‘দুর্বল’ আম্পানের শক্তি দেখছে খুলনা-সাতক্ষীরা
২০ মে ২০২০ ২৩:৪৩
ঢাকা: যে শক্তি নিয়ে ঘূর্ণিঝড় ‘আম্পান’ বুধবার (২০ মে) বিকেলে স্থলভাগে প্রবেশ করেছিল এখন সেটি কমে অনেকটাই দুর্বল। ঝড়টির মূল অংশ ভারতের পশ্চিমবঙ্গে তাণ্ডব চালালেও, এর একটি অংশ বাংলাদেশের খুলনা অঞ্চলে ভালোভাবেই সক্রিয় রয়েছে।
আবহাওয়াবিদ বজলুর রশিদ বলেন, ‘স্থলভাগে আঘাত হানার পর ঘূর্ণিঝড়টি একটু দুর্বল হয়েছে। তবে বাংলাদেশের উপকূলীয় জেলাগুলোতে ঝড়টির প্রভাবে প্রবল বাতাস ও বৃষ্টি হচ্ছে। খুলনা ও সাতক্ষীরা অঞ্চলে তাণ্ডবের খবর পাওয়া গেছে।’
আবহাওয়া অধিদফতর বলছে, ঘূর্ণিঝড়টি সাতক্ষীরায় ঘণ্টায় ১৩৫ থেকে ১৫০ কিলোমিটার বেগে বইছে। এর প্রভাবে সাতক্ষীরা শহরে ও এর আশেপাশের অঞ্চলে ৫২ মিলিমিটারের বেশি বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
এছাড়াও বাগেরহাটের মোংলায় ঘণ্টায় ৮৫ কিলোমিটার, পটুয়াখালীর খেপুপাড়ায় ৮০ কিলোমিটার, খুলনার কয়রায় ৮০ কিলোমিটার এবং নোয়াখালীর হাতিয়ায় ঝড়ের গতিবেগ ৬৫ কিলোমিটার বলেও জানিয়েছে তারা।
আম্পান: মূল ঝড়টি বেরিয়ে যাবে বাংলাদেশ ঘেঁষে!
ঘূর্ণিঝড়টি সাগরদ্বীপের উপকূল ধরে সাতক্ষীরা হয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এটি খুলনা, যশোর, মাগুরা, ঢাকা, ময়মনসিংহ ও জামালপুরের ক্রমশ দুর্বল হয়ে সিলেটে প্রবেশ করবে বলেও আবহাওয়া অধিদফতর নিজেদের বিশেষ বুলেটিনে জানিয়েছে। তারা বলছে, ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৭৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বাধিক গতিবেগ ঘণ্টায় ১৬০ কিলোমিটারের মধ্যে ওঠা-নামা করছে।
আম্পান প্রায় ৮০০ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে সক্রিয় থাকা ঘূর্ণিঝড়। এর সামনের অংশটি বিকেল ৫টার পর স্থলভাগে আঘাত করে। এর কেন্দ্রটিও এখন স্থলভাগে সক্রিয় রয়েছে। শেষ অংশটি এখনও সমুদ্রে শক্তি সঞ্চয় করছে। সেটি কয়েকঘণ্টার মধ্যেই স্থলভাগে উঠে আসবে।
আরও পড়ুন:
আম্পানের প্রভাব: ভোলায় গাছচাপায় বৃদ্ধের মৃত্যু
ঘূর্ণিঝড় আম্পান: ১৯ জেলায় স্বাস্থ্য বিভাগের ছুটি বাতিল
বলেশ্বরের ভাঙনে হুমকিতে বেড়িবাঁধ, আম্পানের প্রভাবে বেড়েছে জোয়ার
সাইক্লোন সেল্টারে লোকজনকে আনতে গিয়ে নৌকাডুবি, টিম লিডার নিখোঁজ