চট্টগ্রামেও মহাবিপদ সংকেত, বন্দরে সর্বোচ্চ সতর্কতা
২০ মে ২০২০ ১৩:২০
চট্টগ্রাম ব্যুরো: ঘূর্ণিঝড় আম্পান বাংলাদেশ উপকূলের কাছাকাছি চলে আসার পর চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার বন্দরকে ৯ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অফিস। ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষতি মোকাবিলায় চট্টগ্রাম বন্দরে চার মাত্রার সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। জাহাজ না থাকায় এবং অপারেশনাল কার্যক্রম বন্ধ থাকায় ২৪ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে কার্যত অচল হয়ে আছে চট্টগ্রাম বন্দর।
বুধবার (২০ মে) সকালে মহাবিপদ সংকেত জারির পর চট্টগ্রাম বন্দরে নিজস্ব চার মাত্রার সর্বোচ্চ সতর্ক সংকেত জারি করা হয়েছে। চট্টগ্রাম বন্দরের নিয়ন্ত্রণ কক্ষে সার্বক্ষণিকভাবে চালু আছে। বেলা ১২টার দিকে বন্দরের জেটিতে গিয়ে পরিস্থিতি দেখে এসেছেন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য (প্রশাসন) মো. জাফর আলম সারাবাংলাকে বলেন, ‘মূলত অ্যালার্ট থ্রি জারির পরই চট্টগ্রাম বন্দরের সব অপারেশনাল কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেছে। অ্যালার্ট-ফোর মানে হচ্ছে সর্বোচ্চভাবে মোকাবিলার জন্য মানসিক প্রস্তুতি রাখা। এখন বন্দরে কোনো জাহাজ নেই। বহির্নোঙ্গরেও জাহাজ নেই। লাইটারেজ জাহাজগুলোকে কর্ণফুলী নদীতে শাহ আমানত সেতুর দক্ষিণে নেওয়া হয়েছে। বন্দরের ইয়ার্ড থেকে আগে বুকিং থাকা কিছু কিছু কনটেইনার এখনও ডেলিভারি হচ্ছে। তবে সেটা সংখ্যায় খুবই নগণ্য।’
এর আগে মঙ্গলবার (১৯ মে) সকালের জোয়ারে চট্টগ্রাম বন্দরে জাহাজশূন্য করা হয়। জেটি থেকে ১৯টি এবং বহির্নোঙ্গর থেকে ৬৭টি জাহাজ সরিয়ে সেন্টমার্টিন উপকূলে পাঠানো হয়। এছাড়া প্রায় ৫০০ লাইটারেজ জাহাজকে কর্ণফুলী নদীতে শাহ আমানত সেতুর দক্ষিণে পাঠানো হয়েছে। জেটিতে যেসব গ্যান্ট্রিক্র্যান ও আনুষাঙ্গিক ভারি যন্ত্রপাতি আছে সেগুলোকে সুরক্ষিত করা হয়েছে। এছাড়া নিজস্ব নৌযানগুলোকে নিরাপদ স্থানে নোঙ্গর করা হয়েছে।
চট্টগ্রাম বন্দরে চালু তিন বিভাগের তিন নিয়ন্ত্রণ কক্ষে 031 – 726 916, 031- 2517711 এবং 01751 71 30 37 নম্বরে যোগাযোগ করা যাবে।
মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে বুধবার সকাল ৬টা থেকেই ১০ নম্বর ‘মহাবিপদ সংকেত’ দেখাতে বলা হয়েছিল। পরে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার বন্দরকেও ৬ নম্বর বিপদ সংকেতের বদলে ৯ নম্বর ‘মহাবিপদ সংকেত’ দেখাতে বলা হয়েছে।
আবহাওয়ার বিশেষ বুলেটিনে জানানো হয়েছে, বুধবার বিকাল থেকে সন্ধ্যার মধ্যে সুন্দরবনের কাছ দিয়ে অতি প্রবল এ ঘূর্ণিঝড় পশ্চিমবঙ্গ-বাংলাদেশ উপকূল অতিক্রম করতে পারে। তখন এর বাতাসের শক্তি থাকতে পারে ঘণ্টায় প্রায় দেড়শ কিলোমিটার বা তার বেশি।