Monday 25 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ভার্চুয়াল কোর্টে জামিন পেল শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রের ২০৫ শিশু


২০ মে ২০২০ ২১:২৫

ঢাকা: ভার্চুয়াল কোর্টের মাধ্যমে জামিন পেল সমাজ সেবা অধিদফতর অধীন ৩টি শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রের ২০৫ শিশু। এরইমধ্যে বিশেষ সরকারি ব্যবস্থাপনায় জামিন প্রাপ্ত ১৩৫ জন শিশুকে তাদের অভিভাবকের ঠিকানায় পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। বাকি শিশুদের ঈদের আগেই অভিভাবকের কাছে পৌঁছে দেওয়া হবে। সমাজসেবা অধিদফতর সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

জানা গেছে, সমাজসেবা অধিদফতর দেশের ৩টি শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে পরিচালনা করে আসছে। কেন্দ্র ৩টি গাজীপুর জেলার টঙ্গী ও কোনা বড়ী এবং যশোরে অবস্থিত। এরমধ্যে টঙ্গী ও যশোরের কেন্দ্র দুটি বালক শিশুদের জন্য নির্ধারিত। আর কোনাবাড়ীর কেন্দ্রটিতে বালিকা শিশুদের রাখা হয়। শিশু আইন ২০১৩ অনুযায়ী আদালত আইনের সঙ্গে সংঘাতে বা সংস্পর্শে আসা শিশুদের জেলখানায় না পাঠিয়ে তাদের উন্নয়নের জন্যই শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে পাঠানো হয়ে থাকে।

বিজ্ঞাপন

করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) প্রাদূর্ভাবের আগ পর্যন্ত ৩০০ আসন বিশিষ্ট গাজীপুরের টঙ্গী শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে ৬৯৫জন শিশু অবস্থান করতো। যা ধারণ ক্ষমতার দ্বিগুণেরও বেশি। অন্যদুটি প্রতিষ্ঠানে ও ধারণ ক্ষমতার অনেক বেশি শিশু অবস্থান করছিল। ফলে করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকিতে ছিল শিশুরা।

এদিকে কোভিড-১৯ দুর্যোগে দেশের সকল আদালতের স্বাভাবিক বিচার ব্যবস্থা বাধাগ্রস্ত হয়ে যায়। এতে শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রের জামিন অনেকটা স্থবির হয়ে পড়ে। জামিন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে অবস্থারত শিশুদের সুরক্ষা প্রদান করা কঠিন হয়ে পড়ে বলে জানায় সমাজসেবা অধিদফতর।

সরকার গত ৯ মে ‘আদালত কর্তৃক তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহার অধ্যাদেশ ২০২০’ জারি করে। একইসঙ্গে উচ্চ আদালত হতে জারি করা হয় বিশেষ প্রাকটিস নির্দেশনা। এর ফলে তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহার করে ভার্চুয়াল কোর্ট পরিচালনার পথ উন্মুক্ত হয়। এর ফলে গত ১২ মে হতে ১৯ মে পর্যন্ত আট দিনে ভার্চুয়াল কোর্টের মাধ্যমে জামিন পায় ২০৫ শিশু। এর মধ্যে টঙ্গীর শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রের ১২৭ জন বালক, যশোর কেন্দ্রের ৬৬ জন বালক এবং কোনাবাড়ী কেন্দ্রের ১২ বালিকা শিশু রয়েছে।

বিজ্ঞাপন

সমাজসেবা অধিদফতরের গবেষণা, মূল্যায়ন, প্রকাশনা ও গণসংযোগ বিভাগের উপপরিচালক মো. সাজ্জাদুল ইসলাম জানান, ভার্চুয়াল কোর্টের মাধ্যমে শিশুদের জামিনে মুক্ত করতে সমাজ সেবা অধিদফতর নানামুখি উদ্যোগ ও যোগাযোগ রক্ষা করে।

এ কাজে ‘সুপ্রিম কোর্ট স্পেশাল কমিটি অব চাইল্ড রাইটস’ এর চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের এপিলেড ডিভিশনের বিচারপতি মো. ইমান আলী গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। জামিনপ্রাপ্ত শিশুদের এ কমিটির উদ্যোগে সমাজসেবা অধিদফতরের মাধ্যমে ইউনিসেফ, বাংলাদেশের সহযোগিতয় অভিভাবকের ঠিকানায় পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। এরইমধ্যে ১৩৫ জন শিশুকে অভিভাবকের কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। বাকি শিশুরা ঈদের আগেই বাড়ি ফিরতে পারবে।

অপরাধী আইন আদালত ভার্চুয়াল কোর্ট শিশুদের জামিন সমাজসেবা অধিদফতর

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর