ে অভিজ্ঞতা সম্পন্ন বিশেষ দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা টিম বলপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমার নাগরিকদের রক্ষায় কক্সবাজার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে মোতায়েনের জন্যও প্রস্তুত রয়েছে।

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, এছাড়াও ৩১৩টি স্পিডবোট, ১৫টি পানি বিশুদ্ধকরণ প্ল্যান্ট, ২৩৯ আউট বোর্ড মোটর, চারটি জাপানিজ উদ্ধার বোর্ড, ছয়টি ফাইবার গ্লাস বোর্ড, ১১৫টি শার্ক বোর্ড এবং দুইটি ল্যান্ডিং ক্রাফট ভেহিক্যাল প্রস্তুত রয়েছে। আর্মি এভিয়েশন উদ্ধার ও ত্রাণ বিতরণ এর জন্য প্রস্তুত রয়েছে।

ঘুর্ণিঝড় আম্পান’ পরবর্তী জরুরি উদ্ধার, ত্রাণ ও চিকিৎসা সহায়তাসহ যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবেলায় তিন স্তরের প্রয়োজনীয় বাংলাদেশ নৌবাহিনী নিয়েছে বলে উল্লেখ করা হয় বিজ্ঞপ্তিতে। বলা হয়, এরই মধ্যে চট্টগ্রাম, খুলনা ও মোংলা নৌঅঞ্চলে নৌবাহিনীর ২৫টি জাহাজ সমুদ্র ও উপকূলীয় এলাকায় দ্রুততম সময়ে জরুরি উদ্ধার, ত্রাণ এবং চিকিৎসা সহায়তা প্রদানের জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

পাশাপাশি ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী সমুদ্র ও উপকূলীয় এলাকায় অনুসন্ধান কাজের জন্য নৌবাহিনীর দুইটি মেরিটাইম পেট্রোল এয়ার ক্রাফট এবং দুইটি হেলিকপ্টার প্রস্তুত রাখা হয়েছে। সেইসঙ্গে খুলনা, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা, বরগুনা, পটুয়াখালী, বরিশাল, পিরোজপুরসহ উপকূলীয় দুর্গত এলাকাগুলোতে মোতায়েনের জন্য নৌ কন্টিনজেন্ট প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

উদ্ধার কাজে প্রথমে নৌবাহিনীর দু’টি মেরিটাইম পেট্রোল এয়ারক্রাফট ও দু’টি হেলিকপ্টারের মাধ্যমে বঙ্গোপসাগরে অনুসন্ধান কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে। তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে নৌবাহিনী জাহাজগুলো পরে উদ্ধার তৎপরতা ও ত্রাণ সহায়তা পরিচালনা করবে।

এছাড়াও বিমান বাহিনীর সব এয়ারক্রাফট ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ, চিকিৎসা ও উদ্ধার অভিযানের জন্য প্রস্তুত রয়েছে। বিমান বাহিনীর এয়ারক্রাফট গুলোর মধ্যে রয়েছে ছয়টি পরিবহন বিমান ও ২২টি হেলিকপ্টার।

আম্পান মোকাবিলা ঘূর্ণিঝড় আম্পান মোকাবিলা জাহাজ নৌবাহিনী

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর