‘নদীয়া-মুর্শিদাবাদ হয়ে বাংলাদেশে ঢুকবে আম্পান’
২০ মে ২০২০ ১৪:৪৪
উপকূলীয় জেলাগুলোসহ সমগ্র পশ্চিমবঙ্গে বুধবার (২০ মে) দিনভর তাণ্ডব চালিয়ে কিছুটা দূর্বল অবস্থায় ‘গভীর নিম্নচাপ’ হিসেবে নদীয়া-মুর্শিদাবাদ হয়ে বাংলাদেশে ঢুকবে সুপার সাইক্লোন আম্পান। এমন পূর্বাভাস দিয়েছে, পশ্চিমবঙ্গের আলিপুর আবহাওয়া দফতর।
পশ্চিমবঙ্গজুড়ে প্রচারিত আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রাজ্যের সাত জেলা ঝুঁকিতে। সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ উপকূলীয় তিন জেলা উত্তর ও দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা এবং পূর্ব মেদিনীপুর। কিছুটা কম ঝুঁকিতে থাকবে কলকাতা, হাওড়া, হুগলি ও পশ্চিম মেদিনীপুর। সবচেয়ে কম ঝুঁকিতে রয়েছে নদীয়া, মুর্শিদাবাদ। ওই অঞ্চল অতিক্রমকালে আম্পান গভীর নিম্নচাপে পরিণত হবে।
এদিকে, বুধবার বিকেল নাগাদ আম্পান ভারতের ভূ-ভাগে আছড়ে পড়বে বলে মনে করছে আবহাওয়াবিদরা। বঙ্গোপসাগর উপকূলে ভারতের তিন জেলায় ঘূর্ণিঝড়ের গতিবেগ থাকবে ঘণ্টায় ১৫৫-১৬৫ কিলোমিটার। সর্বোচ্চ গতিবেগ হতে পারে ঘণ্টায় ১৮৫ কিলোমিটার পর্যন্ত। পাশাপাশি সাগরে থাকবে জলোচ্ছ্বাস। উত্তর ও দক্ষিণ চব্বিশ পরগনায় জোয়ারের ঢেউয়ের উচ্চতা হবে ৪-৫ মিটার। পূর্ব মেদিনীপুর এলাকায় ঢেউয়ের উচ্চতা থাকবে স্বাভাবিকের চেয়ে ৩-৪ মিটার উঁচু।
এছাড়াও কলকাতা, হাওড়া, হুগলি ও পশ্চিম মেদিনীপুরে ঝড়ের পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।এই তিন জেলায় ঝড়ের গতিবেগ থাকবে ঘন্টায় ১১০-১২০ কিলোমিটার। সেই গতিবেগ বেড়ে সর্বোচ্চ ঘণ্টায় ১৩০ কিমি পর্যন্ত হতে পারে। সঙ্গে থাকবে অতি ভারী বৃষ্টিপাত।
অন্যদিকে, নদীয়া, মুর্শিদাবাদসহ পদ্মার দক্ষিণ পাড়ের বাকি জেলাগুলোতেও ঝড়বৃষ্টি হবে। এর মধ্যে, নদীয়া মুর্শিদাবাদে ঝড়ের গতিবেগ থাকবে ঘণ্টায় ৭০-৮০ কিলোমিটার। যা সর্বোচ্চ ঘণ্টায় ৯০ কিলোমিটার পর্যন্ত হতে পারে। অন্য জেলাগুলিতে এই গতিবেগ থাকবে ঘণ্টায় ৪৫-৫৫ কিলোমিটার। সর্বোচ্চ গতিবেগ হতে পারে ঘণ্টায় ৬৫ কিলোমিটার। সঙ্গে চলবে বৃষ্টি। অবিরাম বৃষ্টি থাকবে মালদহ এবং উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুরে।
আলিপুর আবহাওয়া দফতরের মতে, বৃহস্পতিবার (২১ মে) বিকেল নাগাদ বাংলাদেশে প্রবেশ করবে আম্পান। তবে তখন সুপার সাইক্লোনটি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হবে। তার প্রভাবে বৃষ্টিপাত ও ঝড়ো হাওয়া থাকবে।